Total Pageviews

Saturday, March 30, 2019

Poetics - Aristotle - Chapter - 24 - More About Epic Poetry - Bangla Translation and Explanation

Poetics - Aristotle - Chapter - 24 - More About Epic Poetry - Bangla Translation and Explanation


Poetics - Aristotle - Chapter - 24
More About Epic Poetry
Bangla Translation and Explanation


২৪শ পরিচ্ছেদ - মহাকাব্য সম্পর্কে আরো কিছু কথা 
ট্র্যাজেডির মত, তারপর, মহাকাব্যও একই ভাবে শ্রেণী বিভাগ করা হবে, অর্থাৎ সরল, জটিল (১০ম পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য), করুণাশ্রয়ী এবং নৈতিকতাশ্রয়ী হবে। সঙ্গীত দৃশ্যসজ্জার কথা বাদ দিলে মহাকাব্যে অঙ্গ-উপাদানও সমসংখ্যক হবে। কারণ ট্র্যাজেডির মত এতেও পরিস্থিতির বিপরীত পরিবর্তন (Peripeteia - Reversal), পরিচয় লাভ (Anagnorisis - Recognition)(১১শ পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য) এবং দুঃখ-সম্ভোগের দৃশ্য সংযোজন আবশ্যক (Scenes of Suffering) তদুপরি মহাকাব্যের সংকল্প ভাষার শব্দ নির্বাচন উন্নত মানের হতেই হবে। এসব উপাদান হোমারই প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং বিশেষ নৈপুণ্যের সঙ্গেই করেছিলেন তাঁর দুটি কাব্যের মধ্যে ইলিয়াড (৪র্থ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন) নামক কাব্যটি গঠনভঙ্গীতে সরল এবং এর কাহিনী হচ্ছে দুঃখ সম্ভোগের কাহিনী। তাঁর অপর রচনা অডিসি (৪র্থ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন) গঠনভঙ্গীতে জটিল (কারণ এর প্রায় সর্বত্রই Anagnorisis এর দৃশ্য ছড়িয়ে আছে) এবং এর কাহিনী চরিত্র তথা নৈতিক-সমস্যাশ্রয়ী কাহিনী। তারপর দুটি কাব্যই বাচনভঙ্গী ভাবনার উন্নয়নে অন্য সকল কাব্যকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। রচনার দৈর্ঘ্য ব্যবহৃত ছন্দ উভয় দিক থেকেই মহাকাব্য ট্র্যাজেডি থেকে পৃথক ধরনের সৃষ্টি। (কাব্য বা নাটকের) দৈর্ঘ্যের সীমা-সম্পর্কে ইতিপূর্বেই যে আভাস দেওয়া হয়েছে (৭ম পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য) তাই যথেষ্ট বিবেচিত হবে; অর্থাৎ নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই যেন এক বসাতেই(এক অধিবেশনেই) শেষ হয়। শর্ত অবশ্য তখনই প্রযোজ্য হবে যদি কাব্যগুলো প্রাচীন মহাকাব্যের তুলনায় স্বল্পায়তন হয় অথচ একই অধিবেশনে উপস্থাপন করা সম্ভব এমন সব ট্র্যাজেডির আয়তনের সমান হয়। [মনে হয় একটি উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের কথাই এখানে বলা হয়েছে। ডায়োনিসাসের নাগরিক অনুষ্ঠানে নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী কবির সংখ্যা মনে হয় তিনে সীমিত করা হয়েছিল প্রত্যেকেই নিজস্ব তিনটি ট্র্যাজেডির অভিনয় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতেন। খ্রীষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর সমাপ্তির পরে তিনটি করে স্যাটির নাটক অভিনীত হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সম্ভবতঃ একই উৎসবে অভিনীত এসব নাটকের দৈর্ঘ্য পনের থেকে ষোল হাজার পংক্তি হত। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করা যেতে পারে যে ইলিয়াড কাব্যটি ১৫৬৯৩ পংতির কাব্যরচনা।]
