Total Pageviews

Thursday, March 7, 2019

Poetics - Aristotle - Chapter - 15 - The Characters of Tragedy - Bangla Translation and Explanation

Poetics - Aristotle - Chapter - 15 - The Characters of Tragedy - Bangla Translation and Explanation 


Poetics - Aristotle - Chapter - 15
The Characters of Tragedy - 
Bangla Translation and Explanation

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ - ট্র্যাজেডিতে চরিত্র
ট্রাজেডিতে চরিত্র-চিত্রণের সময় চারটি জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রা দরকার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হচ্ছে, চরিত্রগুলো ভাল হওয়া চাই। যদি কোন লোকের কথায় অথবা কাজে ভাল মন্দের নৈতিক বোধ প্রকাশ পায়, যেমনটি ইতিপূর্বে লক্ষ্য করা গিয়েছে[৬ষ্ঠ অধ্যায় দেখুন], তাহলে নাটকের সে চরিত্রের প্রকাশক হবে। ভালোর প্রতি পক্ষপাত দেখা গেলে, চরিত্রটিও ভাল হবে সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই ভাল হওয়ার গুণ থাকতে পারে। এমন কি একজন স্ত্রীলোক বা একটা ক্রীতদাসও ভাল হতে পারে। যদিও ব্যক্তি হিসাবে স্ত্রীলোকদের সম্ভবতঃ নিকৃষ্ট ধরনের লোক বলা হয়ে থাকে; আর সাধারণভাবে দেখতে গেলে একটা ক্রীতদাস তো অতি তুচ্ছ মানুষ চরিত্র চিত্রণের ব্যাপারে দ্বিতীয় লক্ষ্য করার বিষয় হল, চরিত্রগুলো যথাযথভাবে চিত্রিত হওয়া চাই। যে চরিত্রটি আমাদের সামনে রয়েছে, ধরুন, তাতে পুরুষোচিত গুণাবলী আছে। কিন্তু তাই বলে পৌরুষ অথবা চতুরতা গুণ আরোপ করা ঠিক নয়। চরিত্র-চিত্রণের ব্যাপারে সার্থকতার তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, চরিত্রগুলোকে বাস্তবের প্রতিরূপ হতে হবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা ভাল বা যথাযথ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহার করেছি সেই অর্থেই চরিত্রগুলোকে ভাল বা যথাযথ করে গড়তে হবে চতুর্থতঃ ঙ্কি চরিত্রগুলোকে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। যে চরিত্রের অনুকরণ করা হচ্ছে তা যদি অসঙ্গতিপূর্ণও হয় এবং তাই যদি চরিত্রের প্রধান লক্ষণ হয়, তা হলেও সঙ্গতি রক্ষা করেই অসঙ্গতিপূর্ণ চরিত্রকে আঁকতে হবে। বিনা প্রয়োজনে চরিত্রকে হীন করে দেখানোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে অরেস্টিস নাটকের মেনেলৌস চরিত্রে। স্কিল্লা নামক ডিথির‍্যাম্ব কবিতায় ইউলিসিসের বিলাপ এবং [মেলানিপ্পি নাটকে] মেলানিপ্পির চাতুর্যপূর্ণ ভাষণ-অংশে প্রস্ফুটিত ইউলিসিস মেলানিপ্পির চরিত্র চিত্রণ যেমন বেখাপ্পা, তেমনি অনুপযুক্ত অসঙ্গতিপূর্ণ চরিত্রের দৃষ্টান্ত পাওয়া যাচ্ছে উলিসে ইফিজেনিয়া নাটকে; কারণ এই