Total Pageviews

Wednesday, June 8, 2016

টুনটুনি আর দুষ্টু বিড়াল

গৃহস্থের ঘরের পিছনে বেগুন গাছ আছে।সেই বেগুন গাছের পাতা ঠোট দিয়ে সেলাই করে টুনটুনি পাখিটি তার বাসা বেধেছে।বাসার ভেতর তিনটি ছোট্ট ছানা হয়েছে।খুব ছোট্ট ছানা,  তারা উড়তে পারে না। চোখও মেলতে পারে না।খালি হা করে চি-চি করে।
গৃহস্থের বিড়াল টা ভারি দুস্টু।  সে খালি ভাবে সে পাখির ছানা গুলো খাবে।একদিন সে বেগুন গাছের তলায় এসে বলল, কি গো,  টুনটুনি,  কেমন আছিসরে?
টুনটুনি তার মাথা হেট করে বেগুন গাছের ডালে মাথা নুইয়ে বলল, সালাম,  মহারানী তাতে বিড়ালনি ভারি খুশি হয়ে চলে গেল।
সে রোজ আসে আর রোজ সে তাকে সালাম দিয়ে মহারানী সম্মোধন করে,  আর বিড়ালনি তাতে ভারী খুসি হয়ে চলে গেল।
এখন টুনটুনির ছানা গুলো বড় হয়েছে।তাদের সুন্দর পাখা হয়েছে।তারা আর চোখ বুজে থাকে না,  তা দেখে টুনটুনি তাদের জিজ্ঞাসা করলো, বাচ্চারা তোমরা কি এখন উড়ত পারবে? ছানা গুলো বলল,  হ্যা মা,  খুব পারব।তবে দেখাতো তাহলে ঐ তালগাছটার ডালে বসতে পারিস কিনা। ছানা রা তখনি উড়ে গিয়ে ঐ তালগাছটার ডালে গিয়ে বসল।
এবার টুনটুনি র খুশি আর ধরে না।  সে বলল, এবার দুষ্টু  বিড়াল আসুক দেখি।
কিছুক্ষন পড়ে দুস্টু বিড়াল এসে জিজ্ঞাসা করলো,  কিরে টুনিটুনি,  কেমন আছিশ?

টুনটুনি পা উচিয়ে,  বলল,  দুর হ!  শয়তান বিড়ালনি, বলেই সে ফুড়ুত করে উড়ে পালাল।
দুস্টু বিড়ালনি লাফিয়ে গাছে উঠে,  টুনটুনি কে ধরতে পারল  না,  টুনটুনির ছানাও খেতেও পারলো না। খালি বেগুন কাটার খোচা খেয়ে,  নাকাল হয়ে ঘড়ে ফিরল।

1 comment: