![]() |
Macbeth - William Shakespeare - Summary in Bangla |
Previous Part : Macbeth - Summary in Bangla Part - 1 of 2
Macbeth - William Shakespeare - Summary in Bangla (Part 2 of 2)
ব্যাঙ্কোকে খুন
করার সিদ্ধান্ত নিল ম্যাকবেথ। এ উদ্দেশে মস্ত ভোজের আয়োজন করা হল প্রাসাদে। ‘আজ রাতে ডিনারের আয়োজন করেছি,’ ব্যাঙ্কোকে বলল ম্যাকবেথ । ‘তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে।’
‘আসব, ইয়োর
ম্যাজেস্টি, জবাব দিল ব্যাঙ্কো,’ তার আগে আমাকে একটু কাজে যেতে হবে, ঘোড়া নিয়ে যাব।’
‘অনেক দূর নাকি?
‘হ্যা, ইয়োর ম্যাজেস্টি,’ উত্তর দিল ব্যাঙ্কো। ওখানে পৌছতে পৌছতে ডিনারের সময় হয়ে যাবে। আর
ঘোড়া যদি আস্তে ছোটে তবে ফিরতে হয়ত রাত হতে পারে।’
‘ফ্লেয়ান্সও যাচ্ছে?’ জানতে চাইল ম্যাকবেথ।।
‘হ্যা, ইয়োর ম্যাজেস্টি।’
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের
সুবর্ণ সুযোগ এসে গেল ম্যাকবেথের হাতে। ম্যাকবেথ প্রথমে দুজন ভাড়াটে খুনি নিয়োগ
করল। সন্দেহ হওয়ায় তাদের পিছনে আরো একজনকে নিয়োগ করে পাঠালো। প্রাসাদের ভোজসভায় যোগ
দেয়ার পথে ম্যাকবেথের ভাড়াটে খুনীর হাতে নিহত হল ব্যাঙ্কো। আর কোনমতে পালিয়ে বাঁচল
ফ্লিয়ান্স।
ওদিকে ব্যাঙ্কোর
সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় সমস্ত অমাত্যদের ডেকে পাঠিয়েছে ম্যাকবেথ। ম্যাকডাফ দাওয়াত গ্রহণ
করেনি। নতুন রাজাকে চরম সন্দেহ তার । লেনক্স অবশ্য এসেছে। নিমন্ত্রণকর্তা এবং সকল অতিথি
উপস্থিত। দেখা নেই কেবল প্রধান অতিথি ব্যাঙ্কোর। সবাই তার খোঁজ খবর করতে লাগল। উসখুস
করছে ম্যাকবেথ। ‘ওর কি যে হল কে জানে,’ বলল সে। ‘কোন অসুবিধা হয়নি আশা করি । মনে হয় এক্ষুণি এসে পড়বে।’
সে একথা বলার সঙ্গে
সঙ্গেই নিজের জন্যে রক্ষিত চেয়ারে এসে বসল ব্যাঙ্কোর ভূত। ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হল
ম্যাকবেথের।
‘রক্তমাখা চুলগুলো অমন করে ঝাকাচ্ছ কেন? আমি কিছু করিনি,’ কর্কশ কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল সে। ও
ছাড়া আর কেউ ভূতটাকে দেখেনি। ফলে ওর কথা শুনে অবাক হয়ে গেল সকলে। লেডি ম্যাকবেথ প্রমাদ
গুণল। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করল সে।
‘আমার কর্তা প্রায়ই অমন করেন,’ সমবেত অতিথিদের উদ্দেশে বলল সে। ও কিছু নয়। আপনারা ভাববেন না। স্বামীকে একপাশে
সরিয়ে নিয়ে গেল লেডি ম্যাকবেথ। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে লাগল।
‘এত ভয় পাচ্ছ কেন?’ স্বামীকে বলল সে। ওরা আমাদের সন্দেহ
করবে তো। কি হয়েছে তোমার? খালি চেয়ারের দিকে চেয়ে
রয়েছ!’
একথা বলা মাত্রই
ভূতটা উধাও হয়ে গেল । সাহস ফিরে পেল ম্যাকবেথ, অতিথিদের
সঙ্গে গল্পগুজবে মেতে উঠল। ‘প্রিয় বন্ধু’ ব্যাঙ্কোর সুস্বাস্থ্য কামনা করে পান
করল সে।
‘ও এখানে থাকলে কি ভালই না হত,’ বলে ফেলল ম্যাকবেথ। অমনি আবার হাজির
হয়ে গেল ব্যাঙ্কোর ভূত। ভয়ে গা শিরশির করতে লাগল ম্যাকবেথের। যাও, দূর হয়ে যাও!’ চেঁচিয়ে উঠল সে। চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যাও!
অতিথিরা আবারও বিস্মিত
হল। পরিস্থিতি আবারও সামাল দেয়ার চেষ্টা করল লেডি ম্যাকবেথ। সে জানাল, তার স্বামীর প্রায়ই এরকম অসুবিধা হয়; কাজেই
অতিথিরা আজকের মত চলে গেলেই ভাল হয়। বুদ্ধিমতী লেডি ম্যাকবেথ অনেক অভ্যাগতের চোখেমুখে
স্পষ্ট সন্দেহের ছাপ দেখতে পেল । উপলব্ধি করল তার স্বামীর শত্রুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে
দিনকে দিন । অতিথিরা চলে গেলে একান্ত আলোচনা সেরে নিল স্বামী-স্ত্রী। ম্যাকবেথ স্ত্রীকে
জানাল, সে ডাইনীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় । কি ঘটতে যাচ্ছে জানতে
হবে তার। পরদিন সকালে সেই নির্জন প্রান্তরে চলে গেল ম্যাকবেথ । ডাইনীরা তখন জাদুমন্ত্র
করছে, প্রেতাত্মাদের ডেকে আনার জন্যে।
‘কি ঘটতে যাচ্ছে জানতে চাই আমি,’ দৃঢ়তার সঙ্গে বলল ম্যাকবেথ। জবাবে তিনটি প্রেতাত্মাকে ডেকে আনাল ডাইনীরা। প্রথম
প্রেতাত্মার আবির্ভাব ঘটল শিরোত্রাণ পরা এক মুণ্ডু রূপে। ম্যাকবেথ ওটার সঙ্গে কথা বলতে
চাইল। কিন্তু নিষেধ করল ডাইনীরা। ম্যাকবেথকে চুপ করে কেবল শুনে যেতে বলল। মুণ্ডুটা
ধীরে ধীরে সতর্কবাণী শোনালঃ ‘ম্যাকবেথ! ম্যাকবেথ! ম্যাকবেথ! ম্যাকডাফ
হতে সাবধান! লর্ড অভ ফাইফের কাছ থেকে সাবধান।’ তারপর মাটির নিচে মিলিয়ে গেল ওটা।
বজ্রপাতের শব্দে আবির্ভূত হল দ্বিতীয় প্রেতাত্মা। এটা এসেছে শিশুর রক্তাক্ত মুণ্ডুর
বেশেঃ ‘খুনী, সাহসী আর দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হও। স্ত্রীলোকের
জন্ম দেয়া কোন মানুষ কখনও তোমার ক্ষতি করতে পারবে না।’
তাহলে, ভাবল ম্যাকবেথ, ম্যাকডাফ আমার কোন ক্ষতি
করতে পারছে না। তবে ও মরলে আরও বেশি নিশ্চয়তা পাব।’ তক্ষুণি মনস্থির করল সে, ম্যাকডাফ মরবে।। এবার দেখা দিল তৃতীয় প্রেতাত্মা। এটা মুকুট পরা
একটা বাচ্চা, হাতে গাছঃ ‘ভয়ের কিছু নেই,’ বলল প্রেতাত্মা, ‘কোন কিছুকেই ভয় করবে না। বার্নামের
জঙ্গল ডানসিনেন পাহাড়ে না আসাতক অজেয় থাকবে তুমি।’ এটাও তারপর সেঁধিয়ে গেল মাটির গভীরে।
ম্যাকবেথ এখন অনেকখানি
স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। তৃতীয় প্রেতাত্মার কথা মনে ধরেছে তার। শত্রুদের পরোয়া করার কোন
কারণই নেই। একটা জঙ্গল কিভাবে জায়গা ছেড়ে এগিয়ে আসবে? অবাস্তব কল্পনা! তবে একটা প্রশ্ন বারবার খোচাচ্ছে তাকেঃ ব্যাঙ্কোর
বংশধরেরা সত্যিই কি স্কটল্যান্ড শাসন করবে?
ডাইনীদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ
এবং শেষ প্রশ্নটা করল ম্যাকবেথ। তারা চমকে তাকাল ওর দিকে, নিষেধ করল প্রশ্নটা করতে। কিন্তু ম্যাকবেথ নাছোড়বান্দা,
শুনবেই সে। ফলে বাধ্য হয়ে মিলিয়ে গেল তিন ডাইনী, তাদের জায়গায় একে একে আবির্ভূত হল আট প্রেতাত্মা, বাজনার
শব্দের সঙ্গে মিলিয়েও গেল তক্ষুণি আবার। সব পরিষ্কার দেখল ম্যাকবেথ । সে বুঝতে পারল
ছায়া—শরীরগুলো আর কারও নয় আটজন ভবিষ্যৎ রাজার। অষ্টম প্রেতাত্মার সঙ্গে ব্যাঙ্কো ওর
চেহারার অদ্ভুত মিল। এই প্রেতাত্মাটার শরীর রক্তমাখা, হাতে আয়না। আয়নায় চোখ পড়তেই ম্যাকবেথ দেখল তাতে ফুটে উঠেছে ব্যাঙ্কোর
আরও বংশধরদের চেহারা; মাথায় তাদের স্কটিশ রাজমুকুট। হতাশ দৃষ্টিতে
ওদের দিকে চেয়ে রইল ম্যাকবেথ।
‘আর না! আর দেখতে চাই না!' ডাইনীদের উদ্দেশে গলা
ফাটিয়ে চিৎকার করল ম্যাকবেথ। এ মুহূর্তে বেপরোয়া হয়ে গেছে সে। শত্রুর শেষ রাখবে না
ও। শয়তান ভর করেছে তার ওপর । ম্যাকবেথ যখন ফেরার জন্যে রওনা দিচ্ছে তখন দেখা, হল লেনক্সের সঙ্গে। সে জানাল ম্যাকডাফ ইংল্যাণ্ডে পালিয়েছে। মহাখাপ্পা হল
ম্যাকবেথ । ম্যাকডাফকে এখন খুন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে তার স্ত্রী এবং
শিশু সন্তানদের ছেড়ে দেবে না ও। প্রতিষোধ নেবে তাদের ওপর। মুহূর্তে মনস্থির করল ম্যাকবেথ,
খুন করবে সবাইকে।
ম্যাকডাফের দুর্গে
হানা দেয়া হল। তার স্ত্রী, সন্তান সহ উপস্থিত সবাইকে
খুন করা হল নির্বিচারে । অমাত্যবর্গ এখন মনেপ্রাণে ঘৃণা করে ওকে। অনেকেই তার দিক থেকে
মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যোগ দিয়েছে ম্যালকমের সঙ্গে। শক্তিশালী সেনাবাহিনী
নিয়ে ইংল্যাণ্ড থেকে অগ্রসর হচ্ছে ম্যালকম । ডাইনীরা বলেছিল ব্যাঙ্কো ম্যাকবেথের চেয়ে
নিচু হয়েও উঁচু, বলেছিল সে ওর মত অত সুখী নয় তবে ভবিষ্যতে ওকে
ছাড়াবে। ম্যাকবেথের মনে হল সত্য বড় নিষ্ঠুর!
