Total Pageviews

Thursday, September 19, 2019

She Stoops to Conquer – Oliver Goldsmith – Analysis in Bangla

She Stoops to Conquer – Oliver Goldsmith – Analysis in Bangla


She Stoops to Conquer – Oliver Goldsmith – Analysis in Bangla
১৭শ ১৮শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সে বেশিরভাগ নাটকই ছিলComedy of Mannerএর অন্তর্গত। এইধরনের নাটকগুলোতে তৎকালীন সমাজের মানুষের অভ্যাস, সংস্কৃতি মানদন্ডকেই ব্যাঙ্গ করা হত। এই ধরনের নাটকগুলো রসালো সংলাপে পরিপূর্ণ আর ব্যঙ্গাত্বকভাবে মানুষের দোষ ত্রুটি দূর্বলাকেই প্রকাশ করা হত। রোমান্টিক যুগের কমেডির সাথে এদের পার্থক্য হল রোমান্টিক কমেডি গুলো অনেকবেশি করুণ রসের সঞ্চার করে আমাদের কাছ থেকে সহানুভূতি আদায় করত।
শি স্টুপস টু কংকার নামটি দিয়ে নাটকের নায়িকা কেট হার্ডক্যাসেলের একটি কৌশল বোঝানো হয়েছে। একজন সম্মানিত বংশের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও চার্লস মার্লোর মন জয় করার জন্যে সে নিজেকে একজন নিচুশ্রেণীর বারমেইড হিসেবে প্রকাশ করে। প্রথমত নাটকটির নাম ছিল Mistakes of a night বা এক রাতের ভুল - যা মূলত এক রাতের ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
শি স্টুপস টু কংকার ১৭৭৩ সালে প্রথম লন্ডনে মঞ্চায়িত হয়। নাটকটির আবেদন চিরকালীন-এটি আঠারো শতাব্দীর গুটিকয় নাটকের মধ্যে একটি যা আজ অবধি নিয়মিত মঞ্চস্থ হচ্ছে। বহুবার এর চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে।  প্রহসনমূলক কৌতুকক্রীড়া চরিত্রায়ন এর মূল বৈশিষ্ট্য পুরো নাটক জুড়েই বোধ প্রজ্ঞার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। শহরে, শহরতলিতে, ইউরোপের পথে, আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন রাস্তায়, এক সরাইখানা থেকে অন্যটায় অবিরাম ছুটে বেড়ানো জীবনের অধ্যায়টি গোল্ডস্মিথের লেখাকে প্রভাবিত করেছে। গোল্ডস্মিথ তার জীবনের ওই বছরগুলো কতটা উপভোগ করেছেন তা তার লেখা থেকেই অনুভব করা যায়। এরই প্রতিরূপ ফুটে উঠেছে নাটকটিতেও শহরের দিনগুলো তার ক্ষুধার্ত দারিদ্র্যপীড়িত জীবন থেকে ছিল ভিন্নতর। হয়ত সেই ছায়া থেকেই তিনি হেস্টিংস এবং মার্লো, নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র দুটোকে ধনাঢ্য তরুণ রূপে রূপায়িত করেছেন। আনন্দের রঙে রঙিন ক্যানভাসে ভুলগুলোও আনন্দময় মুহূর্তের স্মৃতিচারণে আলোকিত সব মিলে শি স্টুপস টু কংকারতারুণ্যের কমেডি যা আজও সকলের মন ছুঁয়ে যায়, নির্মল আনন্দে উদ্বেলিত করে।
নাটকটির শিরোনাম অবশ্য খানিকটা বিভ্রান্তিকর। কারণ নাটকের মূল চরিত্র মিস হার্ডক্যাসেল নয় বরং টনি ল্যাম্পকিন। অবশ্য নাটকের মূল ঘটনা মিসেস কেট হার্ডক্যাসেলের নিজেকে বারমেইদের স্তরে নামিয়ে আনা। তবে এই ঘটনা ঘটত না যদি না টনি.লন্ডন থেকে আসা তরুণদের বিভ্রান্ত করত। এমনকি মিসেস হার্ডক্যাসেলও যা কিছু করেছে সবই তার ছেলে টনির জন্য করেছে। টনি তাই শুধু মুখ্য চরিত্র নয় পুরো নাটকটির এমন এক আকর্ষণ যাকে কেন্দ্র করে অন্য চরিত্রগুলোও আবর্তিত হয়েছে। টনি যা করতে চেয়েছে, করেছে এমনকি শেষ পর্যন্ত তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতাও লাভ করেছে। নাটকের শুরুতেই টনি তার জীবন যেভাবে কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে শেষ পর্যন্ত সেভাবেই কাটিয়েছে। দৃশ্যত নাটকটির ঘটনাপ্রবাহ সরল স্বাভাবিক
মি. হার্ডক্যাসেল তার মেয়ের বিয়ের পরিকল্পনা করেছে যেমন তার স্ত্রী নিজের ছেলের জন্য করেছে। নাটকটিতে সামাজিক বৈষম্য বা শ্রেণি বিভাগের চিত্রও ফুটে উঠেছে। যেমন মার্লো বা তার মতো উচ্চ শ্রেণির সম্পদশালী তরুণেরা বিয়ের সময় তারই সমপর্যায়ের কাউকে খোজে সমাজের উঁচু শ্রেণির অভিজাত নারীদের সম্মান করে তাদের সাথে কথা বলার সময় সন্ত্রস্ত হয় অথচ নীচু শ্রেণির মেয়েদের নিজের সম্পত্তি ভাবতে দ্বিধা করে না। অবশ্য নাটকে ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত সামাজিক বৈষম্যের বাধাকে দূর করে দেয় তাই কেটকে দরিদ্ররূপে গ্রহণ করতেও মার্লোর দ্বিধা হয় না। তাছাড়া এখানে মানবিক গুণকে সম্মান করা হয়েছে তাই কেট শেষ পর্যন্ত মার্লোর ভদ্রতা, বিনয় এসব গুণের জন্যই তার প্রেমে পড়ে। আবার মিসেস হার্ডক্যাসেল যতই কৃত্রিম আভিজাত্য আর শহুরে চাকচিক্যের প্রতি আকৃষ্ট হোন না কেন তার স্বামীর বাস্তব, অনুগত ভালোবাসাও সমানভাবে উপভোগ করেন অপরদিকে তার স্বামীও স্ত্রীর দোষক্রুটি ভুলে গিয়ে ভালো দিকগুলোর সন্ধান করেন অর্থ সম্পদ যে কাউকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে সে শিক্ষাও এখানে পাওয়া যায়। টনি জানে যে প্রাপ্তবয়স্ক হলে সে বছরে ১৫০০ পাউন্ড করে পাবে তাই অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে সে পানশালায় সময় নষ্ট করে এবং কিছুই না করে অলস বেহিসাবি জীবনের দিকে ঝুঁকে পড়ে চরিত্রায়ন নাটকটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক যা একে আঠারো শতকের অন্যতম প্রসিদ্ধ নাটকে পরিণত করেছে। শেক্সপিয়রের রচিত- নাটকের বাইরে ইংরেজি ভাষার নাটকটি সবচেয়ে বেশিবার মঞ্চস্থ হয়েছে। গোল্ডস্মিথের রচিত সংলাপ সহজ, স্বাভাবিক যদিও কখনো খানিকটা রুক্ষ। লেখকের বুদ্ধিমত্তা রসবোধ নাটকটির পুরো অবয়ব জুড়ে প্রবহমান নাটকটিতে গোল্ডস্মিথ তার চরিত্রায়নের মধ্য দিয়ে নিজে যা হতে চেয়েছিলেন এবং যা বাস্তব জীবনে হয়েছেন তার ছবি এঁকেছেন মার্লো হেস্টিংস এর মধ্য দিয়ে তাই ফুটিয়ে তুলেছেন যা তিনি নিজে জীবনে পেতে চেয়েছেন। তারা দুজনেই বিত্তবান অভিজাত পরিবারের সন্তান; শহুরে ফ্যাশনে সজ্জিত কেতাদুরস্ত। অপরদিকে আছে টনি ল্যাম্পকিন যে সবার কাছে বিগড়ে যাওয়া বিপথগামী এক তরুণ যে বাস্তবিক অর্থে কোনো কাজের নয় বা প্রশংসার যোগ্য নয়। জীবন গোল্ডস্মিথের চেনা জীবন। গোল্ডস্মিথ খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নিয়ে