Total Pageviews

Monday, January 27, 2020

Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 5 of 7

Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 5

পর্ব ৪ লিঙ্ক 
Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 5
স্পিচ অন দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া বিল – এডমান্ড বার্ক - বাংলা অনুবাদ - পর্ব ৫ঃ 

আমি কোম্পানির অধীনস্থ রাজ্যগুলোর পূর্ণ চিত্র দেখাতে চাই আমি কর্নাটকের কথা বলব যার আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা উত্তরাঞ্চলের যেকোন রাজ্যের চাইতে খারাপ ভালো হবে, যদি বলি এই নগরী অন্যায়ের নগরী অবশিষ্ট রাজ্যগুলো ভারত এবং ইংল্যান্ড থেকে বিচ্যুত, যদিও সেখান থেকেই শাসন নিয়ন্ত্রণ হয় Carthage সম্পর্কে যা বলা হয়েছিল, "De Carthagine satius est silere quam parum dicere." [কার্থেজে, বেশি কম বলার চাইতে চুপ করে থাকা ভালো, দেখুন স্যালাসট, জুগুরদাইন যুদ্ধ ix.]  এই দেশটি দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে প্রায় ৪৬০০০ বর্গ মাইল কথা জোর দিয়ে বলা যায়, দু-এক জন ব্যাংকার যারা আবশ্যকীয় জমাদানকারী, পরিবেশক বাদে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি, সম্পদশালী, ভূ-স্বামী, বড় ব্যবসায়ী, অর্থশালী লোক ছিল না দেশটিতে বছরের একটি সময়ে আর্দ্রতা, সৃষ্টিকর্তার দান পাওয়া যেত মানুষের সযত্ন পরিশ্রম সৃষ্টিকর্তার দানকে পরিমিত ব্যয়ে চালাত হিন্দুরা সতর্কতার সাথে এবং ধর্মীয় উদ্দীপনা নিয়ে বছরের একটি সময়ের বৃষ্টিকে জলাধারে জমাত যথাসময়ের এই পানি দিয়ে পুরো দেশকে উর্বর করত পুরোহিত এবং হিন্দু শাসকদের প্রধান ধর্মীয় দায়িত্ব কৌশল হত এই চৌবাচ্চা সংরক্ষণ এবং চাষবাস, বীজ এবং গরুবাছুর সংরক্ষণ উন্নয়ন

এই কারণে কিছু অর্থ প্রদানের নির্দেশ ছিল সেখানে এমন কোনো পোল্লাম বা দুর্গ ছিল না যেখানে কোনো ধনসম্পদ ছিল না, যার দ্বারা তারা বছরের বিভিন্ন সময়ের বৈরী ঋতুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করত না শহরে সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য অনেক ব্যবসায়ী এবং ব্যাংকার ছিলেন অন্যদিকে দেশীয় রাজারা তাদের নিকট থেকে ঋণ নিতেন বর্তমান সময়ের মতো শিল্পপতিদের নিকট থেকে কর নেয়া হত না, উৎপাদনকারীরা তাদের উৎপন্ন দ্রব্য বা প্রাপ্য অর্থ থেকে অর্থ দিত দুঃখ-দুর্দশার সময় সমস্ত দেশে সরাইখানা হাসপাতাল খুলে দেওয়া হত সেখানে পথিক এবং দরিদ্ররা পরিচর্যা পেত সর্বস্তরের লোকের স্থান ছিল এই স্থানগুলো সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত ছিল দেশের সম্পদ সমৃদ্ধিতে আর্কটের [Arcot] নবাবিতে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হল অর্থ-সম্পদ জমিয়ে রাখা ছিল তাদের নিকট অপরাধ ভূ-স্বামীদের সাধারণ খাজনা দেওয়া ছিল প্রতারণা নিম্নপর্যায়ের রাজাদের জন্য নির্ধারিত করের বাইরে বেশি মওকুফ বিদ্রোহের শামিল এরপর সবগুলো প্রাসাদ ধ্বংস করা হল; দেশীয় রাজাদের নির্বাসিত করা হল, হাসপাতাল ধ্বংস করা হল, উৎপাদনকারীরা অন্যত্র চলে গেল এবং এইসব উন্নয়নশীল রাজ্যগুলোতে অনুর্বরতা, দারিদ্র্য, জনশূন্যতা প্রকট হয়ে দেখা দিল।।
কোম্পানি এই সকল অপকর্মের প্রতি এবং সত্যিকার কারণের প্রতি প্রথম দিকে সংবেদনশীল ছিল তাদের সঠিক নির্দেশ ছিল, দেশীয় রাজা যাদের পলিগার বলা হয় তাদের নির্মূল করা যাবে না পলিগারদের বিদ্রোহ (এই শব্দ বলত), ন্যায্যভাবে বললে, কারণ হচ্ছে নবাবদের কর আদায়কারীদের অব্যবস্থা তারা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে তাদের সৈন্যরাও অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত তারা আরো কঠিন ভাষা ব্যবহার করতে পারত অন্যত্র এর সংশোধন করেছেন পলিগারদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরিচালক বলেন, তাদের এই ভীতিপ্রদ জায়গায় ঠেলে দেওয়া সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী কঠোরতার কিছু উদাহরণ প্রয়োজন, “যখন তারা নবাবের হাতে পড়ে তখনো তারা ধ্বংসের পর্যায়ে যায়নিতারা ভয় করে যে তার সরকার মোটেই নরম নয় এবং রাজস্ব আদায়ে প্রচুর অত্যাচার হয় তারা বলে, কর্নাটককে যুদ্ধে অন্তর্ভুক্ত করাই তাদের দুর্দশার কারণএই দুর্দশা অনেক বড় কিন্তু নবাবের অত্যাচার আরো অনেক বড়দয়া করে স্যার লক্ষ করুন, তাদের মতামতের
কারণ যুদ্ধের চাইতে সরকারের হাতিয়ার কর্তৃক অত্যাচার আরো বড় কারণ তারা বলেন, “বিরামহীন অন্য সবকিছু সাময়িক এই অত্যাচারে নবাব বিশাল সম্পদ সংগ্রহ করেননিদারুণ দুঃখকষ্টের সময়ে হায়দায় আলীর আক্রমণের কারণে এই সম্পদ কারো কোনো উপকারে আসেনি
এই বক্তব্য কোম্পানির আচরণের সাথে তুলনা করা যুক্তিযুক্ত পলিগারদের ধ্বংসের বিরুদ্ধে তারা প্রথম যে কারণ আরোপ করে তা হচ্ছে তাঁতিরা তাদের দুর্গে অবস্থান নিত ফরাসিরা মাদ্রাজ দখলের [১৭৪৬] পর, তাদের দুর্গে অধিকাংশ তাঁতিসহ অধিবাসীরা আশ্রয় এবং সুরক্ষা পেত তাঁতিদের কোম্পানি হুল ফুটিয়ে হত্যা করত এবং দুর্ভাগা রাজারা তাদের আশ্রয় দিত এইসব আদেশসহ ঘোষণা সত্ত্বেও অবশেষে পরোক্ষ অনুমোদন প্রদান করে প্রত্যক্ষ এবং অদম্য শক্তির কিছু পদ্ধতি আশ্রয়গ্রহণ করে যা তারা বারবার ভুল কৌশল, নিষ্ঠুর, অমানবিক নির্যাতন বলে উল্লেখ করেছে রাজা, জনগণ
সবকিছু ভুলে গিয়ে তারা স্মরণে রাখল তাদের কিছু ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে কৌতুহলের ব্যাপার হচ্ছে, এই জন্য তারা তাদের সাধারণ প্রজাদের রক্ষার জন্য কিছু মনোযোগ দেয় মাথায় উদ্বিগ্নতা নিয়ে তারা নির্দেশ করে, পলিগারদের সংকুচিত করতে গিয়ে তাদের (তাদের চাকরদের সতর্ক হতে হবে যাতে তাঁতি এবং উৎপাদনকারীরা যেন তাদের নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত না হয়, যেমন নিরাপত্তা তারা পলিগান দেশে পেয়ে থাকে তারা তাদের তাঁবেদার আরকটের নবাবকে জানায় এদের শোচনীয় অবস্থার কথা-আমরা, মহাত্মন, আপনাকে অনুরোধ : করছি পলিগারদের উৎখাৎ করতে গিয়ে তাঁতিরা যে নিরাপত্তা ভোগ করত তা ক্ষুন্ন করবেন না তাদের প্রতি সযত্ন দৃষ্টি রাখবেন অত্যাচারীর পক্ষে যখন আশ্রয়দাতাকে উৎখাৎ করে তারা আশ্রিতদের অধিকার ধর্মজ্ঞানে সতর্ক দৃষ্টিতে দেখে যখন তারা রাখাল বালক এবং তার কুকুরকে শেষ করে, তখন তারা ধর্মজ্ঞানে দয়া সতর্ক দৃষ্টির জন্য নেকড়েকে সুপারিশ করে এটাই হচ্ছে তাদের সার্বিক রীতি তাদের হাতে ন্যস্ত দেশটি ধ্বংস এবং জনশূন্য করে দেয়ার জন্য একদিকে কিছু পদ্ধতি নিষেধ করছে, আবার কিছু পদ্ধতি উৎসাহ