মহাকাব্যের একটা বিশেষ সুবিধা যে তা বেশ বড় আয়তনের জিনিস হতে পারে। ট্র্যাজেডিতে কিন্তু একই সময়ে সংঘটিত ঘটনার নানা দিকের অনুকরণ বা উপস্থাপনা সম্ভব নয়। শুধু সেই অংশটুকুর উপস্থাপনা সম্ভব যেটি বাস্তবে অভিনেতাগণ কর্তৃক মঞ্চে অভিনীত হচ্ছে। অপরপক্ষে মহাকাব্য বর্ণনাত্মক রচনা বিধায় একই সময়ে সংঘটিত যাবতীয় ঘটনার অনুকরণে সমর্থ এবং সেই সকল ঘটনা যদি প্রাসঙ্গিক হয়, তা হলে তা কাব্যটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়-রচনাকে ঐশ্বর্যময় বিচিত্র স্বাদের করে তোলে এবং উপকাহিনীর বৈচিত্র্যে উজ্জল করে তোলে। কারণ একঘেয়েমিতা শীঘ্রই শ্রোতামণ্ডলীকে পীড়িত করে এবং ট্র্যাজেডির মঞ্চাভিনয়ের আবেদনকে নষ্ট করে ফেলে।
অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে যে মহাকাব্যের পক্ষে বীরগাথার মাত্রিক (Heroic Hexameter) ছন্দই সবচেয়ে উপযোগী। যদি কেউ অন্য কোন ছন্দে বা একাধিক ছন্দে বর্ণনাত্মক রীতির কাব্য রচনায় অগ্রসর হন, তা হলে সে-প্রচেষ্টার অসঙ্গতি অতি প্রকট হয়েই উঠবে, কারণ সকল প্রকার ছন্দের মধ্যে বীরগাথার মাত্রিক ছন্দই সবচেয়ে বেশী ভার বহনক্ষম স্থিতিশীল; যার ফলে ছন্দ অনায়াসেই অপরিচিত কৃতঝণ শব্দ (Rare words or unfamiliar borrowings) এবং রূপক অর্থ বোধক(Metaphors) শব্দের ভার বহনে সক্ষম হয়(এই প্রসঙ্গেই চতুর্থ পরিচ্ছেদে আমাদের বলা হয়েছে যে ট্র্যাজেডি তার স্বভাব ধর্মানুযায়ী উপযুক্ত ছন্দমাত্রা আবিষ্কার করে নিয়েছিল।)
বিষয়ে বর্ণনাত্মক শিল্পমাধ্যম অন্য যে কোন শিল্পমাধ্যম থেকে উন্নততর জিনিস বলেই গণ্য হয়। পঞ্চমাত্রার ছন্দ (IambicPenta meter) এবং চার মাত্রার ট্রোকীয় ছন্দ(trochaictetra meter ) কাব্যের গতির সৃষ্টির জন্য সমধিক উপযোগী। এই উভয় প্রকার ছন্দের মধ্যে দ্বিতীয়টি নৃত্যকলার (৪র্থ পরিচ্ছেদ দেখুন)
প্রথমটি অভিনয়-ক্রিয়ার গতিশীলতার আনে। যাই হোক চেইরিমোনের (Chaeremon২য় পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন) মত বিভিন্ন ছন্দের সংমিশ্রণ-ক্রিয়াটি আরও বেশী অস্বাভাবিক অনভিপ্রেত ফল সৃষ্টি করে (আগে রেওয়াজ হিল, যে বিশেষ ছন্দে কবি কিছু লিখতেন তাকে সেই ছন্দের কবিরূপে চিহ্নিত করা। কিন্তু চেইরিমোন অনেক ছন্দেই লিখেছিলেন, তাই তাকে ঐরূপভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। চেইরিমোন ট্র্যাজেডি এবং বীর প্রশস্তিমূলক মহাকাব্যও লিখেছিলেন। মহাকাব্য রচনায় তিনি বিচিত্র ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন। এই সৃষ্টি-প্রক্রিয়া অবাঞ্ছিত ছিল বলেই বোধ হয় এক্ষেত্রে তার কোন অনুসারী দেখা যায়নি।)
তাই দেখা যায় বীরগাথার মাত্রিক ছন্দ ছাড়া অন্য কোন ছন্দে কেউ বড় আয়তনের কোন কাব্য রচনা করেন নি। যে কথা আমি আগেই বলেছি, প্রকৃতি নিজেই আমাদেরকে উদ্দেশ্য সাধক উপযুক্ত ছন্দ নির্বাচনের শিক্ষা দিয়ে থাকে। অন্য অনেক বিষয়ে তো বটেই, ব্যাপারেও হোমার বিশেষভাবেই এক আদরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনিই একমাত্র কবি যিনি ঠিক ঠিক নির্ধারণ করতে পারেন কাব্যমধ্যে কবির ভূমিকা কি হওয়া উচিত। কাব্যমধ্যে কবির নিজের যথাসম্ভব কম কথা বলা উচিত; কারণ তিনি তো আর পন্থায় ক্রিয়ার অনুকরণ করেন না [হোমারের উপস্থাপনা রীতি (তৃতীয় পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য) হচ্ছে কখনও বর্ণনাত্মক, কখনও বা কল্পিত চরিত্রের মুখে সন্নিবেশিত কথা।]
অপরাপর কবিরা তাদের কাব্যে প্রায় সারাক্ষণই উপস্থিত থাকেন এবং তাঁরা যা রচনা করেন, তার অতি সামান্য অংশই আত্মনিরপেক্ষ অনুকরণ হোমর(২য় পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন) কিছু মুখবন্ধ রূপে কয়েকটি কথা বলেই সরাসরি কোন পুরুষ, নারী অথবা অন্য কোন চরিত্র উপস্থাপিত করেন। তাদের কেউ চরিত্রের বিলক্ষণ বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত নয়; বরং প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে ফুটে উঠেছে।
ট্র্যাজেডিতে অবশ্যই বিস্ময় চমক সৃষ্টিকারী উপাদানের সমাবেশ ঘটানো উচিত। কিন্তু মহাকাব্যে, যেখানে কাহিনীর অভিনেতারা আমাদের চোখের সামনে থাকে না, সেখানে বিস্ময়করতার প্রধান উপাদান অবিশ্বাস্যের বেশী করে সমাবেশ ঘটানো যেতে পারে। মঞ্চে ধরনের ব্যাপার আমদানি করা হলে, দেখা যাবে Achilles কর্তৃক Hector এর পশ্চাদ্ধাবন দৃশ্যে যেখানে গ্রীকরা তাকে অনুসরণ না করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে আর একিলিস শুধু মাথা ঝাঁকিয়ে ইশারায় তাদের নিবৃত্ত করছেন, জাতীয় দৃশ্য কতকটা হাস্যকর বলেই মনে হবে [ইলিয়াড কাব্যের একবিংশ সর্গে বিষয়টি আর একটু বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যারিস্টটল বলতে চান যে কাব্যে দৃশ্যটির যে বর্ণনা রয়েছে, তাকে মঞ্চায়িত করতে গেলে তা হত বিসদৃশ এবং হাস্যকর।] কাব্যে কিন্তু অসঙ্গতি চোখে পড়েন। বিস্ময়জনকতা একটা আনন্দেরই উৎস; কারণ দেখা যায় এক টুকরো খবর অন্যত্র পৌছে দিতে গিয়ে প্রত্যেকেই তাতে কিছু অতিরিক্ত কথা যোগ দেয়, যাতে তা শ্রোতার কাছে প্রীতিকর হয়ে ওঠে।
সর্বেপিরি হোমারই অপরাপর কবিকে শিখিয়েছেন কি কৌশলে অসত্যকেও সত্যের মত বিশ্বাস্য করে উপস্থাপিত করা যায়। কৌশল হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য বা প্রযোজ্য মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা নয় এরূপ যুক্তি প্রয়োগ করে ব্যাপারটাকে সকলের সামনে তুলে ধরা।[Aristotle তাঁর Rhetoric বা বক্তৃতাবিজ্ঞান গ্রন্থে এই ধরনের আপাতগ্রাহ্য অথচ প্রকৃতপক্ষে নয়, যুক্তি উপস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বক্তৃতার সার্থকতার জন্য যথোপযুক্ত উপস্থাপনা, ভাবভঙ্গি বাচনশৈলীর উপরই বার বার জোর দিয়েছেন।]
যখনই কোন একটি বস্তুর বিদ্যমানতাকে পূর্ববর্তী অন্য কোন বস্তুর বিদ্যমানতা সাপেক্ষ বলে বর্ণনা করা হয় অথবা কোন বিষয়ের সংঘটন কে পূর্ববর্তী অন্য কোন বিষয়ের সংগঠন সাপেক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়, তখন লোকে ধরে নেয় যে পরবতী বস্তু বা ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে অবশ্যই পূর্ববর্তী বস্তু বা ঘটনা সত্য হবে। কিন্তু এরূপ অনুমান যথার্থ নয়। সুতরাং কোন জিনিসের