Total Pageviews

Thursday, January 24, 2019

Woman and Fiction - Virginia Woolf - Bangla Translation

Woman and Fiction - Virginia Woolf - Bangla Translation


Woman and Fiction - Virginia Woolf - Bangla Translation
উইমেন অ্যান্ড ফিকশন - সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ 
[১৯২৯ সালের মার্চ মাসে দি ফোরাম নামক পত্রিকায় এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে ১৯৭৯ সালে এটি ভার্জিনিয়া উলফ : উইমেন অ্যান্ড রাইটিং সংকলনে সংকলিত হয়]

অনুবাদঃ 
এ প্রবন্ধের শিরোনামটি দুভাবে পাঠ করা যেতে পারে; এটি নির্দেশ করে নারীসমাজ ও তাদের রচিত উপন্যাস কিংবা সেইসব উপন্যাস যা তাদেরকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে। এভাবে বিষয়টি স্বেচ্ছায় একটি অনিশ্চয়তার মাঝে নিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে মোটামুটি একটা সহনীয় আচরণ প্রদর্শন করাটাই ভালো। একজন রচয়িতার তার নিজের বিষয়ে লেখালেখি ছাড়াও অন্য সকল বিষয় নিয়ে কিছু রচনা করার জন্য তাকে স্বাধীনতা দেয়া কিংবা নিজস্ব স্বাধীনতা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। এইসব লেখালেখির ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত শর্ত আরোপিত হয় তা হলে সেসব লেখার শিল্প বলতে কিছুই থাকে না। নারী বিষয়ক ভাসা ভাসা নানা অনুসন্ধানী গবেষণাকর্ম বহু প্রশ্ন তৈরি করেছে। সহসাই আমরা এ ধরনের প্রশ্ন করে বসি যে, কেন অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বে মহিলাদের নিয়মিত লেখক হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেন তারা পুরুষদের মতো করেই রচনা করেন; আর কেন তারা এভাবে কোনো কিছু রচনা করতে গিয়ে ইংরেজি ধ্রুপদী ধারার উপন্যাস রচনা করেন বা করেছেন। আর কেনইবা তাদের সাহিত্যকর্মগুলো উপন্যাসের রূপ পরিগ্রহ করে ।
এ বিষয়ে আমরা একটুখানি ভাবলেই অনুধাবন করতে পারব যে আমাদের জিজ্ঞাসা গুলোও উপন্যাসের মতোই জটিল। এ ধরনের পুরনো চিন্তাচেতনা এখন আরো বেশি পুরনো হয়ে ড্রয়ার বোঝাই অবস্থায় পুরনো দিনের গ্রন্থ গুলোতে আটকে আছেঠিক এ ধরনের প্রশ্নের সার্থক উত্তর অতীতে কোনো একসময়ে হয়ত ছিল। যখন ইতিহাসের অন্ধকার গলি ঘুপচিতে নারী জাতি সম্পর্কে খুব কমই অবগত হওয়া গেছে। ইংল্যান্ডের ইতিহাস মানেই হল পুরুষ জাতির ইতিহাস, নারী জাতির নয়। এরূপ বিভেদের কথা আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের সম্পর্কেও পাই। একের মাঝে কেউ কেউ ছিলেন সৈনিক আবার কেউবা ছিলেন নাবিক। আই প্রণয়নের কার্যবিধি কিংবা এর ধারাসমূহ নিয়ন্ত্রণ সবই ছিল পুরুষদের কব্জায়। কিন্তু আমাদের মা, দাদি, নানি এবং তাদের মায়েদের জন্য সামাজিক কিছু রীতিনীতি ও প্রথা ছাড়া আর কিছুই ছিল না, আমরা অতীতকালের নারী জাতি সম্পর্কে শুধু এটুকুই জানি যে, এদের মাঝে কেউ ছিল অসাধারণ সুন্দরী, কেউ ছিল লাল চুলের অধিকারী আবার কেউবা ছিল রানী কর্তৃক সন্মানিতা। পুরনো দিনের এসব নারীদের নাম, বিয়ের তারিখ তাদের কজন সন্তান- এসব ছাড়া আর আমরা কিছুই জানি না বললেই চলে।
