Total Pageviews

Thursday, September 26, 2019

Death be not Proud - John Donne - Translation, Summary and Analysis in Bangla

Death be not Proud - John Donne - Translation, Summary and Analysis in Bangla 
Death be not Proud - Translation in Bangla 

ওহে মৃত্যু, গর্বিত হয়োনা, কেউ কেউ মনে করে
পরাক্রমশালী ও ভয়ঙ্কর, কিন্তু তুমি আসলে তেমন নও।
যারা বলে তুমি তাদের পরাস্ত করেছো, তাদের জন্যে  
এটা তো মৃত্যু নয়। বেচারা মৃত্যু, পারবে না তুমি আমায় হত্যা করতে।
মৃত্যুর ছবি সে তো চিরকালীন বিশ্রামের স্থান,
যে কারণে পুণ্যবান মানুষেরা মরে যুবক বয়সে।
মৃত্যু তাদের শরীরের কারাগার হতে আত্মাকে মুক্ত করে,
এ কারণে মোরা মৃত্যুকে বলবোনা বড়োই ভয়াল।
মৃত্যুর দ্বারে ক্রীতদাস, অভাজন রাজার ক্ষমতা সকলই সমান।
এবং তোমার (মৃত্যু) সাথে বিষ, যুদ্ধ এবং অসুখ বাস করে।  
আর পপি অথবা অন্য কোন নেশাদ্রব্যই আমাদের এতো সুন্দর ঘুম দিতে পারে না।
আর তোমার মত উত্তম স্পন্দন কেউ পারে না দিতে, তাহলে কেনো তুমি ফুলে উঠছ?
আর পূর্বের স্বল্পকালীন নিদ্রা, তারপর জেগে উঠব অনন্তকালের জন্যে,
যেখানে থাকবে না কোন মৃত্য, তখন মৃত্যুর অবসান ঘটবে।

Summary and Analysis: 
প্রাথমিক জীবনে কবি জন ডান ছিলেন অতিমাত্রায় কামুক একজন প্রেমিক। পাশাপাশি তিনি সত্যের খোজেও ছিলেন। পরবর্তী জীবনে তিনি শয়তানকে অস্বীকার ও সৃষ্টিকর্তার আনুগত্যের মাঝেই জীবনের প্রকৃত সত্য খুজে পান। (Batter my Heart  সহ অন্যান্য Holy Sonnets এর কবিতা দ্রষ্টব্য)। Death be not Proud কবিতাটি ১৬১০ সালে লেখা হয়েছে কিন্তু এটি ১৬৩৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। কবিতার নামটি কবিতার প্রথম লাইন থেকেই নেয়া হয়েছে। কবিতাটি পেত্রার্কান ধাচে লেখা। অষ্টকের ছন্দ বিন্যাস ক খ খ ক ক খ খ ক এবং  ষষ্ঠকে বিন্যাস গ ঘ গ ঘ ঙ ঙ Death be not Proud কবিতাটি Holy Sonnets গুচ্ছের দশম কবিতা। কবি এখানে মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন; অনেকেই বলে মৃত্যু অতোটা ভয়াল আর শক্তিমান নয়। কবি মনে করেন মৃত্যু এসে কখনোই অনন্ত জীবনকে ধ্বংস করতে পারে না। কবির মতে, মৃত্যু হচ্ছে স্বল্পকালীন কবর গৃহের নিদ্রা মাত্র, কিন্তু সামনে পড়ে আছে আছে অনন্ত স্বর্গীয় জীবন। কবি মনে করেন, মৃত্যু আসলে দেহের কারাগার হতে আত্মাকে মুক্ত করে, আত্মা মিলে যায় অনন্ত জীবন যাত্রায়, এ কারণে পুণ্যবান যুবারা অকালেই প্রাণ ত্যাগ করে। মৃত্যুর দরোজায় রাজা, ক্রীতদাস, অভাজন সবাই সমান। বিষের দাহ, আফিমের নেশায় মরণের কোলে ঢলে পড়ার চাইতে এই মৃত্যুকেই কবি স্বাগত জানিয়েছেন। কবি মনে করেন; মৃত্যুতে আত্মা শুধুমাত্র তাঁর খোলস বদলায়, অর্থাৎ দেহ পড়ে থাকে, আত্মা গিয়ে মিলিত হয় স্বর্গলোকে। কবি বলেন, ইহলৌকিক জীবনযাত্রা কিছু নয় পরলোকের অনন্ত জীবনটাই আসল, যেখানে মৃত্যুও যেতে ব্যর্থ হবে। অনন্ত স্বর্গলোকে ঠাই হলে আত্মার নাগাল পাবে না মৃত্যু। কবি এ কবিতার মধ্য দিয়ে আত্মার অবিনশ্বরতার কথা বোঝাতে চেয়েছেন। মৃত্যু যে শক্তিধারী ভয়াল কোনো বিষয় নয় বরং শান্তির নিদ্রা এবং দেহের মৃত্যু হলেও আত্মার যে মৃত্যু ঘটে না সে সম্পর্কে জোরালো যুক্তি তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছেন। মৃত্যু হচ্ছে শরীরী মৃত্যু এতে শুধু জৈবিক দেহটারই পতন ঘটে, আত্মা তো অবিনশ্বর, আত্মার মৃত্যু ঘটে না কখনোই । কবি ইঙ্গিত করেন, মৃত্যু হচ্ছে কবরস্থানে কিছুকাল পরম শান্তিতে নিদ্রার ব্যাপার। এরপরই আছে অন্ত জীবন যাত্রা। জীবন কখনোই নিঃশেষ হয় না। মৃত্যুর গভীর নিদ্রা পার হয়ে আত্মার স্থান হয় স্বর্গলোকে । দেহের কারাগার হতে আত্মা বের হয়ে যাত্রা করে অনন্ত লোকে, শেষে স্থিত হয় বেহেশতে কবি বলেন, এ কারণেই পুণ্যবান মানুষেরা যুবাকালেই ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে । মৃত্যু এসে তাদের জীবনকে দেয় চূড়ান্ত মহিমা, তাদের স্থান হয় স্বর্গলোকে। এখানে মৃত্যু সম্পর্কে একটি অমোঘ সত্যি বাণী উচ্চারণ করেন কবি, সেটি হলো, মৃত্যুর সামনে ক্রীতদাস, অভাজন, রাজা সবাই সমান । সব স্তরের মানবের মৃত্যুর চেহারা একই রূপ পরিগ্রহ করে। বিষজ্বালায়, আফিমের নেশায়, তাহলে এই সহজ সরল মৃত্যুকে কেন স্বাগত জানাবো না? কবি বলেন, মৃত্যু সেতো অল্প সময়ের নিদ্রার ব্যাপার। নিদ্রা হতে জাগরণ শেষে শুরু হবে আসল সত্যিকার জীবন যাত্রা। কবি বলেন আত্মার যখন বেহেশতে ঠাই হবে তখন আর কোনো জরা ব্যাধি মৃত্যু তার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না, সে জীবন হলো অনন্ত, আনন্দময় এক পুণ্যতর মহৎ জীবন।

2 comments: