সম্মান ২য় বর্ষের সিলেবাসের অন্যান্য অনুবাদ
ওড টু এ
নাইটিংগেল
Ode to a
Nightingale
বাংলা অনুবাদ
আমার হৃদয় বেদনার্ত, তন্দ্রাচ্ছন্ন অসারতা আঘাত করছে
আমার অনুভূতিতে, মনে হয় যেনো হেমলক
করেছি পান।
অথবা কিছুটা নিদ্রাকর্ষক গলায় দিয়েছি
ছেড়ে
একটি মিনিট গেলো, লিথি নদীতে গেলাম
ডুবে।
তোমার সুখে
ঈর্ষান্বিত হয়ে নয়।
এটা তোমার
উচ্ছলতা আর আমার আনন্দের প্রাবল্য-
তুমি তো
কোমল পাখার বনপরী,
কোন
সঙ্গীতময় অঞ্চল হতে
সবুজ
বিচবৃক্ষের অগণন ছায়া হতে,
গাও কণ্ঠ
উপচে পড়া গ্রীষ্মের জয়গান।
ওহে চাই সেই
এক চুমুক সরস মদিরা
মাটির গভীরে
প্রোথিত করে যা হয়েছে শীতল,
ফুলদল আর
গেঁয়ো সবুজে,
নৃত্য,
প্রাদেশিক সঙ্গীতে আর অবারিত রৌদ্রালোকে আস্বাদিত!
ওহে চাই
একটি পূর্ণ পেয়ালা দক্ষিণের উষ্ণতা মাখা,
হিপোক্রিনের নিখাদ ঝরনাধারার উচ্ছলতা ভরা
পুতির দানার
মতো বুদ বুদ উপচে ওঠে পেয়ালার কিনারায়,
আর মুখে যার
ছড়ানো রক্তিমাভা;
আমি তা
নিঃশেষে পান করে পৃথিবী ছেড়ে যাব অজানা দেশে
আর তোমারই
সাথে নিজেকে হারাব গভীর অরণ্য মাঝে।
দূরে চলে
যাব, ভুলে যাব, হব বিলীন
যা কখনো
জানবে না অরণ্যের পাতারা
অবসাদগ্রস্ত
জরতপ্ত ক্ষয়ে যাওয়া
মানুষেরা
এখানে স্থির বসে অপরের গোঙানি শোনে :
এখানে কাঁপে
কেউ বাতের ব্যথায় কেউবা বিষণ্ণ পাকা চুলে,
যেখানে
তারুণ্য ম্লান হাড্ডিসার হয়ে ঘটে মরণ
কিন্তু তা
ভাবতেই ব্যথায় ভরে ওঠে মন
জমে চোখের
পাতায় হতাশা;
যেখানে
রূপের ঘটে না প্রকাশ কামনার দৃষ্টিতে,
আগামী দিনের
আগেই এখানে ক্ষয়ে যায় নব প্রেম।
দূরে যাও,
উড়ে যাও! আমিও উড়ব তোমার সাথে
তবে
বাক্কাসের চিতায় টানা রথে নয়
যাব কাব্যের অদৃশ্য পাখায় ভর করে
যদিও
জড়বুদ্ধি আর অবসাদ দেবে বাধা:
অবশেষে
মিশেছি তোমার সাথে; অপরূপ এই রাতে,
হয়ত বা
চন্দ্রিমা রানী আসীন সিংহাসনে,
তারকা সখিরা
আছে তার চারপাশে ঘিরে;
কিন্তু
সেখানে নেই কোনো আলোর আভাস,
নক্ষত্র লোক
হতে মৃদুমন্দ বাতাসের ঝাপটায়
আলোক ঝিলিক
ছড়ায় আঁকাবাকা পথের শেওলায়।
আমি পারি না
দেখতে কোন ফুলদল ফুটেছে আমার পদপ্রান্তে
জানি না
কেমন কোমল সুগন্ধি দোলে বৃক্ষশাখায়
কিন্তু
আঁধারে করি অনুভব তার সুগন্ধি
যেখানে ঋতুগন্ধি মাস ভরে যায়
কোমল ঘাস আর
বুনোবৃক্ষের ফলের সম্ভারে;
সাদা
কণ্টকবৃক্ষ আর মেঠো গোলাপ
দ্রুত মরে
যাওয়া বেগুনি পুষ্পপত্রের আবরণে
মধ্য মে
মাসের প্রথম জাতক
অর্ধস্ফুট গোলাপের কুড়ি, সিক্ত শিশিরসুধায়
মৌমাছিগুলো উড়ে আর গুঞ্জরে সন্ধ্যায়।
আঁধারে আমি
শুনেছি বহুবার
আমি পরেছি
সহজ মৃত্যুর অর্ধেক ভালোবাসায়,
ডেকেছি তাকে
মধুর নামে কত না ছন্দের কবিতায়,
বাতাসে
উড়িয়ে নিতে আমার শান্ত নিঃশ্বাস
আজকের এই
মাঝরাতে বেদনাবিহীন মৃত্যুর
এমন সঠিক
সময় আর যাবে না পাওয়া,
যখন ছড়াও
তোমার সুধাধারা মোর হৃদয়জুড়ে
এমনি প্রবল
উল্লাসে
জানি তুমি
চিরকাল গাবে গান কিন্তু এখন আমার কর্ণ হবে বধির
তোমার উচ্চ
স্বর হবে এখন কবরস্থানের মৃতদের তরে শোকগাথা
হয়নি জনম
তোমার মৃত্যুর তবে, হে অমর পাখি!
ক্ষুধিত
কোনো প্রজন্ম তোমার করতে পারবে না বিলোপ
বয়ে যাওয়া
ও নিশিথে সে সুর শুনি তোমার
পুরনো দিনে
শুনেছে তা সম্রাট ও ভীড়
হয়ত এমনই
মধুর সুরে খুঁজে পেয়েছিল পথ
রুথ এর ব্যথিত হৃদয়, যখন, ঘরে ফেরার ইচ্ছায় ছিল কাতর,
বিদেশি
শস্যক্ষেত্রে দাড়িয়ে সে ফেলছিল অশ্রজল;
ঠিক সেই সুর
তাকে সে সময়ে
ফেনিল সমুদ্রমুখী জাদু বাতায়নে
করেছিল মোহিত
বিপজ্জনক
সাগর, অবহেলিত পরীরাজ্যে।
অবহেলিত
শব্দটি যেন ঘন্টাধ্বনি করে।
ফিরিয়ে আনল
আমার নিজেরই অন্তরে!
বিদায়
কাল্পনিক প্রতারণায় এতটা সে ভালো নয়।
প্রতারণায়
বড়ো খ্যাতিমান নারী
বিদায়
বিদায় তোমার ব্যথায় সঙ্গীত হয় ম্লান।
মিলায়
কাছের তৃণভূমিতে, স্থির ঝরনা জলে
পাহাড়
শিখরে; আর এখন তা মৃত্যুর গভীরে
উপত্যকার
বনভূমিতে
এটা কি ছিল
চোখের দেখা নাকি জেগে থাকা স্বপ্ন
সে সঙ্গীত গেলো দূরে মিলিয়ে, আমি কি আছি ঘুমিয়ে নাকি জেগে।
Read - Ode to a Nightingale - Summary and Analysis
thanks
ReplyDeletethanks
ReplyDeletewelcome
DeleteNice
ReplyDeleteThanks a lot
ReplyDeleteAwesome,,, tremendous,allure,
ReplyDeletePlz uploade summery
ReplyDelete