শহরে বিলাসিতায় আনন্দময় জীবন চেয়েছেন। কিনু তথাপি নাটকে লন্ডনের বিলাস প্রাচুর্যের চেয়ে শহরতলির শান্ত নিরিবিলি জীবন বাস্তব হয়ে ফুটে উঠেছে। যদিও মিসেস হার্ডক্যাসেলের কথায় শহরতলির এসব এলাকা বিষণ্ন, একঘেয়ে তথাপি তা জীবস্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। এর কারণ জীবন গোল্ডস্মিথের আপন, সরাইখানা আর সাধারণ ঘরবাড়ি অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা তার একান্তভাবেই চেনা।
গোল্ডস্মিথের কলম বহমান স্রোতধারার মতই সৃষ্ট চরিত্রের প্রস্কুটনের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। প্রতিটি চরিত্র যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে, গভীরে প্রবেশ করে তাদের অনুভব করা যায়। বাক্যের গতিশীলতাই চরিত্রগুলোকে কাছের করে দেয়। চরিত্রগুলো দোষে-গুণে সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেমন মিসেস হার্ডক্যাসেল মুখরা, কৃপণ লোভী হলেও পাশাপাশি ছেলের প্রতি মা হিসাবে তার ভালোবাসা অকৃত্রিম তার সব ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার স্বপ্ন। চরিত্রগুলো যেন নাটকের চরিত্র নয় বরং জীবন থেকে উঠে আসা রক্ত-মাংসের মানব অস্তিত্ব
এটা স্বাভাবিক যে টনি তার উপর মায়ের অত্যধিক শাসন আর বিধি নিষেধের প্রতিবাদ করেছে তবে মার মতোই তারও অর্থের মোহ আছে। এমনকি মিসেস হার্ডক্যাসেলের ভাগ্নি মিস নেভিলও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার সম্পদ অধিকারের চেষ্টা করেছে। টনি, মার্নো হেস্টিংসকে প্রথমেই বিভ্রান্ত করে কারণ ওরা তার আত্মসম্মানকে আঘাত করেছে, তাকে মার আদরে বখে যাওয়া বেয়াড়া ছেলে বলে মূল্যায়ন করেছে। এর ফলশ্রুতিতে টনি সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের সরাইখানার কথা বলে নিজের বাড়িতেই পাঠাবে। পুরো নাটকেই টনি নিজেকে বুদ্ধিমান হিসাবে প্রমাণ করতে চেয়েছে। দেখাতে চেয়েছে শহুরে তরুণদের চেয়ে তার পোশাক-পরিচ্ছদ আলাদা হতে পারে কিন্তু সে তাদের চেয়ে কোনোভাবেই ছোট নয় এবং সকলেই অভিভাবকদের ইচ্ছার দ্বারা পরিচালিত শেষ পর্যন্ত টনিই তরুণদের সাহায্য করে এমনকি মায়ের আলমারি থেকে চুরি করতেও বাধে না (অবশ্য সে সম্পদ তার মায়েরও ছিল না)
নাটকের মেয়ে চরিত্রগুলোও সম্পদশালী, আন্তরিক, আবেগপ্রবণ আবার একই সাথে কখনো কখনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক, স্বার্থপর অহংকারী মি. হার্ডক্যাসেল পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ স্ত্রীর সব আচরণ গ্রহণযোগ্য না হলেও স্ত্রীর প্রতি তার আনুগত্য বজায় থাকে অবশ্য টনি যখন তার মাকে উত্ত্যক্ত করে তখন এর পেছনে তার প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকে। নাটকটির প্রধান চরিত্রগুলোর দিকে আলোকপাত করা যাক।



1 comment:

  1. Great job 🍀🍀
    Please add some important quotes from the items and explain them in short.

    ReplyDelete