The Scholar Gipsy - Matthew Arnold - Summary and Discussion (Bangla) |
The Scholar Gipsy - Matthew Arnold - Summary and Discussion (Bangla)
বিখ্যাত কবি ও সাহিত্য সমালোচক ম্যাথিউ আর্নল্ড [Matthew Arnold] তার “The Scholar Gypsv”
কবিতাটি ১৮৫৩ সালে প্রকাশ করেন। সতেরো শতকের লেখক Joseph Glanvill এর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প সংক্রান্ত বই The Vanity of Dogmatizing (1661, etc.) এর একটি গল্পএর উপর ভিত্তি করে এটি লিখেন। জোসেফ গ্লানভিলের এই গ্রন্থে তিনি জানতে পারেন যে, বহু বছর পূর্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করে জীপসীদের দলে ভিড়ে যায় এবং যাযাবরদের সাথে নানা স্থান পরিভ্রমণ করতে থাকে। “The
Scholar Gypsv” কবিতায় সেই শিক্ষার্থীর যাযাবর জিপসীদের দলে গিয়ে ভিড়ে যাওয়ার দিকটি তুলে ধরেছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা মাঝে মধ্যে এই জীপসীকে দেখেছে মাঠে প্রান্তরে ঘোরাফেরা করতে এবং তার হাঁকডাকের আওয়াজও শুনতে পেয়েছে তারা জ্যোৎস্নালোকিত প্রান্তরে। অক্সফোর্ড থেকে ফেরা যাত্রীরা টেমস নদীর খেয়া পার হতে গিয়ে দেখেছে সেই জীপসী একটি নৌকার পালের দড়িদার স্তুপে হেলান দিয়ে বসে আছে। নানা কাহিনী তাকে নিয়ে প্রচলিত নানা জায়গায়। কেউবা আবার তাকে দেখেছে গ্রাম্য কোন দোকানে পানীয়তে মুখ রেখেছে আবার মুখ ফেরাতেই তাকে আর দেখতে পায়নি কেউ। ফসল কাটার মৌসুমে ব্যস্ত গৃহিণীরা তাকে দেখেছে গোলাবাড়ির পাশে। আবার কেউবা তাকে দেখেছে মেষপালকদের সাথে মাঠে মেষ চরাতে।
আধুনিক জীবন যাত্রা ও শিক্ষা জগৎ ত্যাগ করে এই শিক্ষার্থী জিপসীদের সাথে মাঠে মাঠে ঘুরেছে, মেষপালক হিসেবে দেখা দিয়েছে, কখনোবা খেয়ানৌকার দড়ির স্তুপে তাকে ঘুমিয়ে থেকেছে। মোট কথা সে আধুনিক জীবন যাত্রা হতে সরে গিয়ে প্রকৃতির কোলে মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপন করতে চেয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে তাঁরই এক সহপাঠীর সাথে সাক্ষাৎ ঘটে এই শিক্ষিত জীপসীর। সে তাকে জানায়, সে জীপসীদের সাথে মিশে তাদের আচার আচরণ আয়ত্ত করার সাথে তাদের গুঢ় সব তন্ত্রমন্ত্রও আয়ত্ত করছে, গোপন অনেক বিষয় প্রকাশিত আজ তার কাছে।
এই যাযাবর জিপসী সর্বদা নিজেকে প্রকৃতির সাথে মেশাতে চেয়েছে, জ্ঞান আহরণ করতে চেয়েছে প্রকৃতি হতে। জিপসীদের কাছ থেকে সে গোপন মন্ত্র শিখছে এমন কথাও প্রচার হয়েছে সভ্য সমাজে'। কবি ম্যাথু আর্নল্ড এখানে মানবের ভেতরের যে অন্তহীন অনন্ত তৃষ্ণার প্রকাশ করেছেন, যেটা তাকে গৃহের বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে পারে