পূর্বসূত্র যদি বর্তমান না থাকে এবং যদি শুধু পূর্বসূত্র থাকার উপরই জিনিসটির নিজস্ব বিদ্যমানতা বা ঘটমানতা নির্ভর করে, তাহলে কবিকে জিনিসটির স্বসত্তায় উপস্থাপিত করার দিকে মন দিতে হবে। কারণ জিনিসটি নিজে সত্য এই নিশ্চিত আশ্বাসের বশীভূত আমাদের মন পূর্বসূত্রকেও সত্য বলে মিথ্যা অনুমান করে বসে। Odessey এর গোসলের দৃশ্য সম্পৃক্ত উপকাহিনীতে ধরনের পূর্বসত্যকে সত্য বলে মিথ্যা অনুমান করার দৃষ্টান্ত রয়েছে [ Odessey এর স্নান দৃশ্যে (১৯ পর্বে) দেখতে পাই অডিসিয়াস,  নসোস(Gnossos) এর অধিবাসী একজন ক্রীটানের ছন্মবেশে পেনিলোপ(Penelope) এর সঙ্গে দেখা করে। এই ব্যাক্তিটি একবার ট্রয় যাত্রাপথে তাঁর স্বামীকে অভ্যর্থনা করেছিল। সে অডিসিয়াসের পোশাক তাঁর সঙ্গীদের কথা নিখুঁতভাবে বর্ণনা করে। তা শুনে পেনিলোপ মনে মনে ভাবেন তার গল্প সত্য হলে সে অবশ্যই সব কিছু জানবে। সে দেখা যাচ্ছে সবকিছুই ঠিক বলছে, তাহলে তার গল্প সত্য]
কবির উচিত অসম্ভাব্য সম্ভবের চেয়ে সম্ভাব্য অসম্ভবকেই শ্রেয়ঃতর হিসেবে বেছে নেয়া। যুক্তি পরম্পরা গ্রথিত নয়, এমন ঘটনার সমাবেশ ঘটিয়ে কাহিনী নির্মান করা উচিত নয়। সম্ভব হলে অযৌক্তিক কোন কিছু থাকলেই তা বর্জন করে উচিত।আর সম্ভব না হলে, তার স্থান হওয়া উচিত উপস্থাপিতব্য মূল কাহিনীর বাইরে, যেমন রাজা লাইয়াসের মৃত্যু সম্পর্কে ঈডিপাসের অজ্ঞতার ব্যাপারটি[চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ পরিচ্ছেদের টীকা দেখুন]; নাটকের মধ্যে নয়, যেমন Electra তে আমরা দূতের মুখে পিথিয়ান (Pythian) ক্রীড়া অনুষ্ঠানের১ বিবরন শুনি অথবা যেমন মাইসিয়ানস২ [Mysians] নাটকে দেখি তেগিয়া থেকে মাইসিয়া পর্যন্ত একটি লোকের নিঃশব্দ আগমনের দৃশ্য। এরূপ না করলে গোটা কাহিনীটাই নষ্ট হয়ে যেত, যুক্তি হাস্যকর। প্রথম কথা হল, এই ধরনের কাহিনী আদৌ গঠন করা উচিত নয়; কিন্তু কোন কবি যদি এই ধরনের কাহিনীর অবতারণা করেন এবং যদি মনে হয়, কাহিনীটিকে আরও বেশী যুক্তিসম্মত করে গড়ে তোলা যেত, তা হলে বলতেই হবে তাঁর প্রচেষ্টা একবারেই ভষ্মে ঘি ঢালার মত ব্যাপার হয়েছে। এমন কি Odessey তে অডিসিয়াসের ইথাকার সমুদ্রতীরে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ঘটনার [অডিসির ১৩শ পর্বে উল্লিখিত আছে যে ঘুমন্ত অবস্থায়ই অডিসিয়াসের সঙ্গীরা তাঁকে নিয়ে ইথাকার [Ithaca] সমুদ্র-সৈকতে অবতরণ করেছিল।] মধ্যে যে সব অবিশ্বাস্য উপকরণের সমাবেশ হয়েছে, তা কখনই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠত না, যদি হোমারের চেয়ে স্বল্প মেধা শক্তি কোন কবির হাতে পড়ত। যেমনটি আছে, তেমনটি রেখেই, হোমার তাঁর কবি কল্পনার মোহিনী-শক্তি দিয়ে সকল অসঙ্গতি অবাস্তব কাহিনীকে ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
কাব্যিক ভাষার চুড়ান্ত প্রয়োগ-নিরীক্ষা কেবল নিরপেক্ষ এলাকায়ই করা উচিত। অর্থাৎ যেখানে চরিত্র বা চিন্তা কোনটির প্রকাশই জরুরী নয়। কারণ কাব্যিকভাষা যেখানে অতিমাত্রায় সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে সেখানে কাব্যের চরিত্র এবং চিন্তার বিকাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারে।

ব্যাখ্যা টিকাঃ
১। সফোক্লিসের ইলেক্টরা [Electra] নাটকে দেখতে পাই অরেস্টিসের[Orestes] বৃদ্ধ গৃহশিক্ষক পেডাগগাস [Paedagogus] ডেলফীতে [Delphi] রথের দৌড় প্রতিযোগিতায় অরেস্টিসের মৃত্যুর এক মিথ্যা মর্মস্পর্শী বিবরণ দিয়েছেন। যেহেতু অরেস্টিসের সময়ে পাইথিয়ান ক্রীড়া অনুষ্ঠানের সূচনাই হয়নি তাই এরূপ হতে পারে যে বক্তব্যে, এই সময় অতিক্রম করার দোষ সমালোচকদের ক্ষুব্ধ করেছিল অথবা সম্ভবতঃ এটা অসম্ভাব্য মনে হয়েছিল যে সংবাদ ইতিপূর্বেই আর্গসে পৌছেনি।

২। Mysian – Greek play by Aeschylus: এটি সম্ভবতঃ এস্কাইলাস-রচিত হারিয়ে যাওয়া একটি নাটক। এতে বর্ণিত হয়েছে যে টেলিফাস [Telephus] তেগিয়া [Tegea] থেকে মাইসিয়া [Mysia] পর্যন্ত নীরবে ভ্রমণ করেছিলেন

No comments:

Post a Comment