Total Pageviews

Thursday, January 24, 2019

Woman and Fiction - Virginia Woolf - Bangla Translation-2

Woman and Fiction - Virginia Woolf - Bangla Translation-2 
উইমেন অ্যান্ড ফিকশন - সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ -শেষ পর্ব 


২য় পর্ব শুরুঃ 

নারী লেখকদের লেখায় বারবার যে বিষয়টির প্রকাশ ঘটেছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হল, তাদের লেখার বিষয়, চূড়ান্তভাবে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রকাশ ও একগুয়েমি, এসবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া। এ ছাড়া অবচেতনেই মানুষের ভেতরে অসচেতনতার প্রবেশ ঘটে যায়। নেতা এবং ক্ষমতাসীনদের সাথে তাদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তাদের সকল ভাবনা তখন হয় খুব বেশি পুরুষতান্ত্রিক। তা না হলে খুব বেশি রকম নারীকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। যার কারণে লেখার শৈল্পিক দিকটি ম্লান হয়ে যায়। নারী লেখকের লেখার সব চাইতে বড়ো ধরনের ব্যতিক্রমী বিষয়টি হল, তাদের আবরণের পরিবর্তনগত দিকটি। একজন মহিলা লেখকসমাজে যখন আর অসহনীয় মানসিকতার পরিচয় বহন করে না। আর তারা পূর্বের মতো এতটা প্রতিক্রিয়াশীলও নয়। তাই তাদের আগেকার সাহিত্যে যে প্রতিবাদ দেখা যেত তখন সে ধরনের প্রতিবাদ তাদের লেখায় নেই, সমাজের কাছে তারা সহায়তাও কামনা করে না। সম্পূর্ণ না হলেও আমরা বর্তমানে এমন একটা পর্যায়ে এসেছি যখন নারীদের লেখালেখিতে বাইরের কিংবা সমাজের কোনো বাধা এসে সামনে দাড়ায় না। বাহ্যিক পরিবেশের প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করে নিজ কল্পনাশক্তি বা নিজস্ব দর্শনের ওপর তারা এসে পুরোপুরি নির্ভর করতে পারেপ্রতিভাসম্পন্ন নারীদের সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও মৌলিকত্ব সাধারণ নারীদের জীবনে একটা সাধারণ ব্যাপার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে ক্রমে ক্রমে। এ কারণে একজন সাধারণ নারী লেখিকার লেখা অনেক বেশি বাস্তব এবং গ্রহণযোগ্যতা পায় আর পঞ্চাশ কিংবা একশ বছর আগের নারীদের সাহিত্যকর্মের চেয়ে আজকের নারী লেখকদের সাহিত্যকর্ম অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
তবে এটা সত্যি যে, আজকের বাস্তব ক্ষেত্রেও একজন নারীকে কলম ধরতে গিয়ে অনেক বাধা বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যে পর্যন্ত না তারা এ কাজে স্বেচ্ছায় অবতীর্ণ হয়। প্রথমেই তার সামনে এসে দাড়ায় নানা রকম সমস্যা কারণ তার লেখায় সে যেসব শব্দ ব্যবহার করে তা তার ভাব প্রকাশের জন্য যথেষ্ট নয়। এ বাক্যগঠন প্রক্রিয়া হল পুরুষ শাসিত সমাজের তৈরি বাক্য প্রয়োগরীতি। একজন নারীর পক্ষে এটা ব্যবহার করা আসলেই খুবই জটিল, নড়বড়ে গঠন এবং খুবই জাকজমকপূর্ণ বিষয়ের সমাহার। তবুও একটি উপন্যাস যার ক্ষেত্র বিশাল সেখানে খুবই সাধারণ একটি বাক্য উপন্যাসের ঘটনার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুব সহজেই নিয়ে যায়। আর একজন নারীকে সেগুলো কিছুটা পরিবর্তন করে নতুনভাবে সাজিয়ে চলার মতো করতে হবে আর সেসব বাক্য সমূহ যাতে সাধারণ নারীবিষয়ক ভাবনার বিকৃতি অথবা বাধা না হয়ে নারীর চিন্তাচেতনার বিকাশে যেন তা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মোট কথা এটাই হল সাফল্যের শেষ প্রান্তে পৌছার একমাত্র পথ। এখনো শেষ প্রান্তে পৌছার অপেক্ষা করছে নারী লেখকগণ, এ কারণে বিরুদ্ধ শক্তির মুখোমুখি হওয়ার জন্য, কঠিন হস্তে অগ্রসর হওয়ার জন্য সাহস সঞ্চয় করা প্রয়োজন। মোট কথা একটি উপন্যাস হল হাজার বিষয়ের সমাহার যা মানুষ, প্রকৃতি ও স্বর্গীয় বিষয়াবলির একটিসাথে অন্যটির সংযোগ স্থাপন করে। প্রত্যেকটি সার্থক উপন্যাসে এইসব উপাদান ঔপন্যাসিকের প্রতিভার আলোকে উজ্জ্বলতর কিংবা প্রস্ফুটিত হয় আর প্রথাভিত্তিক একটি নির্দেশও তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, যেহেতু পুরুষসমাজই সেই প্রথার সমর্থনকারী আর সামাজিক নিয়মনীতিগুলো তারাই সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই বাস্তবভিত্তিক উপন্যাসগুলো, গল্পগুলো পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকে পাশ কাটাতে সমর্থ হয়নি তবে সম্ভবত এটাও সঠিক যে, জীবন ও শিল্প এ দুটো ক্ষেত্রে নারী মূল্যবোধ চেতনা আর পুরুষের চেতনা এক বিষয় নয়। আর তাই যখন একজন নারী উপন্যাস রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তখন প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধ চেতনার বিপরীতে তাকে অবস্থান গ্রহণ করতে হয়। আর আমি একজন নারী লেখক, একজন পুরুষের দৃষ্টিতে যেটি একেবারেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের ব্যাপারে, সেই অপ্রয়োজনীয় বস্তুটিকে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার বিরামহীন প্রচেষ্টা চালাই। এ কারণে নিন্দাবাদ কুড়াতে হয়। কারণ পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধে আস্থা স্থাপনকারী সমালোচকগণ স্বাভাবিকভাবেই এই নারী লেখকের লেখায় ভীত হন, বিশেষ করে একজন নারীর রীতিনীতির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করার বিষয়টি তাকে ঘাবড়ে দেয়, হতবাক করে দেয়। আর এ ধরনের সমালোচকদের চোখে নারীসমাজের এই মূল্যবোধের চেতনাকে একেবারেই দুর্বল মনে হয় আর এটা নিছকই নিজস্ব আবেগের প্রকাশ কিন্তু আজকের দিনে মহিলারা এ বিষয়ে যথেষ্ট স্বাধীনচেতা। আর নিজেদের মূল্যবোধের ব্যাপারেও তারা খুবই যত্নবানএ কারণে তাদের উপন্যাসের বিষয়গুলো পরিবর্তনের স্বীকৃতিই বলা চলে। এই নারীবাদী লেখিকারা নিজেদের বিষয় নিয়ে যতটা ভাবনা না করেন তার চাইতে বেশি ভাবেন তারা অন্য নারীদের অবস্থানের বিষয় নিয়েউনবিংশ শতকের প্রথম পর্যায়ে নারী জাতির নানা সস্যা সবার সামনে তুলে ধরাই ছিল তাদের লেখার মূল বিষয়। এরা নারীদের কথা তুলে ধরতে চান, কারণ এর পূর্বে নারীদের নিয়ে কেউ কলম ধরেনি। মোট কথা সাহিত্যে পুরুষদের হাতেই নারী জাতি চরিত্র হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। এখানে আরো একটি জটিলতা আছেকারণ হচ্ছে, সাধারণভাবে বলতে গেলে একজন লেখকের পুরুষের চাইতে নারীদের অবলোকন করা ছিল খুবই কঠিন একটা ব্যাপার, আবার সাধারণ চোখে জীবনকে যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। নারীসমাজকে সেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি, দেখার মাঝে কিছুটা ফাক থেকে গেছে। একজন নারীর জীবনযাত্রায় উল্লেখ করার মতো কোনো ব্যাপার ঘটত না। তাদের তৈরি রান্না সবাই উপভোগ করত। তাদের আদর যত্নে গড়ে ওঠা সন্তানরা বাইরের পৃথিবীর সাথে মেলামেশার সুযোগ পেত কিন্তু তাদের মায়েরা তা পেত না।