নাটকের প্রথমে আমরা যে করুণা-প্রার্থিনী ইফিজেনিয়াকে পাই; তার সঙ্গে পরবর্তী ইফিজেনিয়ার কোন সাদৃশ্যই আমরা খুঁজে পাই না। নাটকীয়-ঘটনা সংস্থানের ব্যাপারে যেমন, তেমনি চরিত্র-চিত্রণকালে শিল্পীকে অবশ্যই সর্বদা আবশ্যকীয়তা বা সম্তাব্যতার সূত্র মনে রেখে এগোতে হবে অন্য কথায় বলতে গেলে, কোন বিশেষ চরিত্রের লোক আবশ্যকীয়তা সম্ভাব্যতার নিয়মানুসারেই, বিশেষ ধরনের কথা বলবে বা কাজ করবে, যেমন নাটকের প্লটে এক ঘটনার পর অন্য ঘটনা ঘটে আবশ্যকীয়তা বা সম্ভাব্যতা সূত্রানুযায়ী ক্রম রক্ষা করেই অধিকন্তু এটা সুস্পষ্ট যে নাটকীয় কাহিনীর যথার্থ পরিণতি নাটকের আভ্যন্তরীণ গঠন থেকেই সুস্ফুট হয়ে উঠবে; দৈবী হস্তক্ষেপের[Deus ex Machina] ন্যায় মঞ্চকৌশল প্রয়োগ দ্বারা তা ঘটানো ঠিক হবে না: যেমনটি করা হয়েছে মিডিয়া নাটকটিতে এবং ইলিয়াড মহাকাব্যের অন্তর্গত জাহাজে করে গ্রীকদের ট্রয় অভিমুখে যাত্রা ব্যাহত হওয়ার কাহিনীতে এই দৈবী হস্তক্ষেপের ব্যাপারটা শুধু নাটকের প্লট-বহির্ভৃত সেই সব ঘটনার ক্ষেত্রেই প্রযুক্ত হওয়া উচিত, যেগুলো অনেক অনেক আগেই ঘটে গিয়েছে এবং মনুষ্য-জ্ঞানের বাইরেই রয়ে গিয়েছে; অথবা যে সব ঘটনা এখনও ঘটার অপেক্ষা রাখে অথচ ভবিষ্যদ্বাণীর মতো করে পূর্বাহ্নেই যেগুলোর কথা বলে দেওয়া বা জানিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন য়েছে কারণ আমরা মেনে নিই যে দেবতাদের সবকিছু জানা বোঝার ক্ষমতা আছে। যাই হোক, নাটকে যা ঘটে তার মধ্যে কোনরূপ অযৌক্তিক ব্যাপার অবশ্যই থাকা উচিত নয়। যদি একান্ত থাকতেই হয়, তা হলে তাকে ট্র্যাজেডির বাইরেই রাখতে হবে, যেমন করা হয়েছে সফোক্লিসের ইডিপাস নাটকে
ট্র্যাজেডি যেহেতু অপেক্ষাকৃত উন্নত চরিত্রের মানুষেরই কার্যকলাপ অনুকরণ করে, সেই হেতু আমাদের অবশ্যই ভাল চিত্রকরের আদেশ অনুসরণ করতে হবে ভাল চিত্রকর মূলের স্বতন্ত্র দৈহিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে এমন প্রতিরূপ নির্মাণ করেন, যা মূলের সাদৃশ্য বজায় রেখেও সুন্দরতর সৃষ্টিরূপে প্রতিভাত হয়। ঠিক একইভাবে কবি একরোখা বা কুড়ে স্বভাবের ব্যক্তিকে অথবা যার চরিত্রে অন্যবিধ ত্রুটি রয়েছে সেই মানুষকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে তার চরিত্রের অন্তর্গত গুণ বা দোষ গুলোকে সামনে তুলে ধরবেন, অথচ সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরিচ্ছন্ন মানুষরূপে ফুটিয়ে তুলবেন, যেমন করে অ্যাগাথন[৯ম পরিচ্ছেদ এর টিকা দ্রষ্টব্য] হোমর[১ম পরিচ্ছেদের টিকা দ্রষ্টব্য] একিলিস চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন।
