Total Pageviews

Saturday, July 27, 2019

Crossing Brooklyn Ferry - Walt Whitman - Bangla Translation

Crossing Brooklyn Ferry - Walt Whitman - Bangla Translation 

Crossing Brooklyn Ferry
- Walt Whitman - Bangla Translation 



ক্রসিং ব্রুকলিং ফেরি
নিচ দিয়ে আমার জোয়ার আসছে! মুখোমুখি হয়ে দেখি তোমায়!
সূর্য ডোবার অর্ধপ্রহর পূর্বে পশ্চিমের মেঘও আমার মুখোমুখি হয়।
প্রচলিত বেশভূষায় নারী-পুরুষের ভীড়, কতটা আশ্চর্যের বিষয় তোমরা আমার কাছে!
শত শত মানুষ খেয়াতরীতে পার হয়ে যায়, ফেরে ঘরে, তোমার ভাবনা থেকেও আমি তাদের প্রতি আরো বেশি উৎসুক!
আরো ভাবনায় আছো, তোমরা যারা তীর থেকে তীরে সামনের বছরে হবে পার, 
তোমরাও আমার নিকট আশ্চর্যের বিষয়, যতটা তোমরা ভাবতে পারো।
 
দিনের প্রতিটি ঘন্টায় তোমাদের প্রতি অতীন্দ্রিয় পরিপোষণ।
সরল, দৃঢ়, সুসংযুক্ত কর্ম পরিকল্পনা, সেখানে আমি আলাদা,
প্রত্যেকেই আলাদা, অথচ আমরা সবাই এই পরিকল্পনার অংশ,
অতীতের সাথে মিল এবং ভবিষ্যতের সাথেও।
আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টি ও শ্রবনে অতীতের গৌরব গুলো যেনো সুতার মালায় গুটিবদ্ধ, রাস্তায় পদচারণ আর নদী পারাপার,
জলস্রোত ছুটে যায় প্রচন্ড গতিতে আর সাঁতরায় আমার সাথে বহু দূর পর্যন্ত,
অন্যদেরকেও যারা আমাকে অনুসরণ করে, আমার সাথে তাদের যে বন্ধন,
তাদের নিশ্চিন্ততা, জীবন, প্রেম, দৃষ্টি, শ্রুতি সবকিছুর সাথে।
অনেকেই আসবে খেয়াঘাটে এবং এক তীর হতে অন্য তীরে পার হবে,
দেখবে উত্তাল স্রোতের বয়ে চলা,
অন্যরা দেখবে উত্তর ও পশ্চিমে ম্যানহাটানের জাহাজ চলাচল, পূর্বে ও দক্ষিণে দেখবে ব্রুকলিনের শিখর,
ছোটো ও বড়ো দ্বীপগুলোকে দেখবে তারা।
অর্ধশত বছর পরও এগুলো দেখবে তারা সূর্য ডোবার আগে নদী পার হবার সময়,
শত বছর পর কিংবা আরো শত শত বছর পরও তারা এগুলো দেখবে,
উপভোগ করবে সূর্যাস্ত, জোয়ারের প্রবাহ, সাগরে পতিত হওয়া ভাটার টান।
সময়, স্থান কিংবা দূরত্ব সক্ষম হয়নি (আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে)।
আমি আছি তোমার সাথে, বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের অসংখ্য প্রজন্মের নারী ও পুরুষের সাথে,
তুমি আকাশ ও নদীর দিকে তাকিয়ে ঠিক যেমনটি অনুভব কর, আমিও তেমন অনুভব করেছিলাম,
জীবন্ত জনসমাগমের তুমি যেমন অন্যতম, আমিও ছিলাম তাদেরই একজন।
নদীর উচ্ছল প্রবাহ ও মনোরম দৃশ্য দ্বারা যেভাবে তুমি প্রাণবন্ত হও, আমিও ঠিক সেভাবে হই,
রেলিং-এ হেলান দিয়ে যেভাবে তুমি দাড়াও, তারপর তীব্রস্রোতে দ্রুত অগ্রসর হও,
আমিও ঠিক সেভাবেই হই,
যেমনটি তুমি দেখ। অগণিত জাহাজের মাস্তুল এবং স্টিমারের মোটা নল, আমিও ঠিক তেমনটি দেখেছিলাম।
আমিও অসংখ্য, অসংখ্যবার এই পুরাতন নদীটি পার হয়েছিলাম
দেখেছিলাম প্রাপ্তবয়স্ক গাংচিল, দেখেছিলাম তাদের নিশ্চল ডানায় আকাশে উড়া শরীরকে দুলিয়ে,
দেখেছিলাম কীভাবে উজ্জ্বল হলুদ শরীরের এক অংশ আলোকিত করে এবং বাকি অংশকে ঘন ছায়ায় রেখে,
দেখেছিলাম তাদের ধীর বৃত্তাকার চলা এবং দক্ষিণ প্রান্তে ক্রমশ মিলিয়ে যাওয়া
পানিতে গ্রীষ্মের আকাশের প্রতিফলন দেখেছিলাম,
যদি আমার চোখগুলো আলোক রশ্মির কম্পমান চিহ্ন দ্বারা ধাঁধা লেগে যেত,
দেখেছিলাম রৌদ্রালোকিত জলে আমার মাথার ছাচের মতো বৃত্তাকার চারপাশে কেন্দ্রচ্যুত আলোর বলয়,
তাকিয়ে ছিলাম দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম কোণে পাহাড়ের আবছায়ার দিকে।
তাকিয়ে দেখেছিলাম বাষ্প যেন বেগুনি আভাযুক্ত পশমের মতো উড়ছিল,
তাকিয়ে ছিলাম উপসাগরের দিকে জাহাজের আগমন দেখার জন্য,
দেখেছিলাম তাদের প্রবেশাগমন, দেখেছিলাম চতুর্দিকে যারা ছিল আমার কাছাকাছি,
দ্বিমাস্তল আর এক মাস্তুল বিশিষ্ট নৌকার সাদা পাল ও নোঙ্গরবদ্ধ জাহাজগুলো দেখছিলাম,
নাবিকেরা পাল টানানো কিংবা খুঁটি বের করার কাজে ব্যস্ত,
গোলাকার মাস্তুল, জাহাজের দোদুল্যমান গতি, পাতলা সর্পিল নিশান,
ছোটো ও বড়ো স্টিমারের চলমান গতি, পাইলটেরা রয়েছে তাদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে।
জাহাজের গমনপথের পেছনে ফেলে আসা শুভ্র ফেনিল জলরেখা, চাকার দ্রুত কম্পমান ঘূর্ণি,
সকল জাতির পতাকা, সূর্যাস্তে তাদের নামিয়ে ফেলা,
সন্ধ্যালোকে অর্ধবৃত্তাকার তরঙ্গমালা, বিতরণকৃত সুরাপাত্র, উচ্ছলিত ঝিলিক,
বিস্তৃত সুদুর ক্রমে ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হচ্ছে, ডেকের পাশে গুদামের ধূসর দেয়াল,
নদীর উপর পুঞ্জীভূত ছায়া, দুপাশে বজরাসহ বড়ো নৌকা, খড় বোঝাই নৌকা।
বিলম্বিত মাল খালাসকারী নৌকা,
রাতের আঁধারে পার্শ্ববর্তী উপকূলে ঢালাই কারখানার চিমনির আগুন উর্ধ্বে প্রজ্বলিত চোখ ধাঁধানো আলো যেন,
লাল ও হলুদ আলোর সাথে বৈসাদৃশ্য কালো অগ্নিশিখা নীচের রাস্তার ফাটলগুলোতে এবং ঘরের চূড়ায় নিক্ষেপিত,
এগুলো এবং বাকি সবগুলো দৃশ্যই আমার কাছে একই রকম ছিল, যেমন ছিল
তোমার কাছে,
আমি ভালোবেসেছিলাম সেই শহরগুলো, ভালোবেসেছিলাম রাজকীয় ও
মাহিমান্বিত ক্ষিপ্রবেগে ধাবমান সেই নদীকে,
যেসব নারী পুরুষ আমি দেখেছিলাম তার সকলেই আমার ঘনিষ্ঠ ছিল,
অন্যরাও ছিল একই রকম, তারা আমার দিকে ফিরে ফিরে তাকাত কারণ আমি
অধীর আগ্রহে তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম,
(সময় আসবে, যদিও আজ আমি এখানে থেমেছি)।
এখন আমাদের মাঝে দূরত্বটা কী?
আমাদের মধ্যকার হাজার বছরের দূরত্বের হিসাব গোনার প্রয়োজন কী?
যাইহোক না কেন, ইহা সফল হয়নি, দূরত্ব সফল হয়নি, এবং স্থানও সফল হয়নি,
আমিও বেঁচে ছিলাম, অসংখ্য পাহাড়ঘেরা ব্রুকলিন আমার,
ম্যানহাটান দ্বীপের রাস্তাগুলোতে আমিও হেঁটেছিলাম এবং ইহার চারপাশের পানিতে গোসল করেছিলাম,
আমিও অনুভব করেছিলাম, অস্বাভাবিক আকস্মিক প্রশ্নগুলো আমাকে আলোড়িত করে,
দিনের বেলায় মানুষের ভিড়ে তারা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে,
গভীর রাতে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে, কিংবা যখন আমি বিছানায় শয়ন করি তখন তারা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে,
আমিও আকস্মিক আঘাতে সমাধানের চিরন্তন ভেলা থেকে চিরতরে হয়েছি চ্যুত,
আমি আমার শরীরে ধারণ করেছি আমার পরিচিতি,
আমি জানতাম আমি যা ছিলাম তাই আমার শরীর এবং আমি জানতাম আমি যা হব তাই তবে আমার শরীর।
অন্ধকার তার প্রলেপ শুধু তোমার উপরেই ফেলেনি;
অন্ধকার তার প্রলেপ আমার দিকেও ছুঁড়ে মেরেছিল,
আমার সবচেয়ে ভালো কাজগুলো আমার কাছে মনে হয়েছিল নীরস ও সংশয়পূর্ণ,
যেগুলোকে ভাবতাম মহান চিন্তা, তারা কি প্রকৃতপক্ষে তুচ্ছ ছিল না?
তুমি শুধু একাই জানো না পাপ কী হতে পারে,
আমিও জেনেছিলাম পাপ কী হয়েছিল,
আমিও বুনেছিলাম বিপরীতের প্রাচীন বন্ধন,
আমিও বাচাল, লজ্জিত, ক্ষুব্ধ, বলেছিলাম মিথ্যা, করেছিলাম চুরি, হয়েছি অসন্তুষ্ট,
আমি বলতে ভয় পাই না, আমারও আছে ছলনা, ক্রোধ, উগ্র কামনাবাসনা,
আমি ছিলাম স্বেচ্ছাচারী, ব্যর্থ, লোভী, অসার ধূর্ত কাপুরুষ ও হিংসুটে,
আমার মাঝে উপস্থিত ছিল নেকড়ে, সাপ ও শূকরের হিংস্রতা,
ঠক দৃষ্টি, মূর্খের উক্তি; ব্যভিচারীকামনা ও উপস্থিত ছিল,
প্রত্যাখ্যান, ঘৃণা, হীনতা, অলসতা কোনোটারই কমতি ছিল না,
বাকি সবার মতো আমিও ছিলাম,
যুবকেরা আমাকে ডাকনামে ডেকেছিল উচ্চস্বরে, স্পষ্টভাবে যখন তারা আসা যাওয়ার পথে আমাকে দেখত,
ভব করতাম আমার কাঁধে তাদের বাহু, কিংবা যখন বসে থাকতাম তখন আমার শরীরে তাদের অলসতাপূর্ণ হেলান,
জনসভায়, খেয়াঘাটে কিংবা রাস্তায় অনেক প্রিয়মুখ দেখতাম তবুও কখনো তাদের একটি কথাও বলিনি,
অন্যদের মতোই জীবনযাপন করেছিলাম, একই রকম ঘুম, আহার আর আনন্দ নিয়ে,
অভিনেতা অথবা অভিনেত্রীর দিকে ফিরে তাকিয়ে সেই একই অভিনয় করেছিলাম,
সেই একই শাশ্বত ভূমিকা যা আমরা পছন্দমতো বড়ো করে তৈরি করি,
কিংবা ছোটো করে, কিংবা বড়ো ছোটো উভয় করি।
খুবই আপন, তবু আমি তোমার আরো কাছে আসি,
এখন আমাকে নিয়ে তোমার কী চিন্তা, তোমার সম্বন্ধে আমি অনেক জেনেছিলাম,
আগেই আমি স্মৃতিতে জমা রেখেছিলাম,
তোমার জন্মের পূর্বে তোমাকে নিয়ে আমি গভীরভাবে দীর্ঘদিন ভেবেছিলাম,
কে জানত আমার বাড়িতে কি আসা উচিত? কিন্তু কে জানে আমি এসব উপভোগ করেছি?
কিন্তু কে জানে, আমি তোমাকে দূর থেকে ভালোভাবে দেখেছি, যদিও তোমরা কেউ আমাকে দেখনি?
মাস্তুলের মুকুটশোভিত ম্যানহাটান থেকে আমার নিকট কী হতে পারে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও প্রশংসনীয়?
নদী, সূর্যাস্ত ও জোয়ারের অর্ধবৃত্তাকার তরঙ্গমালা কী হতে পারে?
সমস্ত শরীর কাঁপিয়ে গাংচিলের উড়ে যাওয়া, সন্ধ্যালোকে খড় বোঝাই নৌকা এবং বিলম্বিত মাল খালাসকারী জাহাজ হতে পারে কি?
ঐ দেবতাগুলো কি এগুলোকে অতিক্রম করতে পারে যা আমাকে মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে,
এবং প্রিয় উচ্চস্বরে আমার ডাকনাম ধরে ডাকে আমাকে যেন আমি আরো কাছে?
এর চেয়ে কে আমাকে আরো সূক্ষ্মভাবে বাধতে পারে পরিচিত নরনারীদের সাথে?
কে আমাকে তোমার সাথে মিশিয়ে ফেলতে পারে এবং আমার উদ্দেশ্যকে তোমার দিকে প্রবাহিত করতে পারে?
আমরা বুঝতে পেরেছি, পারিনি কি বুঝতে?
আমি কি উল্লেখ না করে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, তুমি কি গ্রহণ করনি?
কোন অধ্যয়ন যা শিক্ষা দিতে পারে না, কোন ধর্মোপদেশ যা সফল করতে পারে, সেটা সফল হয়েছে, হয়নি কি?
বয়ে যাও নদী, বয়ে যাও প্রবল জোয়ারের সাথে আর ভাটার টানে!
উচ্ছল, উঁচু, অর্ধবৃত্তাকার তরঙ্গমালা সূর্যাস্তের বর্ণোজ্জ্বল মেঘমালা!
তোমার উজ্জ্বলতা দ্বারা প্লাবিত কর আমাকে এবং আমার পরের প্রজন্মের নারী পুরুষকে!
অগণিত যাত্রী পার হয় এক তীর হতে অন্য তীরে!
দণ্ডায়মান ম্যানহাটানের উঁচু মাস্তুল!
দণ্ডায়মান ব্রুকলিনের মনোরম পাহাড় শ্রেণি!
কম্পিত, দ্বিধাগ্রস্ত কৌতুহলী চেতনা, ছুঁড়ে ফেলে দাও জিজ্ঞাসা আর সমাধান।
অমীমাংসীতভাবে কেন রাখ এখানে, সমাধানের চিরন্তন তরী ভাসছে!
সবখানে সমাবেশে, রাজপথে কিংবা প্রতিটি বাড়ির দিকে প্রিয়, অপলক তৃষ্ণার্ত দৃষ্টি!
হে যুবকের কণ্ঠ, মুখরিত হও। মধুর স্বরে ডাকো আমায় ডাক নামে!
বেঁচে থাক পুরোনো জীবনে! অভিনয় কর সেই ভূমিকায় যা ফিরে তাকায় অভিনেতা ও অভিনেত্রীর পানে!
অভিনয় কর সেই পুরাতন ভূমিকায় যা ছোটো কিংবা বড়ো হয় মানুষের ইচ্ছাতে।
ভেবে দেখ, তোমরা যারা এই কবিতা পড়, হয়তো আমি অনুপস্থিত থেকেও তোমাদেরকে দেখি;
স্থির হও, চল বেগবান স্রোতের সাথে, আলস্যে হেলান দেয়া ব্যক্তিকে সাহায্য করতে;
সাগরের পাখিরা উড়ে যাও! উড়ে যাও একপাশে, কিংবা চক্রাকারে উড়ে আকাশে;
তোমার জলরাশিতে প্রতিফলিত হবে গ্রীষ্মের আকাশ, ধরে রাখ শক্ত করে ইহাকে যতক্ষণ সকল নমিত দৃষ্টি তোমার থেকে ফিরিয়ে না নেয়!
ছড়িয়ে দাও ঝলমল আলোক বলয় রৌদ্রালোকিত জলে, আমার কিংবা অন্য কারো মাথার ছায়া থেকে!
নিম্ন উপসাগর হতে সাদা পাল তুলে ছোটো, বড়ো আর মাল খালাসকারী জাহাজগুলোর আসা যাওয়া!
ঊর্ধ্বে তোলো সকল জাতির পতাকা! নামাও যথাযথভাবে সূর্যাস্তে! জ্বালাও তোমার ঢালাই কারখানার চিমনি!
রাতে ফেল তোমার কালো ছায়া, গৃহগুলোর চুড়ায় ফেল হলুদ রক্তিম আলো।
বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতে এসবের আবির্ভাব,
ফুটিয়ে তুলবে তোমার রূপ,
সবসময় তুমি প্রয়োজনে আচ্ছাদিত কর আত্মাকে,
আমার এবং তোমার শরীরে চারপাশে আমাদের জন্যে ছড়িয়ে দেওয়া হোক স্বর্গীয় সৌরভ,
সমৃদ্ধ কর নগরীকে আননা তোমার মালবাহী জাহাজ, দেখাও তোমার ঐশ্বর্য, হে বিশাল জলরাশি,
প্রসারিত কর তোমার সত্তাকে, যা থেকে কোনো কিছুই নয় অধিক আলৌকিক,
রাখ ঐশ্বর্যগুলো তোমার নিকট, যা থেকে কোনো কিছুই অধিক টেকসই নয়
তুমি অপেক্ষা করেছ, তুমি সব সময় অপেক্ষা কর, তুমি নীরব অপরূপ যাজক,
অবশেষে আমরা তোমাকে গ্রহণ করি মুক্ত চেতনায়, আমরা এখন থেকে চির অতৃপ্ত,
তুমি আমাদেরকে আর হারাতে পারবে না, কিংবা নিজেকে পারবে না লুকাতে,
আমরা তোমাকে কাজে লাগাই, পরিত্যাগ করি নাআমাদের মাঝে তোমায় স্থাপন করি চিরতরে, 
আমরা তোমায় মেপে দেখি না তলা পর্যন্ত, আমরা তোমাকে বাসি ভালো, তোমার মাঝেও আছে পূর্ণতা,
তোমার অংশগুলোকে সাজাও অনন্ত জীবনের তরে,
বৃহৎ কিংবা ক্ষুদ্র, তুমি সাজাও তোমার অংশগুলোকে তোমার আত্মার মত করে

এই কবিতাটির অন্যান্য লিঙ্ক সমূহঃ 


1 comment: