Total Pageviews

Friday, August 2, 2019

Long walk to freedom - Nelson Mandela Part 11 - Chapter 115 - Summary and Analysis in Bangla

Long walk to freedom - Nelson Mandela Part 11 - Chapter 115 - Summary and Analysis in Bangla 

Long walk to freedom - Nelson Mandela 

Part 11 - Chapter 115 - Summary and Analysis in Bangla 
সারাংশ ও আলোচনাঃ
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মজৈবনিক রচনা লং ওয়াক টু ফ্রিডমগ্রন্থের একাদশ অংশের ১১৫তম অধ্যায় থেকে বর্তমান নিবন্ধটি নেয়া হয়েছে ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ম্যান্ডেলা ৭৭ বছর বয়সে ম্যান্ডেলা দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আত্মজীবনীটিও সে বছরই প্রকাশিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর ম্যান্ডেলাকে সংবর্ধনা অভিনন্দন জানাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সমবেত, বর্তমান নিবন্ধটি তারই স্মৃতিচারণ। ম্যান্ডেলা ১৯৯৪ সালের ১০ই মে সেই অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, “আজ আমরা সকলে এখানে উপস্থিত হয়ে ... নবজাত স্বাধীনতাকে গৌরবান্বিত করছি। দীর্ঘ মানবিক বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা হতে এমন এক সমাজ জন্মগ্রহণ করবে যার জন্য সমগ্র মানবজাতি গর্ববোধ করবে।তিনি আরো বলেন, “... এই সুন্দর দেশে আর কখনো একে অন্যের নির্যাতনের শিকার হবে না। ... এই গৌরবময় মানবীয় কীর্তির সূর্য কোনো দিনই অস্তমিত হবে না। স্বাধীনতা রাজত্ব করুক। ঈশ্বর আফ্রিকাকে দয়া করুন।
প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন বিল্ডিংসের মুক্তাঙ্গনে (বহু যুগ ধরে যা ছিল শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যের কেন্দ্র ভূমি) আয়োজিত সে সভার বর্ণনাসহ মেন্ডেলা আফ্রিকার অতীত ইতিহাস তুলে ধরেন। বর্তমানের অর্জন যে অতীতের বীরদের আত্মত্যাগের উপর প্রতিষ্ঠিত সে কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। অতীত বর্তমানে আসা-যাওয়া করেন অনেকটাই চেতনা প্রবাহী ভঙ্গিতে।
১০ই মে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন বিল্ডিংসের মুক্তাঙ্গনে এযাবৎকালের আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের বৃহত্তম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যুগ যুগ ধরে এটি ছিল শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের কেন্দ্রভূমি, আর এখন এটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারের বিভিন্ন বর্ণের বিভিন্ন জাতির অভিষেক অনুষ্ঠানের রংধনু সমাবেশ। মঞ্চে উপ রাষ্ট্রপতিদ্বয়ের শপথ গ্রহণের পর নেলসন মেন্ডেলা রাষ্ট্রপতিরূপে সংবিধান সমুন্নত রাখার এবং প্রজাতন্ত্রের এবং জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার গ্রহণপূর্বক  শপথ গ্রহণ করলেন। তিনি বললেন দীর্ঘস্থায়ী মানবিক বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা হতে এমন এক সমাজ জন্মগ্রহণ করবে যার জন্য সমগ্র মানবজাতি গর্ববোধ করবে। তিনি বললেন কিছুদিন আগেও তারা ছিলেন আইনের আশ্রয় থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি আর এখন তারা বিশ্বের জাতিসমূহের নিমন্ত্রাতা হওয়ার দুর্লভ সৌভাগ্যে সৌভাগ্যবান। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য, শান্তির জন্য, মানবীয় মর্যাদার জন্য, সকল কিছুর অধিকার লাভের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন অবশেষে তারা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করেছেন। তাঁরা সকল জনগণকে দারিদ্র্য, বঞ্চনা, নির্যাতন এবং অন্যান্য বৈষম্য হতে মুক্তি দান করার অঙ্গীকার করেন।
সময়ে জেট বিমান, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য বিমানগুলো নিখুঁত বিন্যাসে উড়ে গেল। এটি ছিল গণতন্ত্রের প্রতি সামরিক শক্তির আনুগত্যের প্রদর্শন। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানগণ অভিবাদন করে মেন্ডেলাকে আনুগত্য সর্বশেষে ইম্পালা জেট বিমান নতুন দক্ষিণ আফ্রিকার পতাকার ধোয়া চিহ্ন রেখে উড়ে গেল
