Total Pageviews

Wednesday, July 25, 2018

Troilus and Criseyde – Geoffrey Chaucer Bangla - ট্রয়লাস এন্ড ক্রিসেড জিওফ্রে চসার পর্ব ১





Troilus and Criseyde – Geoffrey Chaucer Bangla

ট্রয়লাস এন্ড ক্রিসেড
জিওফ্রে চসার

চরিত্রসমূহ
১। ট্রয়লাস
২। ক্রিসেড
৩। প্যান্ডারাস
৪। ক্যালচাস
৫। হেক্টর
৬। এন্টেনর
৭। ডাইওমিডিস
৮। ডেইফেবাস
৯। বর্ণনাকারী 
ঘটনাটি ঘটেছিল ট্রয়ের অবরোধের সময়। ক্যালচাস নামক একজন ট্রোজান ভবিষ্যৎবক্তা ভবিষ্যতবাণী করে যে শীঘ্রই ট্রয়ের পতন ঘটবে, ভয়ে ভীত হয়ে তার কন্যা ক্রিসেডকে রেখেই শহর ছেড়ে পালায় এবং গ্রিকদের প্রতি তাঁর আনুগত্য পরিবর্তন করে। তার পিতার এই পলায়ন ট্রোজানরা ভালো চোখে দেখে না  বরং তার পিতার কাজের জন্যে তাকে খুবই অবজ্ঞা প্রদর্শন ও ভৎসনা করা হয়।
ট্রোজানরা ছিল দেবতাভক্ত। তাই যুদ্ধচলাকালীন সময়েও তারা বিভিন্ন উৎসবের ব্যাপারে কোন উদাসীনতা দেখাতো না। এপ্রিল মাসে যখন চারনভূমি ফুলে ভরে গেলো তারা প্যালাডিয়াম বা প্যাল্লাস এথেনার মন্দিরে ভোজের আয়োজন করল। এই কব্যের নায়ক ট্রয়লাস ছিল একজন যুবক বীর যোদ্ধা । কিন্তু সে প্রেম ভালোবাসার প্রতি ছিল উদাসিন। সবসময় সে প্রেমিকদের নিয়ে হাসাহাসি করতো। তাদের কষ্ট দেখে মজা পেত। প্রেমের দেবতা কিউপিডের এটা পসন্দ হল না। সে রেগে গেল এবং এর প্রতিশোধ নিতে চাইল।     
ভোজ উৎসবের দিন সবার মত সেও প্যালাডিয়ামে গেল। 



আর তার চোখে পড়ল ক্যালচাস এর সুন্দরী কন্যা ক্রিসেড কে। প্রথম দেখায়ই তাকে ভালো লেগে গেল এবং সে তার প্রেমে পড়ে গেল। ক্রীসেড এর চাচা প্যান্ডারাস তাকে অনুতাপ করার এবং ভালোবাসার দেবতার প্রতি অনুগত হওয়ার পরামর্শ দিলেন। আর তাকে ক্রীসেডকে লেখার জন্যে সাহায্য করলেন। এদিকে সে তার ভাতিজির সাথে দেখা করে ট্রয়লাসের ভালোবাসার কথা জানালেন। তাকে আনন্দিত হতে বললেন। এটাও বললেন, যদি সে ট্রয়লাসকে সে ভালো না বাসে তবে ট্রয়লাস এবং সে দুইজনেই আত্মহত্যা করবে। তাকে মনে করিয়ে দিলেন সে আর এখন ছোট্টটি নেই। ট্রয়লাস যুদ্ধ থেকে ফেরার পরে সে যখন রাস্তা দিয়ে হাটছিল,জানালা দিয়ে ক্রীসেড তাকে দেখলেন, আর তার অরক্ষিত অবস্থার কথা ভাবলেন, তার এখন সামাজিক নিরাপত্তার দরকার। সে তখন তার বান্ধবীদের নিয়ে বাগানে গেলো, আর এন্টিগনের মুখে ভালোবাসার গান শুনল। রাতের বেলা বিছানায় গিয়ে সে স্বপ্নে দেখলো, একটি সাদা ঈগল তার হৃদয় বুক থেকে খুলে নিয়ে সেখানে তার নিজের হৃদয় প্রতিস্থাপন করে দিল।   
তারপর তারা চিঠি লেখা শুরু করতে লাগল। এ কাজে প্যান্ডারাস তাদেরকে সাহায্য করতে লাগলো। এমনকি চিঠিতে কি লিখবে তাও সে বলে দিতে লাগল। ক্রীসেড চিঠি লেখার প্রতি কিছুটা উদাসীন ছিল কিন্তু তার চাচা তাকে জোর তাগাদা দিয়ে চিঠি লেখাতো।
প্যান্ডারাস পরিকল্পনা করলেন ডেইফেবাস এর বাড়ীতে এই দুই জনের দেখা করিয়ে দেবেন। এরপর প্যান্ডারাস ট্রয়লাস কে ডেইফেবাস এর বাড়ীতে নিয়ে আসলেন, আর তাকে পরামর্শ দিলেন, অসুস্থতার ভান করে সে যেনো ঘরে চলে যায়। ট্রয়লাস তার কথামত কাজ করল আর এই প্রথম ক্রীসেড এর সাথে সরাসরি সাক্ষাত হলো।   

প্যান্ডারাস তাকে পরামর্শ দিল ক্রিসেড কে সম্মান দিয়ে কথা বলতে, ট্রয়লাস তাকে বলল সে তাই করবে। এরপর তাদের মাঝে আবার চিঠি চালাচালি হতে লাগল। কোন এক দিন বিকেলে ক্রিসেড প্যান্ডারাসের বাসায় এলো, তখন বৃষ্টি নামলে সে তাকে তার বাসায় থেকে যেতে বলল। আর ট্রয়লাস গোপনে তা দেখছিল। প্যান্ডারাস  ক্রিসেড কে তার বাসার গোপন ঘরে নিয়ে যান। তারপর সেখানে ট্রয়লাস এর সাথে দেখা করিয়ে দেয়।  প্যান্ডারাস ট্রয়লাসকে ভাগ্যের দেবীর ব্যাপারে সাবধান করে দেয়।  

শেষ পর্বের লিঙ্ক 

Maruf Mahmood 

Dhaka College

1 comment: