Andrea Del Sarto - Robert Browning - Bengali Translation part 1 of 2 |
কিন্তু, চলো
আমরা
আর
ঝগড়া
না
করি
না,
আমার
লুক্রিজিয়া;
একটি
বারের
মতো
আমাকে
মেনে
নাও
বসো, আর সব
কিছু
সেভাবেই
হবে
যেভাবে
তুমি
চাও।
তুমি
মুখটি
ফেরাও, এটা কি
তোমার
হৃদয়কে
ফিরিয়ে
আনবে?
আমি
তোমার
বন্ধু’র
বন্ধুর
ছবির
কাজ
করব,
ভয়
নেই
যেভাবে
আঁকতে
সে
বলেছে
সেভাবেই
তা
আঁকতে
দাও।
তার
নির্দিষ্ট
সময়ে
ছবি
হবে
দিতে,
অর্থ
সে
যা
দেয়
তাই
নেব।
আর
টাকাটা
তুলে
দেব
তোমার
ছোট্ট
হাতে
তখন
তুমি
আমার
হাতটা
ধরবে,
ধরবে
তো?
কোমলভাবে?
ওহ,
আমি
তার
ছবি
এঁকে
তুষ্ট—আজ
আর
ঝগড়া
করো
না
প্রিয়!
তুমি
যতটা
মনে
কর
তার
চেয়ে
আজ
আমি
বেশি
পরিশ্রান্ত
স্বাভাবিকের
চেয়ে
আজকের
সন্ধ্যায়
বেশি
ক্লান্তিবোধ
হয়।
তাই
ক্ষমা
কর
আমায়,
আমাকে
বসতে
দাও
এখানে
জানালার
পাশে,
তোমার
হাতটি
নিয়ে
আমার
হাতে।
আর
তাকিয়ে
থাকতে
নাও
জানালা
দিয়ে
ফিসোল
শহরের
দিকে।
[Fiesole - ইটালির ফ্লোরেন্স থেকে
তিন
মাইল
দূরে
অবস্থিত
একটি
ছোট
শহর।
শহরটি
পাহাড়ের
উপর
নির্মিত]
দু’জনে
এক
মনে,
যেমন
থাকে
বিবাহিতরা
শান্ত
নীরব
সাঁঝের
বেলায়।
তবে
আমি
উঠব
ভোরে,
আগামীকাল
ধরব
আবার
কাজ।
আনন্দ
উচ্ছল
চির
তারুণ্য
নিয়ে
- চল সে
চেষ্টাই
করি।
আগামীকাল
থাকবে
তুমি
কতই
না
আনন্দচিত্তে!
তোমার
কোমল
হাতটাই
যেন
এক
রমণী।
আর
আমার
পুরুষ
বক্ষ
পিঞ্জরে
মোচড়
দিয়ে
উঠে
সে।
কতটা
সময়
নষ্ট
হলো
সে
হিসেব
কর
না
কাজ
করে
যাও
পাঁচটা
ছবি
প্রত্যেকটির
জন্য
দরকার
মডেলের।
তুমিই
মডেলের
খরচটা
বাচালে,
তাই
ওভাবেই
তাকিয়ে
থাক
আমার
সর্প
[serpentining]
সুন্দরী,
রূপের
কুণ্ডলী
দিয়ে
বেঁধেছে
আমায়।
কি
করে
তুমি
কানকে
বেদনা
বিদ্ধ
কর।
যেথায়
রয়েছে
মুক্তোর
গহনা!
ওহ,
কতই
না
সুন্দর
মুখাবয়ব,
চন্দ্রিমা
যেন,
সারা
অঙ্গে
যেন
চাদের
স্নিগ্ধতা।
যা
সবাই
দেখে
তাকিয়ে
তাকিয়ে।
যবে
সে
তাকায়
মোর
পানে,
অতি
প্রিয়
দৃষ্টি,
কমতি
নেই
ভালবাসার!
তুমি
হাসছ?
আমার
ছবি
তো
প্রস্তুত।
যা
কিছু
আঁকি
রয়েছে
তাতে
যুক্ত
আমাদের
মিল
বন্ধন
সব
কিছুতে
এক
রূপালি
আলোকচ্ছটা।
সবকিছু
এ
গোধূলি
লগ্নে
একাকার
তোমার
আমার
মতো।
তুমি
প্রথম
দর্শনে
আমার
কাজ
দেখে
গর্বিত
হয়েছিলে
(তোমার
সে
গর্ব
আজ
তিরোহিত
তা
তুমি
জান)
কিন্তু।
আমি
আজও
সে
শিল্পীই
আছি।
আমার
যৌবন,
আমার
আকাঙ্ক্ষা,
আমার
শিল্প
সবকিছুকে
নামিয়ে
এনেছি।
দূরবর্তী
শান্ত
শহর
ফিসোল
এর
কিনারে।
মন্দির
চূড়ায়
বাজে
ঘণ্টাধ্বনি।
যা
ভেসে
আসে
মঠের
দেয়াল
অবধি
বাগান
বেষ্টিত
মঠ,
লোকে
লোকারণ্য।
দিন
শেষে
সর্বশেষ
সন্ন্যাসী
নিল
বিদায়
উপাসনালয়ের
বাগান
হতে।
আসলো
শরৎ,
সবকিছুতে
শরতের
ক্ষয়িষ্ণু
ছায়া।
আহ!
পুরো
পরিবেশ
যেন
পতনের
মুখে।
যেমনটি
দেখি
আমার
কাজ
আর
নিজের
জীবনের
মাঝে।
এসব
কিছুর
মাঝে
যেথায়
জন্মেছি
আমি।
সেথায়
দেখি
গোধূলি
লগনের
ক্ষয়িষ্ণু
প্রশান্তি,
প্রেয়সী,
মোরা
ইশ্বরের
হাতে
বাধা।
কী
অদ্ভুতই
না
লাগে,
জীবনের
পানে
তাকাতে
তিনি
আমাদের
সৃজন
করেছেন,
পরিচালনা
করছেন।
আমাদেরকে
যতটাই
মুক্ত
দেখায়
ততটাই
দৃঢ়ভাবে
শৃঙ্খলিত
মোরা!
অনুভবে
বুঝি
আমি
তিনি
আমাদের
করে
রেখেছেন
শৃঙ্খলিত,
চলতে
থাকুক।
উদাহরণস্বরূপ
এ
কক্ষের
কথাই
ধরি,
মাথাটাকে
ঘুরাও
আমাদের
পেছনে
যত
ছবি
আছে,
ওসবের
মানে—মর্ম
তুমি
বোঝ
না
বুঝতে
চেষ্টাও
কর
না
আমার
শিল্পকর্মকে।
তুমি
শুধু
সেটুকুই
শোন,
যেটুকু
জনগণ
প্রশংসা
করে।
সে
ছবিটাই
দেখ,
দরজা
থেকে
যেটি
দেখা
যায়
এটাই
সে
বস্তু,
ভালবাস!
তাই
তেমন
জিনিসকে-----
দেখ
সুন্দরী
[Madonna],
আমি
জোর
দিয়ে
বলছি
আমি
যা
জানি
তা
আঁকতে
পারি
আমার
পেন্সিল
দিয়ে।
আঁকতে
পারি
যা
আমি
দেখি,
হৃদয়ের
গহন
গহীনে
যার
আকাক্ষা
আমি
করি,
সব
সময়ই
গভীরভাবে
তা
কামনা
করি
সহজেই
করতে
পারি
যবে
বলি
সঠিকভাবে
আমি
অহংকার
করি
না,
নিজেকে
বিচার
কর।
গত
সপ্তাহে
শুনলে
পুরোহিতের
কথা।
এ
হচ্ছে
সেরূপ
কথা
যা
তারা
বলতো
ফ্রান্সে
[France – আন্দ্রেকে ফ্রান্সের রাজা প্রাসাদ সাজানোর জন্যে আমন্ত্রণ করেছিলেন]।
যেকোন
মূল্যেই
ইহা
সহজ।
সুদূর
অতীতে
কোন
ছবি
ছিল
না,
এ
নিয়ে
হয়নি
কোন
গবেষণা
অনেকেই
অতীতে
দেখেছে
ছবির
স্বপ্ন,
আমি
তা
করেছি
বাস্তবায়ন।
শুধু
কি
স্বপ্নই
দেখেছে?