ম্যাকবেথের প্রাসাদে
এখন উদ্বেগ আর ভীতি জাঁকিয়ে বসেছে। তবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্যে প্রাণপণ
চেষ্টা করে চলেছে লেডি ম্যাকবেথ। দিনের বেলা ঠিকঠাক মত কাজ করে সে, কিন্তু রাতের বেলা পাল্টে যায় দৃশ্যটা। আসলে ডানকানের হত্যাকাণ্ড
গভীর ছাপ ফেলেছে তার মনে । রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারে না সে,
হেঁটে বেড়ায় ঘুমের মধ্যে। আর ঘষতে থাকে দু হাত। তার মনে হয় হাত দুটোয় রক্তমাখা । দাগ
ওঠাতে চেষ্টা করে সে।
‘আরব দেশের সমস্ত আতর মাখলেও রক্তের গন্ধ দূর হবে না, বিড়বিড় করে বলে লেডি ম্যাকবেথ । অপরাধবোধ কাবু করে ফেলেছে তাকে।
দিনের পর দিন পেরিয়ে যেতে লাগল এভাবে। হাজার চিকিৎসাতেও কোন কাজ হল না।
‘এ রোগের ওষুধ জানা নেই আমার,’ চিকিৎসক বলল, ‘বিবেকের দংশন থেকে কেবলমাত্র ঈশ্বরই
তাঁকে মুক্তি দিতে পারেন।’ যন্ত্রণাময় জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্যে শেষে একদিন আত্মহত্যা করল লেডি ম্যাকবেথ।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর এই বিশাল পৃথিবীতে একদম একা হয়ে পড়ল ম্যাকবেথ। ইতোমধ্যেই জীবনের
প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে তার। বেশিরভাগ দক্ষ সৈনিক এবং যোদ্ধা তার পক্ষ ত্যাগ করেছে।
এ মুহূর্তে শত্রুপক্ষের আক্রমণ ঠেকানর জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করাও অসম্ভব তার
পক্ষে।
ডানসিনেন-এ নিজের
দুর্গে স্বেচ্ছ বন্দী হল ম্যাকবেথ। প্রেতাত্মারা জানিয়েছে বার্নাম জঙ্গল ডানসিনেন পাহাড়ে
না আসা পর্যন্ত চিন্তা নেই এবং স্ত্রীলোকের প্রসবিত কোন মানুষ তার ক্ষতি করতে পারবে
না। কাজেই ম্যাকবেথের মনে হল ডানসিনেন দুর্গে এমুহুর্তে সম্পূর্ণ নিরাপদ সে। জঙ্গলের
পক্ষে কি জায়গা ছেড়ে এগিয়ে আসা সম্ভব? মোটেই
না। তবে সেজন্যে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার লোক নয় ম্যাকবেথ। সাহসী যোদ্ধা সে,
প্রয়োজন পড়লে লড়ে মরবে। স্ত্রী এবং বিশ্বস্ত বন্ধুবিহীন একাকী ম্যাকবেথের দিন কেটে যেতে লাগল চরম মানসিক যন্ত্রণায়।
একদিন এক দূত ছুটে
এল ম্যাকবেথের কাছে। ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে তার মুখ চোখ। প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে
বোঝা যায়, প্রায় বাকহারা হয়ে পড়েছে। ‘বার্নামের জঙ্গল ডানসিনেন পাহাড়ের দিকে
এগোচ্ছে,’ কোনমতে বলতে পারল লোকটি।
‘মিথুক!’ গর্জে উঠল ম্যাকবেথ। ‘তোমার কথা মিথ্যে হলে গাছে ঝুলিয়ে ফাসি দেব; আর সত্যি হলে আমাকে গাছে ঝোলাতে পারো, কিছু যায় আসে না।’ সমস্ত সাহস উবে গেছে ম্যাকবেথের। সে
বুঝে ফেলেছে ডাইনীদের মিথ্যে আশ্বাসের কথা ।
‘আর বাঁচতে চাই না আমি,’ চেঁচিয়ে উঠল সে। তারপর সামলে নিয়ে
চিৎকার করল, ‘সবাই বেরিয়ে এসো, অস্ত্র নিয়ে। পালানর পথ
নেই। লড়াই করব আমরা।’
দূত বস্তুত সত্যি
কথাই বলেছে। বার্নামের জঙ্গল আসলেই এগিয়ে আসছে ডানসিনেন পাহাড়ের দিকে। কিভাবে? ম্যালকম তার লোকদের নির্দেশ দিয়েছে গাছের ডাল কাটতে। প্রত্যেক
সৈন্য সেই কাটা ডাল সামনে নিয়ে এগোলে ম্যালকমের লোকবল সম্বন্ধে জানা মুশকিল হয়ে পড়বে
ম্যাকবেথের। ম্যালকমের বিশ্বাস, ধোকা খাবে ম্যাকবেথ । প্রতিপক্ষের
শক্তি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা না নিয়েই যুদ্ধক্ষেত্রে বেরিয়ে আসবে। ম্যালকমের রণকৌশল
সত্যিই কাজে লাগল। গাছের ডালগুলোকে এগোতে দেখে দূত ভেবেছে পুরো বার্নাম জঙ্গলটাই এগিয়ে
আসছে। ডাইনীদের ভবিষ্যৎদ্বাণী এবারেও ফলে গেল ।
ম্যাকবেথ বুঝতে
পারল, ডাইনীরা বিভ্রান্ত করেছে তাকে। সে উপলব্ধি করল,
ব্যাঙ্কো ও ঠিকই বলেছিল। ডাইনীদের ভবিষ্যৎদ্বাণীতে বিশ্বাস করা মোটেই
উচিত হয়নি। এই নরকের জীবগুলো কুমন্ত্রণা দিয়ে ধ্বংস করে ছেড়েছে তাকে। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
আরম্ভ হল। অমিতবিক্রমে লড়ে চলল ম্যাকবেথ । মনে আশা তার; স্ত্রীলোকের
প্রসবিত কোন মানুষ তার ক্ষতি করতে পারবে না। ম্যাকবেথের সেনাবাহিনী তাদের নেতাকে যথাসাধ্য
সহায়তা দিল । সম্মুখ সমরে ম্যাকবেথ তার সব প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করেছে। শেষে ম্যাকডাফের
মুখোমুখি হতে হল তাকে।
যুদ্ধের ময়দানে
এতক্ষণ তাকেই খুঁজছিল মাকডাফ। দেখা হতেই তেড়ে এল সে। ‘খুনী ! নরকের কুকুর! শত্রু!’ চিৎকার করে গালি দিল ম্যাকডাফ। ‘ভাল চাইলে ফিরে যাও!’ পাল্টা চেচলি ম্যাকবেথ। ‘তোমার পরিবারের সকলে আমার হাতে মরেছে।’
কিন্তু ম্যাকড়াফ
দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ, ম্যাকবেথকে হত্যা করবেই
সে। শুরু হল ভয়াবহ লড়াই! আঘাত, পাল্টা আঘাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ল
দুজনেই। দম নেয়ার জন্যে খানিকক্ষণের জন্যে থামল ওরা।
‘তুমি খামোকাই শক্তি ক্ষয় করছ,’ বলে উঠল ম্যাকবেথ। কোন মহিলার প্রসবিত
সন্তান কখনোই আমার ক্ষতি করতে পারবে না।
অট্টহাসি করল ম্যাকড়াফ।
‘মা আমাকে প্রসব করেনি, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ম্যাকডাফ
বলল। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নেয়া হয়েছিল আমাকে।’
আঁতকে উঠল ম্যাকবেথ।
স্পষ্ট বুঝল আবারও বিভ্রান্ত হয়েছে সে, ডাইনীদের
ভবিষ্যৎদ্বাণীতে বিশ্বাস করে। ওদেরকে অভিশাপ দিল সে। এ মুহূর্তে আর বিন্দুমাত্র সাহস
অবশিষ্ট নেই তার।
‘তোমার সঙ্গে লড়ব না,’ কঠিন গলায় বলল ম্যাকবেথ।। তবে বেঁচে
থাকো, ঠাট্টা ঝরে পড়ল ম্যাকডাফের
কণ্ঠে,’তোমাকে খাচায় পুরে মানুষকে দেখাব, বিভিন্ন
মেলায়। গায়ে সাঁটিয়ে দেব এই নোটিশ: ‘এখানে অত্যাচারীকে দেখতে পাবেন।’
‘না!’ চেঁচাল ম্যাকবেথ। ‘আমি কক্ষণও অপমান সইব না।’ ঢাল ছুঁড়ে দিয়ে ম্যাকডাফকে আক্রমণ করল সে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে এঁটে
উঠতে পারল না ম্যাকবেথ। মৃত্যুবরণ করল ম্যাকডাফের হাতে। ম্যাকবেথের ধড় থেকে মুণ্ডু
আলাদা করে দিল ম্যাকডাফ। তারপর ওটা নিয়ে বিজয়ীর বেশে হাজির হল ম্যালকম আর সৈন্যদের
সামনে। যুদ্ধ শেষে ম্যালকম, রস, লিনক্স, সিউয়ার্ড সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন।
ম্যাকডাফের হাতে ম্যাকবেথের ছিন্নমুণ্ডু দেখে সবাই খুশি হল। ম্যালকমকে সবাই তাদের
রাজা বলে ঘোষনা করল।
👍👍
ReplyDeleteVery exciting😃😃
ReplyDelete