![]() |
The Rime of the Ancient Mariner - Samuel Taylor Coleridge - Bangla Summary - Full Poem |
Bangla Summary - Full Poem
সারাংশ
প্রথম অংশ:
একজন প্রাচীন নাবিক যার ছিল লম্বা ধূসর দাড়ি এবং উজ্জ্বল চোখ,
বিয়ে খেতে আসা তিনজন অতিথির মধ্যে একজনকে দাড় করায় এবং তার গল্প শোনাতে চায়। অতিথি সম্মোহিত হয়ে দাড়িয়ে যায় এবং নাবিকের গল্প না শুনে পারে না। নাবিক তার গল্প বলতে থাকে। সে বলতে থাকে কীভাবে উপকূল ছেড়ে যাবার পর অনুকূল বাতাস পেয়ে পালে হাওয়া লেগে জাহাজ দক্ষিণ দিকে এগোতে থাকে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় এবং বজ্রপাত শুরু হয়। সেই বড় জাহাজটাকে প্রচণ্ড কুয়াশা এবং বরফের দেশে গিয়ে ফেলে । জাহাজের নাবিকরা সেখানে কোনো পশু বা পাখি দেখতে পায় না। অবশেষে একটা অ্যালব্যাট্রস পাখি উড়ে আসে এবং জাহাজটাকে অনুসরণ করতে থাকে। পাখিটা আসার সাথে সাথে আবহাওয়া আবার ভালো হয় এবং অনুকূল বাতাস আবারো বইতে থাকে। নাবিকেরা পাখিটাকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে চিহ্নিত করে এবং মমতা সহকারে তাকে খাবার দিতে থাকে। কিন্তু হায়, প্রাচীন নাবিক একদিন রঙ্গ-তামাশার এক পর্যায়ে পাখিটাকে তীর মেরে হত্যা করে এবং তাদের সুদীর্ঘ ভোগান্তির সূচনা করে।
দ্বিতীয় অংশ:
কিছুদিন সবকিছু ভালোই চলতে থাকে। কুয়াশা কেটে যায়,
সূর্য ওঠে। জাহাজ আনন্দের সাথে সামনে এগিয়ে যায়। সুদিন বলে সবাই নাবিকের কর্মকে প্রশংসা করে বলে যে পাখিটাকে হত্যা করাই উচিত কারণ ওটা তাদের জন্য কুয়াশা আর তুষারপাত নিয়ে এসেছিল। ওটা মারা যাবার পর থেকেই কুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্য উঠেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাতাস পড়ে যায়, জাহাজ স্থির হয়ে যায়। সমুদ্র শাস্ত হয়ে যায়,
সূর্য বীরবিক্রমে জ্বলজ্বল করতে থাকে। নিস্তব্ধ সমুদ্র পচতে থাকে। নাবিকেরা অসহনীয় তৃষ্ণায় ছটফট করতে থাকে। রাতের বেলা সমুদ্রে অপার্থিব আগুন জ্বলে। সমুদ্রের প্রেতাত্মারা জলের গভীর থেকে জাহাজকে টেনে ধরে,
কখনো আঘাত করে। সেই সাথে তারা তীব্র তৃষ্ণা এবং ভয়ংকর সব দৃশ্য দিয়ে নাবিকদেরকে নিরীহ-সৌভাগ্যবহনকারী অ্যালব্যাট্রসকে হত্যা করার দায়ে শাস্তি দিতে থাকে। জাহাজের সবাই তখন নাবিককে দোষারোপ করতে থাকে এবং অ্যালব্যাট্রসটাকে হত্যা করার অপরাধে তার গলায় মৃত অ্যালব্যাট্রসকে ঝুলিয়ে দেয়।
তৃতীয় অংশ:
নাবিকেরা তীব্র প্রতিকূল সময় কাটাতে থাকে। তখন প্রাচীন নাবিক দূর দিগন্তে একটা ক্ষুদ্র অস্তিত্ব দেখতে পায়। নাবিক ভাবে যে একটা জাহাজ তাদের দিকে এগিয়ে আসছে এবং দুরবস্থা থেকে উদ্ধার পাবার সম্ভাবনায় সে খুশি হয়ে ওঠে। সে নিজের বাহু কামড়ে রক্ত বের করে কণ্ঠ একটু ভিজিয়ে নেয় যাতে করে সে তার সঙ্গীদের ডাকতে পারে। কিন্তু হায়, কাছাকাছি এলে দেখা যায় ওটা একটা কংকালসদৃশ জাহাজ, কোনো বাতাস বা পাল ছাড়াই মসৃণ গতিতে এগিয়ে আসছে। পরমুহূর্তে নাবিক দেখতে পায় জাহাজের ডেকে স্বয়ং মৃত্যু এবং জীবনমৃত্যু বসে পাশা খেলছে, এবং খেলায় তারা বাজি ধরেছে প্রাচীন নাবিককে। খেলায় জীবনমৃত্যু বিজয়ী হয়। কাজেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে,