দুইটি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য দিনটি মেন্ডেলার কাছে প্রতীকী হয়ে রইল। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অধিবাসীরা কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক আধিপত্য গড়ে তুলেছিল। কালক্রমে তা বিশ্বের অন্যতম কঠোর নির্মম সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তিভূমি রচনা করল। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে সমাজ ব্যবস্থা চিরতরে উলটে গেল এবং গাত্রবর্ণ অগ্রাহ্য করে সকল জাতির সমঅধিকার এবং স্বাধীনতা স্বীকৃতি লাভ করল। সহস্র সহস্র ব্যক্তির অকল্পনীয় ত্যাগ স্বীকার এবং দুঃখ কষ্ট সহ্য করার মধ্য দিয়ে তা সম্ভব হয়েছিল। তাদের মধ্যে যারা গত হয়ে গেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে না পারায় মেন্ডেলা দুঃখবোধ করেন। মেন্ডেলা বলেন বর্ণ বৈষম্য নীতি সৃষ্ট ক্ষত হতে আরোগ্য লাভ করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। বহু দশকের অত্যাচার এবং বর্বরতার একটি নাম ছিল এই যে তা কিছু অসাধারণ সাহস, প্রজ্ঞা এবং উদারতাসম্পন্ন মানুষের জন্ম দিয়েছিল, যাঁরা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটির নীচের দুর্লভ রত্নরাজি অপেক্ষা অধিক মূল্যবান, সুন্দর খাটি। একটি চিন্তা বা ভাবধারার জন্য অনেক নারী পুরুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছে, প্রাণ দান করেছে। আক্রমণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে তারা ভেঙে না পড়ে সংগ্রাম করেছে, সাহসের পরিচয় দিয়েছে। মেন্ডেলা নিজেও বহুবার ভয়টাকে জয় করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। মেন্ডেলা সব সময় আশা করতেন যে একটি বড়ো পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তন। শুধুমাত্র বড়ো বড়ো বীরদের কারণেই নয়, সাধারণ পুরুষ নারীদের সাহসিকতার কারণে; তাদের অন্তরের করুণা এবং উদারতার কারণে। ধর্মের জন্য অথবা বর্ণের জন্য কারো প্রতি ঘৃণা নিয়ে মানুষ জন্মায় না। মানুষকে ঘৃণা করা শিখতে হবে, ঘৃণা করতে শিখলে ভালোবাসতে শিখানো যাবে। মানুষের সততায় আস্থা রাখতে হবে। মেন্ডেলা জানতেন যে তাঁদের পথ সহজ হবে না। তাকে এবং তাঁর সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের জন্য উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। তার পরিবারকেও এজন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়েছিল। জীবনে প্রতিটি মানুষের দুটি বাধ্যবাধকতা আছে পরিবারের প্রতি এবং দেশের প্রতি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার একজন মানুষের জন্য দুটি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব ছিল। দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য করতে হলে একান্তে জীবনযাপন করতে বাধ্য হতো মেন্ডেলাও দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে নিজেকে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হন যা ছিল বেদনাদায়ক। মেন্ডেলা বলেন তিনি স্বাধীন হওয়ার ক্ষুধা নিয়ে জন্মাননি, স্বাধীন হয়েই জন্মেছেন।
যুবক হয়ে তিনি বুঝলেন যে তার বাল্য স্বাধীনতা ছিল একটা ভ্রান্তি। তিনি সকল মৌলিক এবং সম্মানজনক স্বাধীনতা লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলেন। তিনি দেখলেন যে শুধু তাঁর নয় তার ভাই বোন, দেশবাসীসকলেরই স্বাধীনতা কাটছাঁট করা হয়েছে। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তাঁর নিজের স্বাধীনতার আকাক্ষা তাঁর দেশবাসীগণের স্বাধীনতার জন্য বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হলো। তিনি আরো অনুভব করলেন, স্বাধানতা হরণকারীগণও স্বাধীন নন, তারা ঘৃণার কারাগারে বন্দি
কারামুক্ত হওয়ার পর মেন্ডেলার ব্রত হলো অত্যাচারিত এবং অত্যাচারী উভয়কে মুক্ত করা। কেউ কেউ বলেন এখন সেটি অর্জিত হয়েছে, কিন্তু মেন্ডেলা মনে করেন তা হয়নি। তিনি মনে করেন তাঁরা শুধুমাত্র স্বাধীন হওয়ার স্বাধীনতা, অত্যাচারিত না হওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন, তাঁরা প্রকৃত স্বাধীনতার যাত্রাপথে প্রথম পদক্ষেপ ফেলেছেন। স্বাধীনতার প্রতি তাদের নিষ্ঠার প্রকৃত পরীক্ষা সবেমাত্র আরম্ভ হলো
নির্দ্বিধায় স্বাধীনতায় পৌছানোর এই দীর্ঘ পথ ম্যান্ডেলা অতিক্রম করেছেন। তিনি মনে করেন তার কর্তব্য শেষ হয়ে যায়নি। কারণ স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথে দায়িত্ব আসে। তিনি নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করতে চান।
তাঁর ভাষা ব্যবহার ইংরেজি যাদের দ্বিতীয় ভাষা তাদের মতো হলেও ভারতীয়দের তুলনায় সহজ। স্বল্প পরিচিত শব্দ তিনি খুব কমই ব্যবহার করেন, তাতেই তার গদ্য যথেষ্ট প্রকাশক্ষম, যথেষ্ট বেগবান, বিষয়বস্তু উপযোগী। সার্বিক বিবেচনায় ম্যান্ডেলার রচনাটি প্রশংসাযোগ্য। জীবন সঞ্জাত অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ রচনাটি আফ্রিকার মানুষের দুর্দশা, ম্যান্ডেলার ব্যক্তি জীবনের দুর্ভোগ, আফ্রিকার ভবিষ্যৎসব বিষয়ের সংক্ষিপ্ত, সহজপাঠ্য বিবরণ।




1 comment:

  1. Assalamualikum sir.. I hopeyou are wll by grace of allah..
    Sir i have a reques, i wanna talk with you.please, send me an email so that i can get Your mail address. Or sir call me just once 01833919378

    ReplyDelete