আঁকার
জন্যে
চেষ্টাও
করেছে,
অনেক
কষ্টও
করেছে।
কিন্তু
আঁকতে
পারেনি,
এরকম
বিশ
জন
শিল্পীর
কথা।
আমি
গুণে
গুণে
বলতে
পারি,
তোমার
দু’হাতের
আঙুলের
দ্বিগুণ,
তারা
এ
শহর
ছেড়ে
যায়নি
যারা
কঠোরভাবে
চেষ্টা
করেছে
আঁকতে
তুমি
তো
জান
না
তারা
কতই
না
কঠোর
চেষ্টা
করেছে।
ওরকম
একটা
ছোট্ট
ছবি
আঁকতে,
যা
তুমি
নষ্ট
করে
দিলে
অসতর্কভাবে
হেঁটে
যেতে
তোমার
পোশাকের
টানে
এত
উদ্যোগ
নিয়েও
খুব
কমই
পেরেছে,
খুব
কমই
পেরেছে
ভাল
করে
আঁকতে;
বলেছে
এক
শিল্পী।
(আমি
তার
নাম
জানি
তবে
বলব
না)
খুবই
কম
পেরেছে!
লুক্রিজিয়া!
আমাকে
বিচার
করা
হয়ে
গেছে
তাদের
কম।
এ
অর্জনই
অনেক
বেশি
অর্জন।
কারণ
তাদের
মধ্যে
ঝলসে
উঠে
ঈশ্বরের
আলো।
তাদের
ক্ষ্যাপা
সন্দিগ্ধ
ভারী
মস্তিষ্ক
অন্তরাত্মা
এবং
অন্য
সবকিছু
তড়িঘড়ি
করে
কাজ?
আমার
প্রেরণাহীন
শিল্পীর
হাত
[কাজ]
অপেক্ষা
কাজ
তাদের
নিম্ন
মানের,
কিন্তু
তাদের
মাঝে,
আমি
জানি,
প্রবেশ
আছে
স্বর্গীয়
আলোর
যা
আমার
তরে
বন্ধ।
সে
আলো
প্রবেশ
করে
এবং
তাদের
শিল্পের
উন্নত
অবস্থা
করে
নিশ্চিত।
যদিও
তাদের
ছবির
মান
কম,
প্রকাশিত
হয়
না
ধরণীতে।
আমার
কাজ
স্বর্গের
কাছাকাছি,
কিন্তু
বসে
আছি
আমি
এখানে।
এ
লোকগুলোর
রক্ত
হঠাৎ
গরম
হয়ে
উঠে!
একটা
কথাতেই
তাদের
প্রশংসাসূচক
কথায়
রক্ত
ফুটতে
শুরু
করে,
সমালোচনার
কথায়ও
রক্ত
ফুটতে
থাকে
আমি
আঁকি
আমার
নিজ
থেকে
এবং
নিজের
তরে।
আমি
জানি
আমি
যা
করি,
আমি
অনড়
মানুষের
সমালোচনায়
অথবা
তাদের
প্রশংসায়,
কেউ
কেউ
করে
মন্তব্য।
আমি
Morello
পর্বতের
মত
অমনোযোগী,
অঙ্কনে
করি
ভুল।
রং
চড়াই
ভুল
করে—তাতে
কি?
অথবা
আঁকি
সুন্দর
করে,
সঠিক
ভাবে—তাতেই
বা
কি?
বলে
তারা
যেমন
খুশি,
পর্বত
কি
সেদিকে
খেয়াল
করে?
আহ,
মানুষের
আকাঙ্ক্ষা
থাকা
উচিত
নাগালের
বাইরে।
হয়
স্বর্গ
কিসের
তরে?
সবকিছু
রূপালি
ধূসর
শান্ত
সুষমামণ্ডিত
আমার
শিল্প,
আমি
জানি
আমার
কিসের
অভাব,
কি
আমি
অর্জন
করতে
পারতাম।
সব
কিছু
জেনেও
কোন
লাভ
নেই,
দীর্ঘ
শ্বাস
ছেড়ে
লাভ
নেই,
যদি
আমি
দু’জন
হতাম,
অন্য
একজন
এবং
আমি
নিজে
[অন্য
একজন—অর্থাৎ
লুক্রিজিয়া
না
হয়ে
অন্য
কেউ
যদি
তার
স্ত্রী
হতো
যে
তাকে
অনুপ্রাণিত
করতে
পারতো।]
তবে
আমরা
বিশ্ব
মাঝে
মাথা
উঁচু
করে
দাঁড়াতে
পারতাম!
কোন
সন্দেহ
নেই,
ছাড়িয়ে
যেতে
পারতাম
সেই
বিখ্যাত
যুবকের
কাজকে
[Raphael
Sanzio Da Urbino]
যিনি
ছিলেন
আরবিনো’র
[Urbinate]
অধিবাসী,
মারা
গেলেন
পাঁচ
বছর
আগে।
(তার
আঁকা
একটা
কপি
জর্জ
ভাসারি
আমাকে
পাঠালো)।
[George Vasari – আন্দ্রের ছাত্র ও পরবর্তীতে তাঁর জীবনী লিখেছিল]
হ্যা,
আমি
অনুমান
করতে
পারি
কিভাবে
তিনি
এসব
এঁকেছেন।
হৃদয়টাকে
ঢেলে
দিয়ে,
রাজ-রাজড়া
ও
পুরোহিতদের
আশীর্বাদপুষ্ট
হয়ে।
পৌছে
সে
স্বর্গে
যা
তাকে
অনুপ্রেরণায়
প্লাবিত
করে
দিয়েছে।
তার
শিল্প
নিজেকে
প্রকাশের
সর্বোন্নত
পথ
খুঁজে
পেয়েছে।
এ
ছবির
হাতটি
ত্রুটিপূর্ণভাবে
আঁকা——আবারো
সেখানে
অঙ্কন
রেখায়
ভুল
দেখা
যায়।
এটা
বলা
যায়
যে,
ভুলটা
ছবির
দেহে;
অন্তরাত্মা
ঠিকই
আছে
রাফায়েল
ভেবেছে
ছবি
ঠিকই
আছে
একটা
ছোট্ট
বালকও
ছবিটা
বুঝতে
পারবে
কিন্তু
হাতটা!
আর
আমি
ইচ্ছা
করলে
তা
ঠিক
করে
দিতে
পারি
কিন্তু
তার
সে
স্বর্গীয়
অন্তর্দৃষ্টি
তো
আমার
নেই,
আমার
হতে
দূরে!
আমা
হতে
দূরে!
একেবারে
দূরে
লুক্রিজিয়া!
তুমি
যদি
আমার
আত্মায়
সে
অনুপ্রেরণা
যোগাতে
পারতে
তবে
হয়তো
আমরা
রাফায়েলকে
ছাড়িয়ে
যেতে
পারতাম,
আমি
আর
তুমি
মিলে!
না,
প্রেয়সী,
তুমি
আমায়
দিয়েছ,
যা
চেয়েছি,
আমার
মনে
হয়।
আমার
যোগ্যতা
থেকে
বেশি
দিয়েছ,
বহুবার
দিয়েছ।
তব
ভ্রূ
কতই
না
মনোহরা,
নিখুত
নয়না
তুমি,
তার
থেকে
নজরকাড়া
তোমার
মুখোচ্ছবি।
পাখির
গানের
মতো
তোমার
কোমল
কণ্ঠস্বর
শোনে
মোর
প্রাণ
বংশীবাদকের
সুর
শুনে
ফাদের
দিকে
যেন
এগিয়ে
যাই
এসব
রূপ-গুণের
মতো
থাকতো
যদি
তোমার
একই
মানসিক
শক্তি!
কোন
কোন
রমণীর
থাকে!
যদি
তোমার
মুখ
থেকে
বের
হতো
ঈশ্বর
এবং
তাঁর
গৌরব!
কোন
কিছুর
তোয়াক্কাই
করতাম
না
Thanks
ReplyDelete