প্রাচীন নাবিক ব্যতীত অন্য নাবিকরা এখনই মারা যাবে এবং তাদের তীব্র যন্ত্রণার অবসান হবে কিন্তু প্রাচীন নাবিক বেঁচে থাকবে যাতে করে সে তার অপরাধের শাস্তি দীর্ঘদিন ভোগ করতে থাকে, জীবন্ত হয়ে বেঁচে থাকে।
ভৌতিক জাহাজ অদৃশ্য হয়। একে একে দু’শ নাবিকের প্রত্যেকে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। প্রাচীন নাবিক বেঁচে থাকে শুধু আজীবন তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য।
চতুর্থ অংশ:
অসীম সমুদ্রে প্রাচীন নাবিক সম্পূর্ণ একা। ঈশ্বর প্রেরিত কোনো মহাত্মা তাকে বাচাতে আসে না। সুন্দর মানুষগুলো তাকে ঘিরে ডেকে মৃত পড়ে আছে। জাহাজের চারদিকে জলসাপের দল খেলা করে
বেড়ায়। নাবিক চারদিকে মৃত নাবিকদেরকে দেখে। সে প্রার্থনা করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে একটি অশুভ ফিসফিসানি শুনতে পায়। সেই ফিসফিসানি তার হৃদয়কে বালুর মত শুকনো করে দেয়। আকাশ এবং সমুদ্রের দৃশ্য সিসার মত ভারী হয়ে তার চোখে যেন চেপে বসে। আর মৃত ব্যক্তিরা তার পায়ের কাছে পড়ে থাকে। তার বিবেক এবং মৃতদের নিষ্প্রাণ চোখ তাকে
দোষী ঘোষণা করে। শীঘ্রই চাঁদ ওঠে এবং পুরো সমুদ্রকে সাদা আলোয় আভাসিত করে। প্রাচীন নাবিক সেই শুভ্র আলোয় জলসাপগুলোকে পানিতে সাতার কাটতে দেখে। সে তাদের সৌন্দর্যকে প্রশংসা করে। হঠাৎ একটা ভালোবাসার স্রোত তার হৃদয়ে বয়ে যায় এবং সে অবচেতনেই অন্তরের অন্তস্তল থেকে তাদেরকে আশীর্বাদ করে। সেই মুহূর্তেই সে প্রার্থনা করতে সক্ষম হয়। মৃত অ্যালব্যাট্রস তার গলা থেকে খসে সমুদ্রে পড়ে সিসার মতই সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যায়।
পঞ্চম অংশ: তারপর প্রাচীন নাবিক বহুদিন পর গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। জেগে ওঠার পর সে টের পায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি তার গরমে সেদ্ধ হয়ে যাওয়া ঠোট এবং তার তৃষ্ণার্ত কণ্ঠকে তৃপ্ত করেছে। নিজেকে তার এতই হালকা বোধ হলো যে সে নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ভারও টের পাচ্ছে না। তার মনে হতে থাকে সে বোধহয় ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছে এবং একটি আশীর্বাদপ্রাপ্ত আত্মায় পরিণত হয়েছে। সে অদ্ভুত শব্দ শোনে এবং আকাশে অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পায়। একটুকরো কালো মেঘ বৃষ্টি ঝরায় আবার সেই মেঘেরই কিনার থেঁষে চাদ জ্বলজ্বল করতে থাকে। মৃত ব্যক্তিরা হঠাৎই গুঙিয়ে ওঠে এবং জেগে ওঠে যেন তারা এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল। তারা সবাই একত্রে কাজে লেগে যায় এবং জাহাজ সামনে এগোতে থাকে। প্রাচীন নাবিক এবং তার ভাইপো একই দড়ি নিয়ে কাজ করছিল। কেউ কারো সাথে কোন কথা বলছিল না। মৃত ব্যক্তিরা বোধশক্তিহীন কোনো আত্মার মতো কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু পরদিন সকালে তারা আবার প্রাণহীন হয়ে যায়,
তবু জাহাজ এগোতে থাকে। দক্ষিণ মেরুর প্রতিহিংসাপরায়ণ আত্মা জাহাজকে এগিয়ে নেয়। দুপুরবেলা জাহাজ স্থির দাড়িয়ে যায়। কিন্তু পরমুহূর্তে আবার চলতে শুরু করে এবং হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে । প্রাচীন নাবিক অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। ওই অবস্থায় সে শুনতে পায় দুটো আত্মা তার পাপ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। একটি কণ্ঠ বলে যে নাবিক অ্যালব্যাট্রসকে হত্যা করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। অন্যজন বলে যে নাবিক যথেষ্ট প্রায়শ্চিত্ত করেছে এবং আরো করবে।
ষষ্ঠ অংশ:
যখন প্রাচীন নাবিক জেগে ওঠে,
সে দেখতে পায় চাঁদের আলোয় সবকিছু ভেসে যাচ্ছে আর মৃত নাবিকেরা আবার উঠে দাড়িয়েছে। তারা তাদের ভাবলেশহীন পাথুরে চোখে তার দিকে চেয়ে আছে। কিন্তু শীঘই এই অদ্ভুত অবস্থার অবসান হয়। তখনই জাহাজটি একটি উপকূলে প্রবেশ করে এবং তৎক্ষণাৎ নাবিক চিনতে পারে যে এটি তার নিজেরই দেশ। বিস্মিত হয়ে নাবিক দেখতে পায় প্রতিটি মৃতদেহের পাশে একজন করে দেবদূত দাড়িয়ে আছে এবং তারা অদ্ভুত ভঙ্গিতে হাত নেড়ে যেন কোনো সংকেত দিচ্ছে। এই নিস্তব্ধতা সঙ্গীতের মতো তার হৃদয়ে গেঁথে গেল। শীঘ্রই সে দেখতে পেল একটি নৌকা তাদের দিকে এগিয়ে আসছে যেখানে ওই নৌকার মাঝি,
মাঝির ছেলে এবং একজন ভালো সন্ন্যাসী ছিল। প্রাচীন নাবিক আনন্দিত হয়,
কারণ সে আশা করে এই সন্ন্যাসী তার মন থেকে পাপ ধুয়ে দেবেন।
সপ্তম অংশ:
কিন্তু নৌকাটি কাছাকাছি আসার আগেই বজ্রপাতের মতো একটি আওয়াজ শোনা গেল এবং জাহাজটি সিসার মতোই সমুদ্রে ডুবে গেল। কিন্তু পাইলট তাকে উদ্ধার করে। নাবিকের অদ্ভুত চেহারা দেখে পাইলট ভয় পেয়ে যায়
এবং তার ছেলে প্রায় উন্মাদ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নাবিক নিজেকে স্বদেশের শক্ত মাটিতে খুঁজে পায়। সে সন্ম্যাসীর কাছে অনুরোধ করে যাতে সে তার পাপ ধুয়ে দেয়। সন্যাসী তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে সে তখন তার ভৌতিক চেহারার ইতিহাস বর্ণনা করে। তখন থেকে মাঝে মাঝেই তার পুরোনো পাপ আর তার শাস্তির কথা মনে পড়ে আর শুধুমাত্র কারো কাছে নিজের কাহিনি বর্ণনা করলে তবেই শান্তি মেলে। নাবিক বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিকে বলে যে সে রাতের মতো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। সে দাবি করে তার অসাধারণ কথা বলার ক্ষমতা আছে এবং সে মানুষের চেহারা দেখলেই বুঝতে পারে কে তার কথা শুনবে। বিদায় নেবার আগে সে বলে-সেই ভালো প্রার্থনাকারী যে ভালো প্রেমিক, যে ছোটো বড়ো সব সৃষ্টিকে একইরকমভাবে ভালোবাসে। তারপরই প্রাচীন নাবিক হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়।
চমৎকার।।
ReplyDeleteGood job, bro
ReplyDeleteI'm getting benefitted by reading your articles. Thank you & carry on.
ReplyDelete