দিচ্ছে কোম্পানির তাঁবেদারকে কোম্পানি সরকার সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে এটা অসাধারণ কিন্তু এটা তাদের নিরবচ্ছিন্ন রীতি সময় নষ্ট না করে তারা বেছে নিচ্ছে তানজোর এবং পার্শ্ববর্তী ভূমিসমূহ অর্থাৎ জায়গিরি, মাদ্রাজের পার্শ্ববর্তী [নবাব কোম্পানিকে ছেড়ে দেন ১৭৬৩] ইজারা দেয় নবাবের নিকট যাকে তারা নিরবচ্ছিন্ন নির্যাতনকারী এবং স্বৈরশাসক হিসেবে মনে করে এটা তারা ভান না করেই করে এই নবাব তাদের ভাড়াটিয়া হয় তিনি তাদের বারবারই বলেন, কর্তৃত্বের কারণেই তিনি জায়গিরি ভূমি গ্রহণ করেন, রাজস্বের চাইতে জায়গার মূল্য দেন তিনি বেশি অন্য ভূমি থেকে তিনি ক্ষতিপূরণ করবেন কর্নাটকে নির্যাতনের ভাণ্ড পূর্ণ করতে গিয়ে অবশিষ্ট সকল এলাকায়ই নির্যাতন করবেন
হাউস অনুধাবন করে যে, কোম্পানির পোশাক সর্বত্র এক রকম কোম্পানির নেতৃত্বে দেশগুলোর অবস্থা পরোক্ষ কিন্তু বাস্তবতার আলোকে বর্ণনা করেছি অপশাসনের মানচিত্র সামনে রেখে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, গণবিশ্বাসের একটি মিথ্যা বিশ্বাস সামনে নিয়ে, একটি ভোট হাতে নিয়ে ওই দেশগুলোর শাসনভার ওই হাতগুলোর হাতে ছেড়ে দেব কি না কোম্পানির ওপর যদি সেই বিশ্বাস রাখতে চাই, সেই বিশ্বাস পবিত্র, আদি, অপরিহার্য, পৃথিবী যার সাথে জড়িত, তা রাখতে পারবে না আমি এতক্ষণ পর্যন্ত বলেছি, যারা পরোক্ষভাবে কোম্পানি শাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এখন সংক্ষিপ্তভাবে বলার প্রয়াস নেব সেসব দেশগুলোর কথা, যারা প্রত্যক্ষভাবে সনদপ্রাপ্ত সরকারের অধীন এগুলোর মধ্যে আছে বাংলার প্রদেশসমূহ এই প্রদেশগুলোর অবস্থা ষষ্ঠ এবং নবম রিপোর্ট [সিলেক্ট কমিটির নবম রিপোর্ট] এবং তাদের পরিশিষ্টে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে আমি শুধু প্রধান এবং সাধারণ উদাহরণগুলো তুলে ধরব প্রথমত, ভূমিসংক্রান্ত স্বার্থ; দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়ী স্বার্থ; তৃতীয়ত, দেশীয় সরকার; চতুর্থত, নিজেদের সরকারের প্রতি
বাংলা এবং এর সাথে সংযুক্ত প্রদেশগুলো ফ্রান্স রাজ্যের চাইতেও বড় একসময় ছিল এমনি, যেমন ফ্রান্সে একটি বৃহৎ স্বাধীন, ভূমিস্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাজা, বড় জমিদার, অভিজাত ব্যক্তিত্ব, ভদ্রলোক, নিস্কর ভূমির মালিক, ভাড়াটিয়া, বিভিন্ন ধর্মের লোক, বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে মি. হেস্টিংস বাংলার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর [যোগ করা হয় (১৭৯২-১৮২৭) এই প্রতিনিধিত্ব] কোম্পানির কর্মচারীরা মনে করে, বাংলার ধ্বংস শুরু হয়েছে তারা জোরালোভাবে বলেন এবং আশঙ্কা করেন, এটাই বাংলার ধ্বংসের কারণ ১৭৭২ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কোনো প্রতিকার [একই স্থানে যোগ করা হয়, এই দুঃখজনক বিশৃঙ্খলা] না করে যে উপকার এই জাতির জন্য উপহার দিয়েছে, সেকি আমি বিশ্বাস করব? যে জাতির ভূমিস্বার্থ ফরাসি রাজ্যের সাথে তুলনীয় সেই জাতিকে নিলামে ওঠানো হল সকল অভিজাত সম্প্রদায়, ভদ্রলোক এবং ভূমির মালিকদের নিলামের ডাকে ওঠানো হল [বাংলার অধিকাংশ এলাকা জমিদার কর্তৃক পরিচালিত হত তারা কৃষকদের নিকট থেকে কর সংগ্রহ করে একটি অংশ মোগলদের পরে ইংরেজদের দিত বার্কের কিছু তুলনা অতিরঞ্জিত অষ্টাদশ শতাব্দীর জমিদারগণ বেশি শক্তিশালী ছিল হেস্টিংস সমস্ত দেশকে কৃষিকাজের জন্য ভাগ করেছিলেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে পাঁচ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হল কোনো কোনো জমিদার নিলামে সাময়িকভাবে জমিদারি হারালেন (দেখুন, এন.কে.সিং ইকনোমিক হিস্টরি অব বেঙ্গল, দুই ভলিউম, কলিকাতা ১৯৫৬-৭০ II ৬৮-৯৫)]

পুরনো মালিকদের কোনো প্রাধান্য দেয়া হল না তাদের নিলামে নামতে হল সুদখোর, সাময়িক ভাগ্যান্বেষী, ঠিকাদার, চক্রান্তকারী, ইউরোপিয়ানদের চাকরদের বিরুদ্ধে অথবা জমিদারির পরিবর্তে ঘরেই আবদ্ধ থাকতে হল অথবা রাষ্ট্রীয় নিলামদারগণ যে বৃত্তি প্রদান করে তাতেই সুখে থাকতে হলো এই সাধারণ দুর্যোগের মধ্যে অন্তত বাহ্যত তারা দেখায় জমিদারির নামে প্রজাদের উৎপীড়ন করে, ধ্বংস করে নিজে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চাইতে এই পেনশনের কাছে আত্মসমর্পণ করা ভালো এরপর আর একটি সংস্কার আসে, তা হচ্ছে বংশানুক্রমিক ভূমির পরিবর্তে নতুন পদ্ধতির অর্থনীতি এবং অতঃপর তারা পেনশন বঞ্চিত হয়
ইংরেজের বশংবদ ভৃত্যরা (পুরনো ধ্বংসপ্রাপ্ত পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানদের সম্পর্কে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়) যাদের পিতারা নিজেদের পালের কুকুর লেলিয়ে দেয় না তারা পৈতৃক ভূমিতে প্রবেশ করল ব্যবসায়ী মি. হেস্টিংস একশত চল্লিশ হাজার পাউন্ড কর পেলেন
এই ধরনের ভণ্ডামি নির্বাসনের কমই নজির আছে ভণ্ডামি পরিত্যাগের কোনো চেষ্টাই করা হয়নি এটাই একটা নজির এটা মানুষের যুক্তিকে বিপর্যস্ত করা, কল্পনাকে স্তম্ভিত করার স্মৃতিফলক যখন আমি বিষয়টি প্রথম জানতে পারি আমার বিস্ময় ঘৃণাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আটকে দিয়েছিল আমি বিস্মিত হলাম, কিছু অজানা তরুণের বেপরোয়া সাহস দেখে, যারা জানে না কোথা থেকে ক্ষমতা পেয়েছে যুগের, কালের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভূত ক্ষমতা বালসুলভ নৃত্যের মতো, যার প্রয়োজন ছিল না, যার সীমা ছিল না তা তারা উপড়ে ফেলেছে, নষ্ট করেছে, টুকরো টুকরো করেছে স্যার, এই ভূমি নিয়ে তারা কী করেছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বিরক্ত করব না শুধু জানাতে চাই, দুই বছর কোনো ভিত্তির ওপর কোনো কিছুই স্থির করা হয়নি এই মেকি আইন প্রণেতারা মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের অংশীদার ছিল না ইংল্যান্ডে প্রশাসনকে কিছু সবল করলেও দেশীয়দের সম্পত্তির কোনো স্থায়িত্ব হল না প্রতি বছরই সংস্কারের শিকার হল জনসাধারণ বর্তমানে সবই অনিশ্চয়তা, দৈন্য এবং বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এই বিরাট ভূ-খণ্ডে এমন কোনো জমিদার পাওয়া যাবে না যে স্বেচ্ছায় মানুষকে সাহায্য করতে পারে কিংবা লুণ্ঠনকারীর শিকার হতে পারে বেশি পূর্বে নয়, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন বড় রাজা, তাদের ছিল বিশাল সম্পদ, সেনাবাহিনী ছিল একজন জমিদার ছিলেন বাংলায় যিনি বাংলার একজন সুবাদারকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য মিলিয়ন স্টার্লিং ধার দিয়েছিলেন তাকে আজ নাস্তার জন্য বাজার করতে গেলে ঋণ করতে হয় [ফিলিপ ফ্রান্সিসের নদীয়ার রাজার নিকট পরিদর্শনে যে বর্ণনা দেন তারই কাহিনী]
আমি এখন কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ সম্পর্কে দু-একটি কথা বলব রিপোর্টে [নবম রিপোর্ট] দেখা যায়, বাংলার বিভিন্ন পর্যায়ে অবস্থানরত সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা কোম্পানি এবং উৎপাদনকারীদের মাঝামাঝি ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করে দেয়ার পাকাপোক্ত নীতি গ্রহণ করে দেশীয় ব্যবসায়ীরা অন্তরালে চলে যায় লুট করা রাজস্বই একমাত্র পুঁজি যা দিয়ে তারা উৎপাদন উৎপাদককে কিনে ফেলত তিন-চারটা কোম্পানির মাধ্যমে তারা অফিসিয়াল উপার্জন ইউরোপে পাঠাত বাংলায় অন্য কোনো ব্যবসার আর অস্তিত্ব থাকল না লুটের মাল পাঠানোই ছিল দেশের একমাত্র ব্যবসা কোম্পানি প্রাচ্যে ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণের পূর্ণ বিবরণের জন্য আমি নবম বিপোর্টের পরিশিষ্ট উল্লেখ করছি দেশীয় সরকার এবং বিচার সম্পাদনের ব্যাপারে প্রথম কয়েক বছর একটি টলটলায়মান অবস্থা ছিল ১৭৮১ সালে একটি পূর্ণ বিপ্লব হয়ে যায় তখন পর্যন্ত ফৌজদারি আদালত পরিচালনা করত মুসলমানরা কোনো নোটিশ ছাড়া, ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা মানুষের সাথে আলোচনা ছাড়া, কোনো মহাপরিচালক বা মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ ছাড়া একদিনেই পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিল [কোম্পানি প্রদেশের দেওয়ান হওয়ার পরও নওয়ারের হাতেই ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা ছিল, তবে বৃটিশ কর্তৃত্ব বেড়ে যায় ১৭৮১ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয় ফৌজদারদের স্থানে বৃটিশ জজদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হল - (এন মজুমদার, জাস্টিস অ্যান্ড পুলিশ ইন বেঙ্গল, ১৭৬৫-৯৩ কলিকাতা ১৯৬০ পৃ: ১৮২-)] একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠল যাতে এর আওতা ভাগ হয়ে গেল কোম্পানির ইংরেজ কর্মচারী এবং দেশের হিন্দু জমিদারদের মধ্যে হিন্দু জমিদাররা এর জন্য আবেদনও করেনি যার জন্য এর ফলাফল প্রত্যাশা করেনি কিন্তু এর ফলাফল সেভাবেই হল অর্থ আদায়ের ছলেই এটা করা হল বিচারব্যবস্থা ধ্বংসে দেশীয়দের সান্ত্বনা ছিল এই যে, ইংরেজ সরকারও বিশেষ একটা ভালো করতে পারেনি সবকিছু ধ্বংস করে এটাও তার গন্তব্য পথে পা দিল আমাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর যত অপকর্ম আমরা করেছি তার মধ্যে এই বিপ্লব একটা অসাধারণ সাহসী কাজ হিসেবে পরিগণিত হল পরিচালকদের সম্মতিতে ১৭৭২ [প্রকৃতপক্ষে ১৭৭৩ সালে] সালে প্রেসিডেন্ট এবং কাউন্সিল অব বেঙ্গল দেওয়ানি বিচার এবং অর্থ আদায়ের জন্য নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলল পরিকল্পনা মোতাবেক দেশটি ছয়টি জেলা বা প্রদেশে বিভক্ত হল এর প্রত্যেকটিতে একটি করে প্রাদেশিক কাউন্সিল থাকবে, যারা রাজস্ব নিয়ন্ত্রণ করবে পর্যায়ক্রমে প্রথমে প্রদেশে, পরে কলকাতায় আপিলের ব্যবস্থা থাকবে এই পদ্ধতিতে অন্যভাবে ভালো-মন্দ যাই হোক, যথেষ্ট সুবিধা হল প্রতিটি প্রাদেশিক কাউন্সিলে জনসংখ্যা, কর্তৃত্ত্ব, পারস্পরিক যোগাযোগ, নিয়ন্ত্রণ থাকল একজন পরিশ্রমী ব্যক্তি লন্ডনে বসে আলাপ-আলোচনায় নিখুঁত বর্ণনা, যৌক্তিক-অযৌক্তিক সবকিছু বিশ্লেষণ করে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের তীরে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে পারত
পরিচালকমণ্ডলী এই সংস্থাকে এই মর্মে অনুমোদন দিলেন এবং সঠিক নির্দেশ দিলেন, তাদের অনুমতি ব্যতীত কোনো পরিবর্তন করা যাবে না এই বিধানের বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পনা অবগত না হয়ে তাদের মনে করার কারণ ছিল, বাস্তবে কাউন্সিল জেনারেল অন্তত গভর্নর জেনারেলের অনুমোদন ছিল, যিনি মূলত পরিকল্পনা করেছিলেন এই বিপ্লবের সময় কাউন্সিল জেনারেল নামে মাত্র দু জন হলেও কার্যত একজনই ছিল [রাজস্ব প্রশাসন ১৭৮১ ইং নতুন পদ্ধতিতে গড়ে তোলা হল সেখানে হেস্টিংস এবং হোয়েলার শুধু সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন]