এ অনুযায়ী যদি আমরা জানার আগ্রহ প্রকাশ করি যে, কেন তখন নারীকুল এরূপ কিংবা ওইরূপ করেছিল, কেন তারা কিছু রচনা করেনি, অথচ আবার আমরা দেখি যে, শিল্প গুণমণ্ডিত লেখা সে সময়ে নারীদের হাত থেকে বের হয়েছে, এসব প্রশ্নাবলির সঠিক কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়। কেউ যদি পুরনো দিনের লেখা কাগজপত্রাদি খুঁজে বের করে ইতিহাসকে তার ভুল পথ থেকে সরিয়ে এনে ইতিহাসকে সঠিক রাস্তায় পৌছে দেয় আর সে সময়ের নারী জাতির প্রতিদিনের জীবনযাত্রার একটি বিশ্বাসযোগ্য ছবি তুলে ধরে, বিশেষ করে শেকসপিয়ার, মিলটন, জনসন প্রমুখের, সমসাময়িক কালের আসল অবস্থান খোজখবর করে, তাতে তাদের হাতে শুধু চমৎকার একটি গ্রন্থই রচিত হবে না, তারা সমালোচকগণের দুর্বল হাতকে আরো শক্তিশালী করবে। মহীয়সী নারীগণ সাধারণ নারীজাতির ওপরেই নির্ভর করেন। একজন লেখক হিসেবে অসাধারণ রমণীগণের সাফল্য সম্পর্কে আমরা তখনই সঠিক বিচার করতে সক্ষম হব যখন আমরা সেই কালের সাধারণ রমণীদের অবস্থান, তাদের সন্তান, তাদের নিজস্ব আয়, ব্যক্তিগত জীবনযাত্রা, পরিবারে নারীর স্থান, চাকর চাকরানীর সংখ্যা- এগুলোর ব্যাপারে জানতে পারব। এর সাথে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। তারা আসলেই গৃহকর্মের সাথে যুক্ত ছিল কি না। সময়ের এই আশ্চর্য নীরব দিকটিই যেন এক যুগের কর্মপ্রবাহ হতে অন্য যুগের কর্মপ্রবাহকে আলাদা করে। সেফোসহ মহিলাদের একটি ছোটো দল যিশুখ্রিষ্টের[তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক] ছয় শ বছর পূর্বে গ্রামে কাব্যসাধনার সাথে নিজেদের যুক্ত করেছিল। তারা সময়ের অবিঘাতে এখন নীরব। লেডি মুরাসাকি নামক একজন মহিলার সাক্ষাৎ লাভ করি আমরা জাপানে যিনি আজ থেকে এক হাজার বছর আগে চমৎকার একটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। কিন্তু ষোড়শ শতকে ইংল্যান্ডে যখন নাট্যকার এবং কবিগণ তাদের সৃষ্টিকর্মে রত তখন সেখানকার নারীসমাজ একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করেছে শিল্প সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে। পরবর্তীকালে অর্থাৎ অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে এবং উনবিংশ শতকের শুরুতে সেখানকার নারীরা ব্যাপকহারে লেখালেখির কর্মে এগিয়ে আসে। মাঝখানের এই আশ্চর্যজনক নীরবতার জন্য আইন-কানুন ও রীতিনীতি গুলোই দায়ী।
পঞ্চদশ শতকে মা-বাবার মনোনীত কোনো পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি না হলে বিয়ের পাত্রীকে প্রহার পর্যন্ত করা হত। এছাড়া নারীদের লেখালেখির ব্যাপারে ধর্মীয় পরিবেশও খুব একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করেনি। নিজস্ব কোনো মতামত প্রদান করা ছাড়াই যখন কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে হত তখন তথাকথিত তার সেই স্বামী প্রভুটি সে সময়ের আইনের ছত্রছায়ায় প্রশ্রয় পেত, বিশেষ করে স্টুয়ার্টের সময়ে এই আইনের প্রশ্রয়ে স্বামী প্রভুটি এমন সব কর্ম করত যে সেটা তার স্ত্রীকে শিল্প সাহিত্যকর্মে মনোযোগী হতে খুব কমই উৎসাহিত করত। আজকের এই মনোবিজ্ঞান বিশ্লেষণের যুগে মানুষের মনের ওপর পরিবেশ এবং নানাবিধ পরামর্শের প্রভাব আমরা সহজেই বুঝতে পারি। অন্যদিকে চিঠিপত্র এবং সে সময়ের নানাজনের জীবনী কিংবা স্মৃতিচারণ থেকে খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে, একজন লেখকের সাহিত্যচর্চার জন্য আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং অন্যের সহযোগিতা খুবই জরুরি। আর এটাও আমাদের অনুধাবন করতে মোটেই বেগ পেতে হয় না যে, সে সময়ে কতটা অস্বাভাবিক আর ক্লেশকর ছিল একজন শিল্পীর শিল্পসাধনার রাস্তা। কিটস, কার্লাইল এবং ফ্লবেয়ারের মতো প্রতিভাবানদের জীবনকথা এবং তাদের চিঠিপত্রগুলোই তা প্রমাণ করে। তবে এটা স্পষ্ট করেই বলা যায় যে উনবিংশ শতকে ইংল্যান্ডের মাটিতে উপন্যাস সাহিত্যের যে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়, তা রীতিনীতি আইন কানুন ও নানা বিধিনিষেধের বাধাকে উপেক্ষা করেই উন্মোচিত হয়েছিল। এ কাজটা সম্পাদন করার জন্য উনবিংশ শতকের নারীসমাজের প্রচুর অবসর ছিল। মোটামুটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায়ও শিক্ষিত হয়েছিল তারা। এটি ঠিক সেই সময়, যে সময় একজন নারী তার পছন্দমতো স্বামী বেছে নিলে সেটা একেবারে অস্বাভাবিক ব্যাপার মনে করা হত না, বিশেষ করে এটা উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে সম্ভব হত। তবে এখানে একটি ব্যাপার বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, জেন অস্টেন, এমিলি ব্রন্টি, শার্লট ব্রন্টি এবং জর্জ এলিয়ট এই চারজন ঔপন্যাসিকেরই কোনো সন্তানসন্ততি ছিল না আর এদের মাঝে দুজন ছিলেন অবিবাহিতা।
তবে এটা পরিষ্কার যে, লেখালেখির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা দূর হয়েছে। এর পরও আমরা দেখব পৃথিবীতে এখনো নারীদের উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বাধাবিঘ্ন রয়েছে। উল্লিখিত এই চারজন নারীকে বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক মাধুর্যে হারিয়ে দেয়ার মতো অন্য আর চারজন নারী তৈরি হয়নি তখনো। জর্জ এলিয়টের সাথে জেন অস্টেনের কোনো মিল নেই জর্জ এলিয়ট ছিলেন ব্রনটির একেবারে বিপরীত। তবু এরা সকলেই একই পথের পথিক ছিলেন, বিশেষ করে উপন্যাস রচনার দিক থেকে। উপন্যাস রচনা করাটা একজন নারীর পক্ষে সবচাইতে সহজতর কর্ম যা অতীতকালেও সহজ ছিল এবং এখনো এটাকে সহজ বিষয় বলে ভাবা হয়। এর কারণ বের করাও খুব একটা কঠিন কর্ম নয়। উপন্যাস সবচেয়ে কম কষ্টকর ও কম চিন্তাশীল একটি বিষয়। একটি নাটক কিংবা একটি কবিতার চাইতে খুব কম পরিশ্রমে একটি উপন্যাস রচনা সম্ভব। জর্জ এলিয়ট তার পিতার সেবা করতে গিয়ে প্রায়ই তার লেখার কাজে ছেদ ফেলতেন। আলুর খোসা ছাড়াতে গিয়ে শার্লট ব্রন্টি তার লেখার কর্মটিতে বিরতি দিতেন। আর যেহেতু তিনি একটি সাধারণ বসার কক্ষে লোকজন পরিবেষ্টিত হয়ে অবস্থান করতেন সে কারণে তিনি মানুষের আচার আচরণ ও চালচলন- ভালোভাবেই তাদের মনোবিশ্লেষণ এবং পর্যবেক্ষণ কর্মটি সমাপ্ত করতেন এবং এতে তিনি যথেষ্ট পরিপক্ক হয়ে উঠেছিলেন। এ কারণে তার পরিবেশ তাকে কবি হিসেবে তৈরি না করে ঔপন্যাসিক হিসেবে তৈরি করতে সহায়ক হয়েছে।
এমনকি উনবিংশ শতকে একজন নারীকে একাকী তার নিজস্ব চেতনা ও আবেগ নিয়ে নিজ গৃহেই বাস করতে হত। উনবিংশ শতকের এসব উপন্যাস স্বাভাবিকভাবেই প্রভাবিত হয়েছে সেসব মহিলাদের দ্বারাই, যারা লিঙ্গগত বৈষম্যের কারণে জীবনের নানা দিক বিশেষ করে জীবন অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত থেকেছে, নিঃসন্দেহে এটা সত্যি যে এরূপ অভিজ্ঞতা উপন্যাস সাহিত্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। কনরাড যদি নিজে নাবিক না হতেন তাহলে উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তার লেখাতে সহজে ধরা দিত না, কিছুটা ঘাটতি থেকে যেত। টলস্টয় সৈনিক ছিলেন,এ জন্য যুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আর ধনীর সন্তান হিসেবে তিনি সমাজের সর্বস্তরের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। আর এ দুয়েরই সফল প্রকাশ ঘটে তার লেখা ওয়ার অ্যান্ড পিস-এ। যুদ্ধ ও জীবন সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকলে এ উপন্যাস ব্যর্থতায় পর্যবসিত হত।
এমনকি প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস, উইদারিং হাইটস, ভিলেট ও মিডলমার্চ উপন্যাস যেসব মহিলা লেখক রচনা করেছিলেন তারা মধ্যবিত্ত সংসারের ড্রইংরুমে সংস্কৃতির বাইরে পা রাখতে পারেননি, সুযোগ পাননি বাইরের জগৎ দেখার। সমুদ্র অভিযান, যুদ্ধ, রাজনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা এসব লেখিকার পক্ষে ছিল একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। তাদের জীবনযাত্রা, হৃদয়াবেগ, মনোজগৎ সর্বত্র নানা নিয়মনীতির শূলে আবদ্ধ ছিল। জর্জ এলিয়ট যখন মি. লুইস নামের একজন পুরুষের সাথে একসাথে জীবন যাপন করার সংকল্প করেন তখন এটা নিয়ে পুরো সমাজে কথা রটতে থাকে। শেষে বাধ্য হয়ে তিনি একটি মফস্বল শহরের নির্জন এলাকা বাস করার জন্য বাছাই করেন এবং নিদারুণ সামাজিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেনঅথচ সমসাময়িক পুরুষ লেখক টলষ্টয় নানা পেশার নারী-পুরুষের সাথে মেলামেশা করেছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো খারাপ কিছু বর্ণনা করেনি, নিন্দাবাদও জ্ঞাপন করেনি, আর সেই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই তার উপন্যাস গভীরতায় ভাবব্যঞ্জনায় দীপ্ত হয়ে উঠেছে।
কিন্তু নারী কর্তৃক রচিত উপন্যাসগুলো স্বল্প অভিজ্ঞতা দ্বারাই জারিত হয়নি, উনবিংশ শতকে লিঙ্গ বৈষম্যগত সমস্যা দ্বারাও এটি আক্রান্ত হয়। চার্লস ডিকেন্সের সাহিত্যকর্মে পাঠকসমাজ শুধু চরিত্র চিত্রণ বিষয়টির দিকেই সজাগ দৃষ্টিপাত করে। কিন্তু মিডলমার্চ আর জেন আয়ারের পাঠক শুধু চরিত্রগুলোর দিকেই দৃষ্টিপাত করে না, এ ক্ষেত্রে উপন্যাসে একজন নারীর যে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি- এটার দিকেও সজাগ দৃষ্টি দেয়। আর এ উপন্যাসে নারী চরিত্রটি যেন সর্বদা লিঙ্গ বৈষম্য ও তার অধিকার আদায়ের বিষয়টিকেই প্রচার করতে সচেষ্ট হয়। এ বিষয়টি নারী রচিত উপন্যাসগুলোতে এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যে, সেসব পুরুষ রচিত কোনো উপন্যাসে তা মেলে না। এ ক্ষেত্রে একজন শ্রমজীবী মানুষ কিংবা একজন নিগ্রো কিংবা নিজের অক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন এমন মানুষদের কথা সম্পূর্ণ আলাদা। মোট কথা এ বিষয়টি একটা অসঙ্গতির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে এবং প্রায়ই এটা দুর্বলতা জাহির করে।
প্রতিভার মূল্য বিচারে জেন স্টেন ও এমিলি ব্রন্টি যতটা শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার তার চেয়ে বেশি তারা শ্রেষ্ঠ এবং সফল এ কারণে যে তারা সব প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে নিজেদের সৃষ্টিকর্মে সর্বদা অটলভাবে লেগে থাকতেন। কিন্তু এমন বিরুদ্ধতার মধ্যে টিকে থাকার জন্য খুবই শীতল মস্তিষ্ক প্রয়োজন। সমসাময়িক কালে সমাজে নারীর প্রতি অবহেলা, নিন্দা, উপহাস নানা উপায়ে তাকে নিম্নশ্রেণীর প্রমাণ করার প্রয়াস, এসব বিষয় বিশেষ করে নারী লেখকদের উদ্দেশ্য করে ঘটা এসব বিষয় নারী লেখকদের মাঝে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। শার্লট ব্রন্টির লেখায় ঘৃণার প্রকাশ, জর্জ এলিয়টের সব ছেড়েছুড়ে দেয়ার মাঝেই এই প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। 

বাকি অংশ


No comments:

Post a Comment