এ সমস্যার মূল কোথায়? কোন গোপন সমস্যাটি এখনো উপন্যাসে ঠাই পাওয়ার অপেক্ষায় আছে এটার জবাব সত্যি দুরূহ। নারীর জীবন খুবই রহস্যময়, আশ্চর্যজনক সম্পূর্ণ অজানা একটা পৃথিবীর মতো। প্রথমবার এই রহস্যময় অন্ধকার জগৎ উপন্যাসের মাঝে দেখা যায়একজন নারীকে একসাথে লেখালেখি ও নারীর মনমানসিকতার পরিবর্তনের দিকে নরজদারি করতে হয়। এটাই ছিল নারী লেখকদের প্রাথমিক কর্ম, একজন নারী লেখককে পর্যবেক্ষণ করতে হয় কেমন করে অন্য একজন নারীর জীবন হতাশার আধারে ডুবে যেতে যেতেও রক্ষা পায়। একজন নারীকে এটাও লক্ষ করতে হয় যে, বাইরের জগতের কী কী রুপ গুণ প্রকাশ পাচ্ছে। তাকেও সে গুণে গুণান্বিত হয়ে নিজেকে বাইরের জগতে প্রকাশ করতে হয়। এর পরও যদি কেউ নারী লেখকদের উপন্যাসের মূল বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চায় সেটাকে অবশ্যই একটা সাহসী প্রচেষ্টা হিসেবে ধরে নিতে হবে। এটি খুব সরলভাবেই নারীর নিজস্ব অনুভূতিকে ধারণ করে আছে। নারীর নিজস্ব চিন্তা চেতনা জারিত এসব উপন্যাসই পাঠকের উপলব্ধির দরজায় পৌছে দিয়েছে। এটা মোটেই অসহনীয় অনাকাতিক্ষত নয়, এগুলো নারীবাদ সম্পর্কিত কোনো ছোটো পুত্তিকা নয়। একই সাথে এটা বলা অসঙ্গত হবে না যে, একজন নারী তার উপন্যাসটি যে চিস্তাচেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে রচনা করেন ওই একই রকমের উপন্যাস কোনো পুরুষ লেখকদের দ্বারা রচনা করা সম্ভব হবে না। আর নারী লেখকদের এই বিশেষ গুণটিই তখন বিশেষ একটা দিক নির্দেশ করে। তাদের লেখা যদি দ্বিতীয় বিংবা তৃতীয় স্তরেরও হয় তাহলেও সেগুলো সত্যিকারের দৃষ্টিতে সচেতনতার বহিঃপ্রকাশে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার।
এ দুটোই উৎকৃষ্ট মানের সংযোজন। এ দুটো ছাড়া আরো অনেক আলোচনার বিষয় আছে। পরিচয়বিহীন সাফল্যের সোপানে উত্থান ও পতন - এরপর দিশাহীন জীবন থেকে ইংরেজ নারী একসময় হয় ভোটার, উপার্জনশীল কর্মী এবং একজন সচেতন নাগরিক, যেটা তার জীবনযাত্রায় ও শিল্প সাহিত্যসাধনার ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসেআবেগ তাই এখন নারীর একমাত্র সম্বল নয়, নারী বুদ্ধিবৃত্তি ও রাজনীতি দুটো ক্ষেত্রেই ঢুকে পড়ে। পুরনো কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিবাহরীতি বাতিল করে স্বাধীন মত প্রকাশ ও নিজস্ব মতের ভিত্তিতে জীবনযাপনের সুযোগ প্রদান করে। আর এখান থেকেই নারীসমাজ তাদের সাহিত্যকর্মে নিজেকে প্রকাশ এবং একজন নারী ব্যক্তিজীবন নিয়ে ব্যস্ত না থেকে একই সাথে সমাজ বিশ্লেষণধর্মী লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করে তাহলে এবার আমরা এটাও আশা করতে পারি যে, গ্যাডফ্লাইয়ের যে রাষ্ট্রীয় অফিস যেখানে বরাবর পুরুষদের প্রাধান্যটাই বেশি উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে, বর্তমানে হয়ত তাদের সরিয়ে একজন নারীর ওপরও দায়িত্ব বর্তাতে পারে। নারী রচিত উপন্যাসগুলো সামাজিক সমাচার এবং এর প্রতিকার নিয়েও কথা বলবে। নারী ও পুরুকে শুধু আবেগে জারিত জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তি করেই বিচার করা হবে না। বিশেষ করে শ্রেণীসংঘাত সামাজিক দলীয় দ্বন্দের মতো বিষয়গুলোও নারীর লেখার বিষয় হওয়া উচিত, পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এর পরও কিছু লোক সম্পর্কে মজাদার ব্যাপার আছে, যারা প্রজাপতিকে ডাঁশে রূপান্তরিত করতে আগ্রহী, এ ব্যাপারে তারা বলে, শিল্পী মাত্রই পরিবর্তনকামী। নারীসমাজের