সেই সময় পূর্ণ কাউন্সিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই পদ্ধতি বাতিল না করলেও শ্রমসাধ্য এবং জটিল পদ্ধতিগুলো পরিহার করা আবশ্যক ছিল একটি বিশাল সাম্রাজ্যে যে ফর্মে বিপ্লব করা হল এবং যারা করল এই অবস্থায় একজন ব্যক্তির পক্ষে কোনো বিষয় বোঝাও যেমন কঠিন, তেমনি সম্পাদন করাও হঠকারিতা কোনো পূর্ব পদক্ষেপ ছাড়াই বাংলার দেওয়ানি ফৌজদারি বিধান শেষ করে দেয়া হল প্রদেশ থেকে পরামর্শকদের ফেরত নেয়া হল সরকারের প্রধান কর্মকর্তাদের মধ্যে পঞ্চাশ জনের বেশি কর্মচ্যুত হল এবং তারা জীবন-যাত্রা নির্বাহ এবং সকল ভবিষ্যতের জন্য মি. হেস্টিংসের মতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল প্রতিটি প্রদেশে একজন কাউন্সিল প্রধান এবং একজন ইউরোপিয়ান রাজস্ব সংগ্রহকারী রাখা হল কিন্তু স্যার, হঠাৎ করে যে সরকার ওলট-পালট হয়ে গেল সে স্থানে অনুমান করে নেয়া যায় একটি স্থায়ী ধরনের নতুন সরকার না, সে রকম কিছুই হল না এই প্রধানরা কাউন্সিল ব্যতীতই ঘোষণা দিলেন তাদের ধারাবাহিকতা সাময়িক এবং স্বীকৃত বৃটিশের অধীনস্থ রাজস্ব প্রশাসন কলকাতার একটি কমিটির নিকট ন্যস্ত হল যা গভর্নর জেনারেলের সৃষ্টি কর্তৃপক্ষের
অনুমতিসাপেক্ষে প্রাদেশিক ব্যবস্থাপনা দেশীয় কর্মকর্তাদের নিকট ন্যস্ত হল বিপ্লব এবং বিপ্লবের ফলাফল সার্থক হল শুধু অধীনস্থ নয়, হাউজ বিস্মিত হবে, রাজস্বের চূড়ান্ত প্রশাসন এই কমিটির নিকট দেওয়া হল এত দিন পর্যন্ত গভর্নর জেনারেল এবং কাউন্সিল রাজস্বসংক্রান্ত সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন নতুন নিয়মে এই ক্ষমতা কমিটিকে দেওয়া হল যারা শুধু কার্যবিধি অনুমোদনের জন্য রিপোর্ট পাঠাবে সমস্ত বিষয় একটি মূল নির্দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হল, বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজন নেইএতে কোম্পানির পুরনো প্রশাসন পদ্ধতি ধ্বংস করে দেওয়া হল, তবে লুকানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হল পূর্ব পর্যন্ত রাজস্বের হিসাবনিকাশ ছিল মোটামুটি স্বচ্ছ, অন্তত বিষয়গুলো তদন্তে প্রেরণ করে সন্তোষজনক অবস্থায় নেয়া হত কমিটির অজ্ঞাত এবং নীরব গ্রাসের মধ্যে চাপা দেওয়া হল রাত্রির গভীর ছায়া তাদের সমস্ত কার্যক্রম ঢেকে দিল প্রতারণা, অব্যবস্থা অথবা ভুল উপস্থাপনা শনাক্ত করার মতো কোনো কার্যকর পদ্ধতি থাকল না পরিচালকেরা রাজস্বের ব্যাপারে সাহসের সাথে আস্থা ব্যক্ত করল যে সম্পর্কে কিছুই জানে না পূর্বে যেখানে পূর্ণ করতে কয়েক ভলিউম লাগত এখন সেখানে এক শিট কাগজে কয়েকটি শুকনো শিরোনাম থাকে [রাজস্ব কমিটি বিশাল রেকর্ড রাখত যা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হত] সমগ্র দেশেই সবকিছু লুকানোতে অভ্যস্ত এমন লোককে রাজস্বের প্রধান ম্যানেজার নিয়োগ করা হল দেশী বলতে আমি সেইসব দুরাত্মাকে বুঝি, যাদের আপবাদে শাসকেরা তাদের প্রয়োজনের জন্য সবচেয়ে যোগ্য মনে করে স্যার জন ক্ল্যাভারিং তহবিল তছরুপের জন্য শয়তানির মধ্যমণি একজন দেশীয় গঙ্গা গোবিন্দ সিংকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছিলেন, তাকেই যোগাযোগসচিব করা হল এবং তিনিই হয়ে দাঁড়ালেন বোর্ডের কার্যক্রমের প্রধান ব্যক্তি[রাজস্বের নতুন কমিটির দেওয়ান ছিলেন গঙ্গা গোবিন্দ সিং যোগ্য কিন্তু দ্ব্যর্থবোধক চরিত্র]
রাজস্ব এবং দেওয়ানি শাসন ধ্বংস হল এবং সে স্থানে একটি গোপন সরকার অভিষিক্ত হল বিচারব্যবস্থার পরিবর্তন দেখা দিল ছয়টি প্রাদেশিক কাউন্সিলের জায়গায় ১৭৭২ সালে ছয়টি কোর্ট গঠিত হয় কোম্পানির জুনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে একজন জজসহ আঠার জনকে নিয়োগ দেওয়া হল এই কোর্টগুলো চালানোর জন্য শতকরা আড়াই পার্সেন্ট হারে বেশিসংখ্যায় এবং শতকরা পাঁচ পার্সেন্ট হারে কমসংখ্যায় মামলায় ট্যাক্স বসানো হল প্রদেশগুলো থেকে কলকাতায় টাকাটা নেয়া হল প্রধান বিচারপতিকে (স্যার এলিজা ইমপে - যিনি এই হাউজের জোটের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং রাজার নিয়ন্ত্রণে) কোষাধ্যক্ষ এবং ট্যাক্সের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যদিও সেই ট্যাক্স কোনো কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি, সম্রাট বা সংসদ নির্ধারণ করে না ফলে রাজস্ব, রাজনৈতিক প্রশাসন, ফৌজদারি, দেওয়ানি, সামরিক শৃঙ্খলাসহ প্রতিটি আইনগত নিয়মিত কর্তৃপক্ষ ধুলোয় মিশে গেল বর্তমানে আপনাদের বিশাল সাম্রাজ্যে সমর্থনপ্রাপ্ত সরকারের অবস্থা হচ্ছে অত্যাচারী, অনিয়মিত, খামখেয়ালি, অস্থির, লোভী, আত্মসাৎকারী, স্বেচ্ছাচারী, কর্তৃপক্ষকে দেশে না মানার প্রবণতা কোনো সূত্র, নীতি, কার্যবিধি ভারতে না মানার প্রবণতা
কোম্পানি তার বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েছে এই জাতির, মানব জাতির বৃহৎ এবং মূল্যবান স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না যদি সুযোগ্য এই হাউজের সমর্থন নিয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা, এবং ধারাবাহিকতা পুনরুদ্ধার করে এমন হাতে কার্যভার অর্পণ করার জন্য সকল অন্যায়ের প্রতিকারকল্পে আমার হর্ষোৎফুল্ল ভোট প্রয়োগ না করি তবে আমার বিশ্বাস, কাজে লাগবে না আমি শুধু কতিপয় মানুষের কতিপয় অভিযোগ আর সরকারের কতিপয় অন্যায়ের কথা তুলে ধরেছি আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি, আপনারা আমাকে প্রশংসা করবেন যখন আপনাদের আমি নিশ্চিত করব, আমার নিকট যে অভিযোগ এসেছে তার এক-চতুর্থাংশও তুলে ধরিনি অধিকন্তু আমার বিশ্বাস করার কারণ আছে, কোনো ক্রমেই আমার নিকট এক-চতুর্থাংশ অভিযোগ আসেনি প্রার্থনা করি আমি যা বলেছি তা শুধু আপনাদের তদন্তের
জন্য একটি সূচক হিসেবে কাজ করবে এটা যদি তাদের সনদপ্রদত্ত রাজনৈতিক ক্ষমতার বিশ্বাসের বহিঃ আন্তঃক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হয়, পরবর্তীকালে দেখা যাক কোম্পানির ব্যবসায়ী বিশ্বাসসংক্রান্ত চরিত্র এখানে আমি একটা নিরপেক্ষ প্রস্তাব দিই, যদি প্রমাণ করা যায় যে, তারা বিজ্ঞজনোচিতভাবে, সার্থকভাবে এবং মিতব্যয়িতার সাথে আচরণ করেছে, তবে তাদের সকল অপকর্ম আমি উপেক্ষা করব তাদের বর্তমান অবস্থা প্রমাণসাপেক্ষ যুদ্ধের জন্যই তাদের দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে কথা সঠিক নয় যুদ্ধোন্মাদনা তাদের ভিন্ন প্রকৃতির করে দিয়েছে এটা ঠিক নয় যে কারণে কমিটির সচিব তাদের রাজনীতিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ধারণার ওপর ব্যবসায়ী চিন্তা-চেতনা দাঁড়ানো বলে চিহ্নিত করেছেন কম দামে কেনা বেশি দামে বিক্রিই হচ্ছে প্রথম ব্যবসায়ী রীতির ভিত্তি কখনো কি তারা এই রীতি মেনেছে?
