Total Pageviews

Tuesday, January 29, 2019

True and False Wit - Spectator 62 - Joseph Addison- Bangla translation

True and False Wit - Spectator 62 - Joseph Addison- Bangla translation 


সম্মান ৩য় বর্ষের অন্যান্য লেখা ও অনুবাদ
True and False Wit - Spectator 62 - Joseph Addison- Bangla translation  Wit: True, False, Mixed
স্পেকটেটর ৬২ শুক্রবার, মার্চ ১১, ১৭৭১ জোসেফ এডিসন
শব্দই রচনাকর্মের সঠিক বিচারের মাপকাঠি হোরেস : আর্স পোয়েটিকা। সেখানে তিনি একই ব্যাক্তির মাঝে সবসময়ই কেনো বুদ্ধিমত্তার স্ফুরণ ঘটে না সেটা দেখানোর চেষ্ঠা করেছেন। তাঁর কথা অনুসরণ করে বলা যায় এটা একটা সাধারণ পর্যবেক্ষণের দিক, যিনি তার স্মৃতি হতে কৌতুকের অবতারণা করে থাকেন। তিনিও সর্বদা এর গভীরতার দিক এবং এর কারণ বিচার করতে সমর্থ হন না। কৌতুক সর্বদা ভাবনার গভীরে লুকায়িত থাকে আর তা হঠাৎ করে নানারূপ পরিগ্রহ করে প্রকাশিত হয়। এটা বিচারের এমন একটা ক্ষেত্র তৈরি করে যা মজার এবং গ্রহণযোগ্য একটা বিচার ক্ষেত্র তৈরি করে। একদিকে থাকে মজাদার দিক, অন্য পাশে থাকে বিচার বিশ্লেষণের দিকটি এটাকে আলাদা করতে চাইলে খুবই সতর্কতার সাথে এগুতে হবে, ভাবনার মাঝে যথেষ্ট পার্থক্য লক্ষিত হয় আর ভ্রান্ত পথে চালিত হওয়ার দিকটি যা এক ভাবনা বা বস্তু হতে অন্য দিকে নিয়ে যায়। আর এটি পরোক্ষ উল্লেখ আর রূপকালঙ্কারের মধ্যে আশ্রয় করে অগ্রসর হয়। আর এর অধিকাংশ ক্ষেত্রটাই বিনোদন আর মজাদার দিক প্রদানে বিদ্যমান থাকে যা চমৎকারিত্ব আর বিনোদনসহ মানুষের ভেতরে সাড়া জাগায়, যা সহজেই সাধারণ মানুষেরা গ্রহণ করে।
ক্ষেত্রে আমি মনে করি দার্শনিক দিকটি অবলম্বন করেই আমার সর্বদা কৌতুকের সাথে মিলিত হওয়া উচিত আর যেহেতু এটি সর্বক্ষেত্রে ভাবনার সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোর সাদৃশ্য কিংবা ঐক্য বজায় রাখে না। আর আমি মনে করি সর্বক্ষেত্রে ভাবনার ঐক্য দ্বারা কৌতুক তৈরি হয় না, আর এটি মূলত পাঠককে দেয় উৎফুল্লতা আর আনন্দ। আর দুটো দিকই কৌতুকের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় এবং শেষ কথা ভাবনার ঐক্যের সাথে সংগতি রেখেই কৌতুকের জন্ম আর এটাও বলা হয় যে ভাবনার ঐক্যের কাছে সর্বদা সমর্পিত থাকে না কৌতুকের দিক, আসলে এটির প্রকৃতিতে থাকে আকস্মিকভাবে মানুষকে আনন্দ প্রদান। এটা এমন হতে পারে একজন মানুষ আরেক জনের গান নকল করছে কিংবা দুধের সাথে সাদা বরফের তুলনা করছে কিংবা রঙধনুর নানা রঙ এগুলোকে কৌতুক বলা যাবে না। তবে এসব বিষয়গুলো যদি ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করে পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয় তাহলে তা পাঠককে আকস্মিক মজা দান করতে পারে যখন কবি বলেন, তার মানসীর অন্তরঙ্গতা যেন একেবারে বরফের মতো সাদা, তাতে কোনো কৌতুকবোধ হয় না আর কবি যখন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন আর আমার স্ত্রী শীতলও বটে তখন হাস্যরস তৈরি হয়। প্রতিটি পাঠকের ভেতরেও এমন অসংখ্য এমনতরো দিকের অবতারণা হতে থাকে। তেমনি একজন বীরগাথা রচয়িতা কবি যদি বীরত্বগাথায় ভিন্নতর একটি দিকের অবতারণা করেন তাহলেও তাতে কৌতুক উৎপন্ন হয়। মি. লক কৌতুক বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায়। মেটাফর, সিমিলিচিউড, অ্যালিগরি, হেয়ালি, মটো, নীতিগর্ভ রুপক কাহিনি উপকথা স্বপ্ন, দৃশ্যাবলি,নাটকীয় দিক, হাস্যকর অনুকরণ, পরোক্ষ উল্লেখসহ আরো নানাধিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, ছাড়া তিনি আরো নানাবিধ বিষয়ের অবতারণা করেছেন এই কৌতুক বিষয় বিবেচনার্থে সেগুলো কৌতুক বিষয় বিচারে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য।
সত্যি কৌতুক সর্বদা মিথ্যে অবাস্তব কৌতুকের সাথে একটা সাদৃশ্য রক্ষা করে থাকে। এ সাদৃশ্যের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে চলে বাক্যাংশে বর্ণের স্থান পরিবর্তন, ক্রোনোগ্রাম, লিপোগ্রাম, ছন্দোবদ্ধ ধাধা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি ছন্দোবদ্ধ কবিতার আকারেও প্রকাশ লাভ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো কৌতুকের ঘটনাটাই কবিতার আকারে প্রকাশিত হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই হাস্যরসাত্মক কবিতায় ডিম, কুঠার পূজার বেদী এসব ব্যঙ্গাত্মক উপকরণ হিসেবে যোগ করা হয় আর এর সাথে যোগ হয় একজন বোকা লোক আর এর সাথে সঙ্গতি রেখে যোগ হয় তার অদ্ভুত কথাবার্তা তার মুখমণ্ডলসহ হাস্যকর চালচিত্র।
সত্যিকার কৌতুক অবস্থান করে ভাবনার মাঝে আর মিথ্যে কৌতুক আশ্রয় করে শব্দকে। কোনো কোনো কৌতুক আবার ভাবনা এবং শব্দ দুটোকে আশ্রয় করেই প্রকাশ লাভ করে। আমার মতে সেগুলোই মিশ্রিত কৌতুক, ধরনের কৌতুক পরিবেশন করেছেন কাউলি এবং মি. ওয়ালার ক্ষেত্রে ড্রাইডেনের কথা বলা যায়, স্পেনসার ও মিল্টনের নামও উল্লেখ করা যায। মনেশিয়ার বয়েলিও ক্ষেত্রে ধরনের কৌতুক প্রত্যাহার করে গেছেন যদিও ইতালিয়ান এপিক কাব্য রচয়িতাদের মাঝে কৌতুকের ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়। গ্রিক লেখকদের মাঝেও এর প্রভাব লক্ষ্যণীয়, মোশেয়িস তার ছোটো ছোটো কবিতাগুলোতেও এর প্রকাশ ঘটিয়েছেন ল্যাটিন সাহিত্যের দিকে তাকালে আমরা ভার্জিলের মাঝে এই মিশ্র কৌতুকের দিকটি দেখি না কিন্তু ওভিড ও মার্শিয়ালের মাঝে এটা লক্ষ করা যায়।
অসংখ্য এই মিশ্রিত কৌতুকের শাখা হতে আমি উদাহরণ হিসেবে যেসব লেখকগণ ধারাকে স্পর্শ করে গেছেন, আমি সেই সব লেখকদের বাছাই করেছি। প্রেমের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই চেতনায় অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে আর তাতে সেই অগ্নি ছড়ায় শব্দগুলোতে আর সেই অগ্নিশিখাই প্রকাশ ঘটায় ভালোবাসার। কৌতুক পরিবেশকারী কবিরা তাদের কবিতার উষ্ণতার মাঝে তাদের কবিতায় সন্দেহজনক বিষয় পরিবেশন করে আর তার মাঝে প্রকাশ করে সীমানাহীন কৌতুক। কাউলে যেমন তার দয়িতার দৃষ্টিতে শীতলতার আভাস পেয়েছেন আর একই সাথে ভালোবাসার শক্তিটাও তাকে প্রভাবিত করেছে আর জ্বলন্ত কাচ পুড়ে হয়েছে শীতল বরফ আর তিনি মহতী আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন ভালোবাসার মাঝে। যখন তার প্রেমিকা তার লেখা পত্র পাঠ করেছে যা রচিত হয়েছে লেবুর রস দ্বারা আর তা মোড়ানো হয়েছে অগ্নি দ্বারা। তিনি ইচ্ছে করেছেন তার প্রেমিকা ভালোবাসার অগ্নিতে উদ্দীপিত হয়ে দ্বিতীয়বার তা পাঠ করুক তিনি কামনা করেন তাঁর প্রেমিকা এটা পাঠ করে যখন কান্না করবে তখন তার চোখের অক্ষ যেন কোনো পাত্রে ধরা হয়। যখন তার প্রেমিকা থাকবেন না, প্রেমিকার বয়স হবে আশি তখনও তিনি ত্রিশ ডিগ্রি অবস্থান করবেন অর্থাৎ প্রেমিকার কাছাকাছি অবস্থান করবেন। তার এই অগ্রগামী ভালোবাসার অগ্নি পাহাড় চূড়াকে অতিক্রম করবে। তার সুখী ভালোবাসা স্বর্গীয় স্তম্ভ আর অসুখী ভালোবাসা নরকের অগ্নিশিখা, যা তাকে ঘুমুতে দেবে না, তার এই প্রেমের অগ্নি পাঠাবে ধোয়া। এই ভালোবাসার ধোয়া বাতাস উড়িয়ে এনে আচ্ছাদিত করবে চারপাশ খেয়াল করে দেখবেন যে ভালোবাসা দিয়ে তিনি বৃক্ষকে কর্তন করেছেন তাঁর সেই ভালোবাসার অগ্নি পুড়িয়ে ছাই করছে বৃক্ষটাকে। তিনি তার আবেগ জানাতে আমাদের বলছেন, তার সেই প্রেমের অগ্নি তাঁকে পোড়াবে চিরটাকাল। তার হৃদয়টা যেন এটনা অগ্নিগিরি, এটা যেন অগ্নিদেবতা ভালকানের কামারশালা সেখানে প্রেম দেবতা কিউপিড জ্বালিয়েছে অগ্নিশিখা তিনি ভালোবাসার পানিয়তে সিক্ত কিন্তু তার এই প্রেমের শিখাতে কে যেন ছুড়ে মেরেছে তেল প্রেমের অগ্নি দ্বারা তিনি তাঁর প্রেমিকার অগ্রহণযোগ্য সত্যিটাকে লাভ করেছেন অগ্নিশিখা রূপে, ঠিক যেন সূর্যদেব যে নাকি তৈরি করেছে নানা বস্তু নিয়ে সে শুধু তাকে দগ্ধই করেনি উৎপাদনও করেছে। ভালোবাসাও তার আগুন দ্বারা অন্য কিছু রান্না করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লেখকের হৃদয় বরফাচ্ছন্ন করেছে, বরফাচ্ছন্ন করেছে প্রতিটি হৃদয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের দৃষ্টিকে তাপ দগ্ধ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালোবাসার শ্রুধারায় ডুবে যায় এবং ভালোবাসায় পুড়ে ছাই হয়, ঠিক যেন মধ্য সমুদ্রের জাহাজ পতিত হয়েছে অগ্নিশিখার মাঝে

বাকি অংশ





No comments:

Post a Comment