Ode on a Grecian Urn -John Keats - Bangla summary and Analysis |
Ode on a Grecian Urn - John Keats - Bangla Translation
Ode on a Grecian Urn -John Keats -
Bangla summary and Analysis
প্রথম স্তবকে
আমরা দেখতে পাই কবি দাড়িয়ে ছিলেন একটি প্রাচীন গ্রিসিয়ান ছাই-ভষ্মের আধার বা
আর্নের সামনে। কবি দেখছেন, যেখানে
মানুষের অবয়ব খোদাই করা আছে। কবির যা দেখছিলেন তার
বর্ণনাঃ ১। শান্ত ও অচঞ্চল কুমারী নারী, নিরবতা ও নিশ্চল সময় যাকে লালন পালন করে
আসছে। ২। আর্ন বা ভষ্মাধারকে তিনি একজন গ্রাম্য ঐতিহাসিক হিসেবে কল্পনা করেন। ৩।
আরেক পাশে কিছু মানুষকে তিনি দেখেন যারা কিছু মহিলার পশ্চাদ্বাবন করছিল।
কবি মনে তখন প্রশ্ন
আসে এটা কোন স্থান, এটাকি কোন মন্দির নাকি আর্কেডি নামক উপত্যকা। এই মানুষগুলোই বা
কারা আর কেনোই বা তাদের পশ্চাদ্বাবন করছে। কোথা থেকেই বা বাজছে বাঁশির সুর? আর
কোথা থেকেই বা কবি অনুভব করছেন বন্য আনন্দ।
২য় স্তবকে কবি
নতুন একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। একজন বংশিবাদক গাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে।
বাঁশিবাদকের বাজানো অশ্রুত সুর শুনতে সুন্দর পার্থিব বাঁশির সুরের চেয়ে চমৎকার। এর
কারন হিসেবে বলেন পার্থিব বাঁশির সুরের মত সময়ের ব্যবধানে এই সুরের কোন পরিবর্তন অথবা
ক্ষতি সাধন হয় না।
তিনি বিস্মিত হয়েছেন এবং বুঝতে চেষ্টা করেছেন এই চিত্র কর্মের পিছনে কী
কারণ থাকতে পারে। এই জীবন্ত চিত্রগুলো তার মনে রেখাপাত করে, তিনি মনে করছেন এই মানুষ গুলো ঈশ্বরের
অদ্ভুত সৃষ্টি। এখানে আছে
এক প্রেমিক যুগলের দৃশ্য, আছে বাদকের হাতে বাঁশি এবং বাজিয়ে যাচ্ছেন অনবরত হৃদয়ের রঙ মাখানো
সুর।
এই সব ভাবনা কবিকে শিখালেন যে
শিল্পের অবস্থান প্রকৃতির উপরে। না শোনা সুর যা ভষ্মাধারের বাঁশির থেকে প্রবাহিত হচ্ছে, আমাদের কল্পনার এক বিশাল পরিসরে দাড় করায়। যার ফলে জীবনের বাস্তব গানগুলো বিস্মৃত হয়ে কেবলি এই সুরে ব্যক্তি হারিয়ে যায়। পাত্রের
চিত্রকর্মে দেখা যাচ্ছে যে
প্রেমিক তার ভালোবাসার মানুষকে
জড়িয়ে রাখতে চাইলেও প্রেমিকা কেবলি পালাতে থাকে কিন্তু কখনো পালাতে পারে না। প্রেমিক কখনো তাকে ছুঁতে পারে না আবার প্রেমিকাও কখনো তার সামনে থেকে দূরে যেতে পারে না-এই দৃশ্য
আমাদের সামনে এক চিরন্তন প্রেমিক
যুগলকে স্থাপন করেছে। তিনি এই প্রেমিককে সান্তনা দেন
এভাবে যে, সে স্থির হওয়ার কারনে তার প্রেমিকাকে চুমু খেতে না পারলেও পৃথিবীর
সাধারন প্রেমিকাদের মত তার ভালোবাসার মানুষটি কখনোই যৌবন বিসর্জন দিয়ে বুড়িয়ে যাবে
না। তার রুপ কখনোই মলিনা হবে না।
এরপরের স্তবকে
কবি দৃষ্টি দেন তাদের আসে পাশের গাছ গুলোর দিকে। তিনি মনে মনে আনন্দ অনুভব করেন
এটা ভেবে যে, এই গাছ গুলোর পাতা কখনোই মলিন হয়ে ঝড়ে পড়বে না। বাঁশিবাদকের গান
শুনেও তিনি মুগ্ধ হন, কারন তার সঙ্গীত আজীবন নতুনই থাকবে।কবি দেখছেন যে এই
বৃক্ষগুলো কখনো পাতাশূন্য হবে না, বাঁশিবাদক
কখনো তার বাজনা থামাবে না, ক্লান্ত হবে না। শিল্পের আনন্দ বাস্তব জীবনের আনন্দের থেকে অনেক গভীর কেননা বাস্তবতায় কখনো তৃপ্ত
হওয়া যায় না।
চতুর্থ স্তবকে কিটস
এমনভাবে এই ভাবে খোদাইকৃত
চিত্রটিকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন যেন তিনি বহুকাল ধরে এটি দেখছেন। আসলে এটি প্রাচীন গ্রিক শিল্প। এটি ছিল ঈশ্বরের কাছে একটি পশু বিসর্জন দেয়ার দৃশ্য যেখানে
পুরোহিত,
দর্শককে সুবিন্যস্তভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। এই দৃশ্য কবির মনে
প্রশ্ন জন্ম দেয়, এটি কোন শহরের, কারা
এই মানুষজন ইত্যাদি।
৫ম স্তবকে উক্ত
পাত্রে খচিত দৃশ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপনের মাধ্যমে কিটস তিনি তার সমসাময়িক মৃতপ্রায় প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে এই
পাত্রটি তখনো অক্ষত থাকবে যখন তিনি ও তার সময়কার
প্রজন্ম থাকবে না। পাত্রটি মানুষকে শিক্ষা দেয় যে, “সুন্দরই সত্য, সত্য সুন্দর”। কবির কাছ থেকে এটা এক অনন্য উদ্ভাবন । তিনি তাই যথার্থই বলেছেন, এই হলো মানব জ্ঞানের সারবস্তু।
No comments:
Post a Comment