আমরা যা চুক্তি করি, তার মধ্যে দরকষাকষিতে কঠোরতা অবলম্বনও ব্যবসার একটি রীতি সেক্ষেত্রেও কোম্পানিকে পরীক্ষা করুন তাদের জন্য করা হয়েছে এমন চুক্তিগুলো দেখুন কোম্পানি কি তাদের সেনাবাহিনীর যথার্থ রসদ সরবরাহকারী? তাদের অসংখ্য ঘটনার মধ্যে প্রায় সবই এক রকম, মাত্র একটি চুক্তির কথা বলব, যাতে স্বল্পতম সময়ে অতিরিক্ত লাভ, যাতে তারা সারা বছরের লভ্যাংশ পেয়েছিল [অনুমান করা হয় গরুর চুক্তি] আরো দুটি ঘটনা দেখাব যাতে ক্ষতি
হয়েছিল মাত্রারিক্ত লাভ পাওয়ার জন্য সারা বছরের লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীর জন্য তৃতীয় অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তাদের কেরানিরা তাদের স্বার্থে যদি কাজ না করে, অল্প কয়েক দিন পূর্বে কোম্পানির গভর্নর এবং কাউন্সিল কোম্পানির বিনিয়োগের ওপর পঞ্চাশ হাজার টাকার কর ধার্য করে, এই উদ্দেশ্যে, যাতে সাত সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের সদস্যরা এতে সম্মান প্রদর্শন করে এবং এই বিনিয়োগ থেকে অধিকতর লাভে বিরত থাকে, কারণ শপথ করলেও তারা এটা ভাঙতোই
একজন ব্যবসায়ীর চতুর্থ গুণ হচ্ছে তার হিসাবে নিখুঁত হওয়া বাংলার কোষাগারে যে হিসাব দেখানো হয়েছে তার ধরন যদি তুলে ধরা যায়, তখন আপনারা কী মনে করবেন? শীঘ্রই পাবেন একটি এজেন্সিকে মালের পুরো খরচের ওপর শতকরা পনের ভাগ কমিশন দেওয়া হল যে ফ্যাক্টরিতে মাল প্রেরণ করা হল তাদের জন্য বিস্ময়ের কারণ ছিল এই জন্যই যে, অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল জানালেন, তিনি এই বিষয়ে এবং অন্যান্য ব্যাপারে ভাউচার তলব করার জন্য যেন ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হন, কারণ সম্মানিত প্রতিনিধি তাদের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তাদের ব্যবসায় এবং রাজস্ব বিভাগে মনে হয় নিয়মিতভাবে হিসাবের নতুন রীতি প্রতিষ্ঠিত হল, যা বাস্তবে হিসাবের সকল রীতি-নীতি নির্মূল হয়ে গেল [বার্ক জেমস অরিয়লের অন্য প্রেসিডেন্সিতে চাউল সরবরাহের চুক্তির উল্লেখ করেছেন]
একজন ব্যবসায়ীর পঞ্চম বিষয় হচ্ছে তিনি প্রতারণামূলক দেউলিয়াপনা পছন্দ করেন না ব্যবসায়ে বিনিয়োগকৃত টাকার ওপর লাভ প্রত্যাশা করেন যখন তারা আট দশ কিংবা শতকরা কুড়ি হারে মূল্য কম দিয়ে বন্ডে মাল কিনত তখন কি কোম্পানি এই মূল্যে ব্যবসায়ের সুবিধার ব্যাপারে ন্যূনতম প্রশ্ন করত?
                               পরের পর্ব

No comments:

Post a Comment