Total Pageviews

Friday, April 3, 2020

Goblin Market - Christina Rossetti - Summary in Bengali

Goblin Market - Christina Rossetti - Summary in Bengali
Goblin MarketChristina Rossetti – Summary in Bengali

Goblin Market কবিতাটি  Christina Rossetti  এর Goblin Market and Other Poems ১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয়। কবিতাটির ছন্দবিন্যাস মাত্রা অনিয়মিত। ভিক্টোরিয়ান পর্বের প্রিরাফায়েলাইট কবিগোষ্ঠীর আওতার মাঝে অবস্থান করেও কবি ক্রিস্টিনা রসেট্টি প্রিরাফায়েলাইট কবিদের বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। দোষ একটাই, তার কবিতায় মাত্রাতিরিক্ত অলংকার প্রয়োগ। রসেট্টি ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণা রমণী, যে ব্যক্তিকে তিনি বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন সে শুধু অ্যাংলিকান বলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন এবং সারাজীবন কুমারী হিসেবে মঠের সন্ন্যাসিনীর মতো জীবন যাপন করে গেছেন রসেট্টি ছিলেন কিছুটা নিরাশাবাদী, নারী পুরুষের প্রেম ভালোবাসার মাঝে তিনি কোনো রোমান্স খুঁজে পাননি। রসেট্টি ছিলেন ধর্মপ্রাণা রমণী। ধর্মীয় চেতনায় তার আত্মা পরিশুদ্ধ ছিল। তার চারপাশের যে ক্লেদাক্ত জমিন সেখানে তিনি পা ফেলতে দ্বিধা সংকোচে ভুগেছেন। তাঁর বিখ্যাত কবিতা The Goblin Market আমরা লক্ষ্য করি, তিনি তাঁর সমসাময়িককালের সামাজিক অবক্ষয় আর সমাজের উলঙ্গ কামনা বাসনাকে নির্দয়ভাবে আক্রমণ করেছেন। কবিতায় তার সমসাময়িককালের ইংল্যান্ডের সামাজিক অবক্ষয় এবং সমাজে নৈতিকতার স্থলন এবং সে সময়ের কামুক পুরুষদের অনৈতিক উপায়ে কামবাসনা নিবৃত্তির দিকটিকে স্পষ্ট করে তোলার চেষ্টা করেছেন। সমাজের দিকটিকে তিনি ভূতের বাজার বলে অভিহিত করেছেন। টসটসে পাকা রসালো ফল বিক্রেতার প্রতীকে এসেছে সে সময়ের কামুক পুরুষেরা, যারা রমণীদেরকে ডেকেছে নানা রঙ্গলীলায়, রমণীরাও সহজেই সাড়া দিয়েছে তাদের রসালো ফলের লোভে। তিনি কবিতায় দুটো চরিত্র অর্থাৎ দুটি সহজ সরল যুবতীকে এনেছেন যারা সমাজের দিকটি সম্পর্কে অবগত হলেও তাদের মাঝে ধর্মীয় সামাজিক রীতিনীতি বাধার প্রাচীর হয়ে অবস্থান করেছে। বাইরের জগতে যখন ভুতরূপী যুবাদের আহবান ধ্বনিত হচ্ছে, রসালো সব ফলের লেভিনীয় প্রস্তাব আসছে তখন কিছুটা হলেও তাদের রমণী হৃদয় চঞ্চল হয়েছে। 
কবিতায় উল্লিখিত দুবোন লিজ্জি অর লরাও শুনতে পেয়েছিল এই কামনা লোলুপ ডাক কিন্তু লিজ্জিকে লরা সাবধান করে বলেছে, ওসব ফলের দরকার নেই, না জানি ওতে কী সব আছে। এখানে আমরা রসেট্টির ধর্মভীরু সংরক্ষিত চিন্তা চেতনার সাক্ষাৎ পাই।  এক বোন অন্য বোনকে নিষেধ করছে এই বলে যে, ঐসব ভূতদের ডাকে সাড়া দেয়া ঠিক হবে না কারণ না জানি কোনো বিষাক্ত ফুল নিয়ে তারা অপেক্ষা করছে। কিন্তু এতসব লোভনীয় প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা সম্ভব হয়নি যুবতী লরার। সে নিষিদ্ধ কামনারূপী রসালো ফলের আহবানে সাড়া দিয়ে সমর্পিত হয়েছে উদগ্র কামনার কাছে। কামনার রসে জাড়িত হয়ে ফিরে এসেছে, তার অন্য বোনটির কাছে। লিজ্জি তখন ব্যথিত স্বরে তার বেনের এই সমর্পণের দিকটি অবলম্বন করে সান্তনা প্রদান করার চেষ্টা করেছে ধর্মীয় সামাজিক অনুশাসনের বাধনে লিজ্জির হৃদয় আটকা পড়ে থাকলেও, বাহির জগতের এই জোরালো কামনার আহবান তার নারী হৃদয়কে আকুল করেছে। শেষে তার মাঝেও পৌছে গেছে উদগ্র কামনার আহবান এমনই এক আহবান যা ধর্মীয় সামাজিক অনুশাসনকে মাঝে মধ্যেই অতিক্রম করে যায়, শুদ্ধ চিন্তা চেতনার মাঝে আকস্মিকভাবেই প্রচণ্ড গতিতে ঢুকে পড়ে।
শেষে দেখতে পাই লরা আর লিজ্জি দুজনেই নিষিদ্ধ ফলের স্বাদ নিতে বাধ্য হয়েছে এবং তারা মর্মপীড়ার দহনে দগ্ধ হয়েছে। এখানে আমরা রসেটির ভেতরের যে ধর্মীয় প্রতিক্রিয়া তারই প্রকাশ লক্ষ্য করি। রসেট্টি এটা জানতেন যে, সমাজের এই যে অবক্ষয়, এই যে গলি গুপচিতে ভূতরূপী কামুক পুরুষদের আনাগোনা সবই নৈতিকতার বিরোধী, ধর্ম বিরোধী সমাজের জন্যে মারাত্বক ভয়ঙ্কর। তিনি কিছুটা পুরুষ বিদ্বেষী হওয়ার কারণে ঐসব ফল বিক্রেতা ছদ্মবেশী কামুক পুরুষদের আহবানে সাড়া দেননি। কিন্তু অন্য বোন লরা যখন সে সবের আস্বাদ গ্রহণ করে তখন শাশ্বত নারী মনের আকুলতার কারণেই ক্ষীণ একটা চাপা লোভ তার মাঝে জাগ্রত হয়। অবশেষে সে আস্বাদের ভাগীদার হয় নিজেও, কিন্তু পরবর্তীতে তার মাঝে জেগে উঠে অনুশোচনার গ্লানি। গ্লানি হতে মুক্তি পেতে সে তার বোনকে শুশ্রুষা দিয়েছে, বলা চলে মানসিক শুশ্রষা, এবং লড়াই করেছে এই বিরুদ্ধ শক্তি অন্যদিকে লোভনীয় শক্তি ভুতরূপী লালসার সাথে। নিজেকে পরিশুদ্ধ করার চেতনা জাগ্রত হয়েছে তার মাঝে। মোট কথা কবিতায় একজন সরল ধর্মপ্রাণা যুবতীর আত্মসংবরণ আর সামাজিক অবক্ষয় থেকে নিজেকে বাঁচানোর আর্তি প্রকাশিত হয়েছে। এরপর কেটে গেছে অনেক দিন, দুজনেই গৃহিণী হওয়ার পর ফের তাদের মাঝে এই ভৌতিক ভীতির জাগরণ ঘটল, ভয় পেতে লাগল তারা। তারা চাইল সুখী সমৃদ্ধ-জীবন। তারা ছোটো ছোটো বাচ্চাদের ডেকে পুরনো দিনের গল্প বলতে গিয়ে বলত সেই সুখী দিনগুলোর কথা সেই ভূতুড়ে উপত্যকায় ঘুরে বেড়ানো ভূতবেশী ফল বিক্রেতাদের কথা। যে ফল অতি মিষ্টি আর রসালো কিন্তু সেগুলো গলায় বিষ ঢেলে দেয়। অবশেষে তাদের মাঝে বোধটা জাগ্রত হলো যে, অমন ভূতের পাল্লায় না পড়াই যুক্তিযুক্ত। সবাই যেন নিজের মাঝে শক্তি সঞ্চার করে আর অমন ভৌতিক বলয়ের মাঝে ভিড়ে না যায়। 

No comments:

Post a Comment