কবি অবশ্যই সর্বদা নিয়মগুলো মেনে চলবেন এবং চরিত্রকে ইন্দ্রির-সংবেদ্য করে তোলার জন্য আবশ্যকীয় কলাকৌশলগত[ বা মঞ্চকৌশলগত] বিষয়গুলো সম্পর্কেও অবহিত থাকবেন। কারণ -সব ব্যাপারেও প্রায়শঃই অনেক রকম ভুল করা সম্ভব যাই হোক, ইতিপূর্বে আমার প্রকাশিত কোন একটি গ্রন্থে সম্পর্কে যথেষ্ট আলোচনা করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা টিকাঃ
১। Deus ex Machina – এর শাব্দিক অর্থ হলযন্ত্র থেকে একজন দেবতা এটা দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে সমাধানের অযোগ্য একটি সমস্যা অপ্রত্যাশিত, আকস্মিক ও প্রায় অসম্ভব একটি ঘটনা দ্বারা সমাধান করা হয়। এর মাধ্যমে দর্শকবৃন্দকে চমকিত করা হয় আর ঘটনার একটি শুভ সমাপ্তি টানা হয়। এই পরিভাষা টি গ্রীক ট্রাজেডি থেকে এসেছে, যেখানে মঞ্চে একজন অভিনেতা, যে কোন হঠাত আভির্ভূত দেবতার ভূমিকায় অভিনয় করত, সে কোন মেশিনের মাধ্যমে বা মঞ্চতলস্থ দরজা দিয়ে প্রবেশ করত। এখানে মেশিন বলতে কাঠ ও পুলি দিয়ে তৈরী ক্রেন বা কপিকল বুঝাচ্ছে। নাটিকে সর্ব প্রথম এসকাইলাস এটার প্রবর্তন করেন।  বিস্তারিত।  
২। Medea মিডিয়া নাটকে ইজিউসের প্রবেশের ব্যাপারটা অনেকটাই যান্ত্রিকভাবে ঘটানো হয়েছে, তা নাটকীয় ঘটনার ক্রমবিকাশের ফল নয়। আবার নাটকের শেষে সূর্যের রথে চড়ে মিডিয়ার উধাও হয়ে যাবার ব্যাপারটাও তেমনি যান্ত্রিক কলাকৌশলগত জিনিস। ঘটনাকে কার্য-কারণ সূত্রে বিকশিত হতে না দিয়ে ইউরিপিডিস, ক্ষেত্রে ঘটনার জটমোচনে দৈবী হস্তক্ষেপের অবতারণা করেছেন। ইলিয়াড মহাকাব্যে গ্রীকদের জাহাজ যোগে ট্রয় অভিমুখে যাত্রা ব্যাহত হওয়ার ব্যাপারটা অতীত কোন ঘটনার স্বাভাবিক পরিণতি নয়। দেবী এথেনীর হস্তক্ষেপের ফলেই এঁরূপ হয়েছিল বিস্তারিত। 
 ৩। Achilles  অ্যাকিলিস ছিলেন ট্রোজান যুদ্ধের একজন বীতিনি রাজা পেলেউস[Peleus] এবং সমুদ্র-পরী থেটিসের[Thetis] পুত্র। হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র। ট্রোজান যুদ্ধে যোগদানকারী গ্রীকপক্ষের তিনি ছিলেন সবচেয়ে সাহসী বীর যোদ্ধা তাঁরই হাতে ট্রয়ের রাজা প্রায়ামের বীরপুত্র হেক্টর নিহত হন মহাবীর একিলিস ভীরু, দুর্বল প্যারিসের নিক্ষিপ্ত তীরের আঘাতে নিহত হয়েছিলেন। শোনা যায় যে তাঁর মাতা শিশু বয়সে তাকে স্টিক্স[Styx River] নদীতে ডুবিয়ে আনেন, কিন্তু তাঁর পায়ের গোড়ালি ভেজাননি তাই সেখানে দূর্বলতা রয়ে গিয়েছিল। আর প্যারিস সেখানেই তীর নিক্ষেপ করেন। বিস্তারিত 
৪। Aristotle এখানে সম্ভবত কবিদের সম্পর্কে লিখিত তাঁর পূর্বতন কোন গ্রন্থের কথা উল্লেখ করে থাকবেন। এটা সম্ভব যে গ্রন্থে তিনি কবি কাব্য সম্পর্কে প্রচুর তথ্য সমাবেশ করেছিলেন। পরে সব তথ্যের ভিত্তিতেই Poetics গ্রন্থে বর্ণিত সাহিত্য সমালোচনার সূত্রাবলী প্রণয়ন করেছিলেন



No comments:

Post a Comment