অব্যক্ত বিষয় নিয়ে লেখালেখির দিকটি তাদের কাব্যসাধনায় অধিক অনুপ্রেরণা জোগাবে। কাব্যচর্চার ক্ষেত্রে নারীরা বর্তমানে খুবই নাজুক ও দুর্বল অবস্থানে আছে। কবিতা নারী সমাজকে শুধু আত্মকেন্দ্রিক ও ঘটনাকেন্দ্রিক বিষয়ের মাঝে ব্যক্ত না থেকে অব্যক্ত জীবনের প্রতি মনোযোগে উৎসাহ দিতে পারে। আত্মকেন্দ্রিয়তা ও সব রাজনৈতিক দলাদলির বাইরে তাদের দৃষ্টিকে সরিয়ে নিতে হবে, একজন কবি যা ভাবে সেটা ভেবেই বিশেষ করে জীবনদর্শন বা জীবনের স্বরূপ বিশ্লেষণ ও নিয়তি নিয়ে বিশ্লেষণ কাব্যতত্ত্বের বাস্তব ভূমিটা পৃথিবীর বস্তুসমূহের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। কাব্যসাধনা নির্ভর করে কিছু টাকাপয়সা, অবসর আর সময়ের ওপর। টাকাপয়সা এবং অবসর একজন কবিকে আবেগপ্রবণতা থেকে সরিয়ে নিয়ে জগতের যাবতীয় বস্তুসমূহের মাঝে স্থাপন করে এবং সবকিছু নিরপেক্ষভাবে পুঁজি করে মহিলারা তাদের চিঠিপত্র লেখার পদ্ধতিটি ভালো ভাষায় রপ্ত করতে পারে। এটা হতে পারে রীতিমতো সাহসিকতাপূর্ণ ও সমৃদ্ধময়।
অতীতকালে নারী জাতির এই লেখালেখির গুণাটি কোকিল কিংবা গায়ক পাখির কণ্ঠস্বরের মতোই বাধাবিঘ্নহীন স্বাধীনভাবে উৎসারিত হত। এটায় তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো অংশ ছিল না, এটা ছিল তাদের হৃদয়ের সুললিত একটা প্রকাশভঙ্গিমা। এটা হয়ত ছোটো একটি টুকরো কাগজে লেখা হত। পরে তা ঝরনাধারা কিংবা নদীজলে পতিত হয়ে হারিয়ে যেত। আগামী দিনে যথার্থ সময় কিছু গ্রন্থ এবং নিজ গৃহে কিছু স্থান নির্বাচন করে দিতে পারলে সাহিত্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে আর নারী জাতির সুপ্ত প্রতিভাকে এভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করলে তাদের লেখা আরো স্বতস্ফূর্ত এবং গতিময় করা যেতে পারে। এর ফলে উপন্যাস আর ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশে আবেগের জঞ্জালের স্তুপে পরিণত হবে না। এটা হলেই তা বর্তমানকালের একটি মহৎ শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে। এর ফলে শিল্প-সাহিত্যের সীমাবদ্ধতা এবং বর্তমানের সম্পদসমূহ সম্পর্কে যথার্থ অনুসন্ধান সহজতর হবে।
প্রাথমিক এই ছোটোখাটো উদ্যোগ দ্বারা শিল্প-সাহিত্যের সাধনা খুব একটা কঠিন কর্ম নয়বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রবন্ধ, সমালোচনা, ইতিহাস জীবনী এসব মহিলা লেখকদের হাত থেকে খুব বেশি বের হয়নি, তবে আমরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে উপন্যাস আরো অগ্রগামী হয়ে গুণগত মানে আরো সমৃদ্ধশালী হয়ে প্রকাশিত হবে এবং এটি আরো উৎসাহী পাঠকদের কাছে টানতে সমর্থ হবে।
উপন্যাস একসময় ইতিহাসের দায়মুক্ত হয়ে তার আকারহীন আকৃতির অবসান ঘটাবে। যদিও আমরা এখন সেই অনাগত ভবিষ্যদ্বাণীর প্রত্যাশা করি যখন নারীরা খুব কমই উপন্যাস রচনা করবে কিন্তু যা রচনা করবে তা হবে খুবই উৎকৃষ্টমানের উপন্যাস। শুধু উপন্যাসের ক্ষেত্রেই নয়, কাব্য, সমালোচনা ইতিহাস সর্বক্ষেত্রেই নারীজাতি বিচরণ করবে। কিন্তু আমরা অবশ্যই পরম নির্ভরতায় সেই দিনটির দিকে তাকিয়ে আাছি যেদিন নারী অখণ্ড অবসর আর আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে সাহিত্যচর্চায় বসবে তার নিজস্ব কক্ষে আর পাবে প্রচুর অবসর সময় সাহিত্যচর্চার জন্য।

---------------- সমাপ্ত ------------------




No comments:

Post a Comment