না, সে নিজেকে মেলাতে চায় প্রকৃতির মাঝে। মোটকথা ভিক্টোরিয়ান যুগের নাগরিক জীবন যাত্রা হতে যেন এক অতৃপ্ত আত্মার প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়া। জীপসী চরিত্রটি যেন এক মুক্ত আত্মার প্রতীক, যে নাকি আধুনিক কোলাহলমুখর, যুগ-যন্ত্রণা হতে নিজেকে মুক্ত করে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলীন করতে চেয়েছে। শিক্ষিত এই যাযাবর নিজেকে সর্বদা প্রকৃতির কোলে সমর্পণ করতে চেয়েছে। কবি নিজেও যেন কল্পনার চোখে অবলোকন করছেন এই জীপসীকে। আধুনিক জীবন যাত্রায় মানুষ খুবই সীমাবদ্ধতার মাঝে নিজেকে আটকে রাখে, আটকে রাখে তার নিজস্ব কর্মকাণ্ডের গণ্ডিতে। তারা সর্বদা অলৌকিক কোন বার্তার প্রত্যাশা করে, প্রত্যাশা করে স্বর্গীয় আলোক প্রভার, ফলে তাদের মাঝে জন্ম নেয় না পাওয়ার হতাশা।
এছাড়া কবি আরো বলেন আধুনিক মানুষের ধর্ম বিশ্বাস পরিপূর্ন ছিল না। তারা এই দুনিয়ায় সব কিছু পাওয়ার জন্যে লালায়িত, তাই, না পাওয়ার কারনে তারা আজ হতাশ। এক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের এই শিক্ষার্থী ছিল ব্যতিক্রমধর্মী কারন তাঁর দুনিয়াবি কোন চাওয়া ছিল না তাই তাঁর মাঝে না পাওয়ার কোন হতাশাও ছিল না।
জীবনের হাজারো পরিকল্পনা করতে করতে ভিক্টোরিয়ান মানুষ আজ ক্লান্ত। ক্লান্তি, দূর্বলতা ও সন্দেহ আজ তাদেরকে ছেকে ধরেছে। তারা জীবনের লক্ষ্য আজ ভুলে গিয়েছে। সর্বদা সংগ্রাম করে যাচ্ছে না পাওয়াকে পাওয়ার জন্যে কিন্তু সমস্যা হল তারা যে কিসের জন্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছে সেটাই তারা আজ জানে না। ধর্ম বিশ্বাসও তাদের অপরিপূর্ণ। জীবনে ছোটখাট সাফল্য পাওয়ার জন্যে ভবিষ্যৎ জীবনের বড় বড় সাফল্যকে তারা নষ্ট করছে। সম্পদের আকাঙ্ক্ষায় তারা পার্থিব জীবনের শান্তি নষ্ট করছে। এই যুগের মানুষের অন্তরে এক রোগ বাসা বেধেছে। আর সে রোগটা হল সন্দেহ-সংশয় ও সম্পদের লোভ। এই যুগে যদিও মগজের মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম হয়েছে কিন্তু অন্তর যেন তাদের অবশ হয়ে গিয়েছে। আর সব ক্ষেত্রে রয়েছে এক রকম মানসিক দ্বন্দ। কবি বলেন, শিক্ষিত এই জীপসী যেন এসব হতাশার একেবারেই উর্ধ্বে তার মাঝে আধুনিক জটিল জীবন যাত্রার কোন স্পর্শ নেই। প্রকৃতির অবাধ লীলা নিকেতনে সে খেলা করে। কবি মানুষকে আহ্বান করেছেন জীপসীর সেই পথে পদচারণা করতে। শিক্ষিত এই যাযাবরের সাথে যে দুজনের দেখা হয়ে যায় তারা বলে তাকে বলে সে (শিক্ষিত যাযাবর) আজ দুনিয়া থেকে বিমুখ হয়ে নিজের আত্মার পরিশুদ্ধির কারনে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্ত।
No comments:
Post a Comment