Total Pageviews

Monday, August 13, 2018

Things fall apart - Chinua achebe - Bangla summary of the full story - part 3 of 3






Things fall apart - Chinua achebe - Bangla summary of the full story - part 3 of 3

১ম পর্বের লিংক
২য় পর্বের লিংক
মাস্টার্স ফাইনালের সিলেবাসের অন্যান্য লেখা ও অনুবাদ
শেষ পর্বঃ 
ইংরেজদের প্রথম মিশনারী ছিল জনাব ব্রাউন। সে আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জনাব জেমস স্মিথকে তার জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়। এদিকে নুয়ে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তার বাবার কারনেই ইকমেফিউনা মারা যায়। তার মনের মাঝে বাবার প্রতি এক ধরনের ক্ষোভ তৈরী হয়। এই সময় সে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করে। নিজের নতুন নাম রাখে আইজ্যাক। এই ঘটনা শুনার পর তার বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারতে যায়। সে তখন তার পরিবার থেকে পালিয়ে যায়। সে তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে সে তার পরিবারের সবাইকে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করাবে। এ সময় অকোনকোর নির্বাসনের সময় শেষ হয়ে যায়। তখন সে তার নিজের গোত্রে ফিরে আসে আর দেখে উমোফিয়া আর সেই আগের অবস্থায় নেই। তার গোত্রের বেশিরভাগ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করে ফেলেছে। অকোনকোর একটি মেয়ে ছিল যার নাম ইযিনমা। যাকে বিবাহ দেয়া দরকারসে খুব সুন্দরী ছিল। অকোনকো ভাবলেন উমোফিয়ার কারো সাথে তার মেয়ের বিবাহ দিবেন কিন্তু নিজ গোত্রের বেশিরভাগ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করায় সে বিপদে পরে গেল। সে বুঝতে পারলো এই খ্রিষ্টানদের তাড়াতে  না পাড়লে এক সময় তাদের অস্তিত্বের সংকট পড়ে যাবে। কিন্তু সাদা মানুষেরা ততদিনে সেখানে শক্ত ভাবে গেড়ে বসেছে। তারা নির্দেশ দিল সেখানে সাদা মানুষদের আইন চলবে, আর কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
এদিকে ইনচ নামের একজন খ্রীষ্ট ধর্মগ্রহনকারী অতি উৎসাহী ব্যাক্তি উমোফিয়ার পৃথিবীর দেবতার উৎসবের সময় একজন এগুউগুর মুখোশ খুলে ফেলে যা তারা খুব খারাপ ভাবে নেয়। এটাকে তারা তাদের পূর্ববর্তীদের আত্মার হত্যাকারী মনে করে। তখন তারা উমোফিয়ার ৯টি গ্রামের সবাইকে ডেকে আনে।পরের দিন, সমস্ত গ্রাম থেকে সবাই বাজারে একত্রিত হয়তারা ইনচের বাসার প্রাঙ্গন ও খ্রিষ্টানদের চার্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন ডিষ্ট্রিক্ট কমিশনার তাদের নেতাদের তার বাসায় ডাকে। তারা সেখানে গেলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে তারা চার্চ কেনো ভেঙেছে। তখন তাদেরকে বলে যে তাদের শাস্তি হবে আইন অনুযায়ী এবং তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কে বলা হয় ২০০ কড়ি দিতে পারলে তাদের মুক্তি মিলবে। দুই দিন তাদেরকে কোন প্রকার খাবার, পানি ও মলত্যাগের সুযোগ না দিয়ে বন্দি করে রাখে। ৩য় দিন একজন বানীবাহক এসে বলে সে তাদের গোত্রের কাছ থেকে এই পরিমান অর্থ সংগ্রহ করে আনবে আর তাকে অতিরিক্ত ৫০ টি কড়ি দিতে হবে । তখন তারা এতে রাজি হয় ও মুক্ত হতে পারে। মুক্ত হওয়ার পর তারা একটি সভা ডাকে যার উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে সাদাদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া যায়। মিটিং এর শুরুতে গ্রেফতার হওয়া ৬ নেতার একজন বক্তব্য রাখে। এ সময় ৫ জন সাদা বানীবাহক এর আগমন ঘটে তারা তাদের কে এই সভা বন্ধ করতে বলে। তখন অকোনকো তার ম্যাশেটটি বের করে তাদের নেতার মাথা দেহ থেকে এক কোপে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সে ভেবেছিল তার গোত্রের অন্যান্যরা হয়তো বাকিদের পালিয়ে যেতে দিবে না, বরং হত্যা করবে। কিন্তু সে আশ্চর্য হয়ে দেখলো যে তারা কেউই কিছু করলো না। তারা একেবারে নির্লিপ্ত। তখন সে তার ম্যাশেট টি বালিতে মুছে বাড়ির দিকে চলে গেল।

তখন অকোনকো ভাবলেন সাদা মানুষেরা তাকে হত্যা করবে। কিন্তু সে, সাদা মানুষদের হাতে তার শাস্তি হবে, এটা ভাবতেই পারছিলো না তাই সে গলায় দরি দিয়ে আত্মহত্যা করলো। আফ্রিকান সংস্কৃতিতে আত্মহত্যা মহা পাপ এবং আত্মহত্যাকারীকে কেউই স্পর্শ করে না। তার তার মৃতদেহ সেখানেই রইলো। এদিকে কমিশনার তার লোকজন নিয়ে এসে দেখলেন অকোনকো আত্মহত্যা করেছে, সে তার মৃতদেহ গাছ থেকে নামাতে বললেন। যাত্রা পথে চিন্তা করছিলেন তিনি একটি বই লিখবেন যার নাম হবে, দ্যা প্যাসিফিকেশন অফ দ্যা প্রিমিটিভ ট্রাইবস অফ দ্যা লোয়ার নাইজার। সেখানে একটি অধ্যায় থাকবে, যেখানে লেখা থাকবে একজন আদীবাসির কথা যে সাদাদের একজন বার্তাবাহককে হত্যা করে পরে নিজেই আত্মহত্যা করেছিল।  

1 comment: