Total Pageviews

Saturday, September 21, 2019

A Valediction: Forbidding Mourning - John Donne - Summary and Analysis in bangla


A Valediction: Forbidding Mourning - John Donne -  Summary and Analysis in Bangla
A Valediction: Forbidding Mourning - John Donne -  Summary and Analysis in bangla
কবিতার সারসংক্ষেপ ও আলোচনাঃ 
কবি কবিতার শুরুতেই তার স্ত্রীকে জানাচ্ছেন যে বাধ্য হয়ে তাকে কিছুদিন বাড়ির বাহিরে থাকতে হবে। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে সে তার স্ত্রীকে জানায় তার বিদায় যেনো দূঃখময় ও শোকাতুর না হয়। নিষ্পাপ মানুষেরা যেমন নিঃশব্দে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়, কবিও সেভাবেই বিদায় নিতে চান। তারা (ভালো মানুষেরা) যখন মারা যায়, তখন তাদের পাশের মানুষগুলো বুঝে উঠতে পারে না তারা বেচে আছে না মারা গিয়েছে।  তার বিদায়ের সময় যেনো অশ্রুর বন্যা এবং দীর্ঘশ্বাসের ঝড় বয়ে না যায়। কবি বলেন এর কারনে তাদের ভালোবাসার পরিশুদ্ধতা নস্ট হবে। সাধারন মানুষের সাথে এই সকল বিষয়ে আলোচনা না করে তার স্ত্রীর উচিত তাকে নিরবে বিদায় দেয়া।
ভূমিকম্প হল একটি ক্ষতি ও ভয়ের বিষয়, এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রায়ই ফাটল ধরে। কিন্তু কবি মনে করেন যে তাদের ভালোবাসা এতোটাই মজবুত যে ভূমিকম্প তাদের ভালোবাসায় কোনরুপ ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। কবি তাদের ভালোবাসাকে আকাশের গ্রহগুলোর সাথে তুলনা করেছেন। গ্রহগুলো যাদেরকে কেন্দ্র করে ঘোরে তাদের থেকে আলাদা থাকে ঠিকই কিন্তু কখনো ছেড়ে যায় না। কবিও আলাদা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাদের ভালোবাসায় কখনো ভাঙ্গন ধরবে না। কবি তাদের ভালোবাসাকে কম্পাসের সাথে তুলনা করেছেন। কম্পাসের একটি কাটাকে কেন্দ্র করে অন্য কাটাটি প্রদক্ষিণ করে। কবির হৃদয়ও কম্পাসের কাটার মত, যতদূরেই যাকনা কেনো তা অন্যকাটার সাথে দৃঢ়ভাবে লেগে যাকে।  
কবি কবিতায় তাঁর প্রেমিকার প্রতি গভীর ভালোবাসা আর নিষ্ঠার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কারো কারো মতে, কবিতাটি কবি তার স্ত্রী এ্যানিমোরকে উদ্দেশ্য করে রচনা করেছেন। কবি এক সময় কয়েক সপ্তাহের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। তার এই অনুপস্থিতিতে তার পত্নী বিয়োগ ব্যথায় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কবি বলেন, তার প্রেম এতোটাই খাটি যে তিনি দূরে সরে এলেও তাদের দুজনার প্রেম খাটি নিখাদ, সাময়িক এই দূরত্ব তাদের মাঝে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না, হাতের স্পর্শ না পেলেও মনের ভেতরের আবেগ, ভালোবাসার কোনোরূপ ঘাটতি হবে না। যেহেতু দুজনের হৃদয় এক সে কারণেই দুজনের ভালোবাসায় কোনোরূপ ফাটল তৈরি হবে না। কবি তাঁর পত্নীকে বলেন, তুমি তোমার ভালোবাসায় সর্বদা স্থির থাকবে আমি যতো দূরেই থাকি না কেন। তোমার এই ভালোবাসার দৃঢ়তাই আমাকে স্থির রাখবে। মোট কথা কবি তাঁর পত্নীকে এই বলে কবিতায় সান্তনা দেন যে, খাটি ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন ঘটে না ভালোবাসার জন যতো দূরেই অবস্থান করুক না কেন।
কবি তার পত্নীকে সান্ত্বনা দেন এই বলে যে, তার স্ত্রী যেন তাঁর এই দূরে থাকার দিকটিকে বেশি গুরুত্ব সহকারে না দেখে, সে যেন এটা নিয়ে বেশি হৈচৈ করে সাধারণ মানুষদের কানে পৌছে না দেয়, কবি মনে করেন, সাধারণ মানুষের কানে পৌঁছলে তাদের গভীর ভালোবাসা নিয়ে তারা হয়তো ব্যঙ্গ করবে। ভালোবাসার মাঝে কালিমা লেপন করা হবে। কবি বলেন, তিনি সাময়িকভাবে স্ত্রীর কাছ থেকে আলাদা হলেও তাঁর আত্মা তো পড়ে রয়েছে পত্নীর কাছেই। নির্বোধ প্রেমিকরা যেমন শুধু ভালোবাসার ক্ষেত্রে দেহটারই মূল্য দেয়, কবি কিন্তু তা নন, তিনি আত্মিক প্রেমে বিশ্বাসী। কবি মনে করেন তাঁর পত্নী তিনি এক আত্মা এক সূত্রে বাঁধা, এই বন্ধনকে সাময়িক অনুপস্থিতি আলাদা করতে পারবে না। কবির প্রেম মজবুত শক্ত বাঁধনে আটকা। কোনো রকম খাদ নেই তাঁর ভালোবাসায়। কবি চান তার স্ত্রীও যেন এটা মনে করে। আর তার ফেরা না পর্যন্ত সে যেন তার ভালোবাসায় স্থির থাকে, সে যেন কখনোই মনোকষ্টে ভুগে তার শরীরকে জীর্ণ করে না ফেলে, সে যেন সর্বদা কবির প্রতি অনুরক্ত থাকে, যেহেতু তাদের দুজনের ভালোবাসা পরিশুদ্ধ আর খাটি। দুজনের মাঝে আছে গভীর এক অচ্ছেদ্য বন্ধনের নিশ্চয়তা। কবি বলেন তারা দুজন একটি কম্পাসের মজবুত দুটো বাহু, কোনো ক্রমেই যেন অন্য বাহুটি হেলে পড়ে। কবিতার-প্রতিটি ছত্রে তাঁর পত্নীকে সান্ত্বনা আর সাহস জোগাতে গিয়ে নিখাদ ভালোবাসার প্রমাণ রেখেছেন।
কবিতাটি ৯টি স্তবকে রচিত। ছন্দবিন্যাস ABAB আর মাত্রা হল Iambic Tetrameter.

2 comments: