Total Pageviews

Thursday, January 24, 2019

Sir Roger at church - Bangla translation - Full


Sir Roger at church - Bangla translation - Full

Sir Roger at church - Bangla translation - Full



Sir Roger at Church 
মূল প্রবন্ধ সোমবার, জুলাই, ১৭১১

অনুবাদঃ 
- “প্রথমে, অবিনশ্বর শ্বরের কাছে প্রার্থনার সাথে দেশীয় এই ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করি” – [গ্রিক ভাষায়]
আমি সবসময়েই গ্রাম্য রবিবারের দিনে খুবই আনন্দ অনুভব করি, এবং আমার মনে হয় যদি দিনটি মানসিক পবিত্রতার নিয়ম নীতিকে ধারণ করে, এবং এটাকে সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা মনে করা হয় যা মানব সভ্যতাকে সভ্য এবং সংস্কৃতিবান করে তুলবে। এটি নিশ্চিত যে, গ্রামের মানুষ গুলো এক ধরনের অসভ্যতা বুনো পর্যায়ে পতিত, সেহেতু তাদের আলোকোজ্জল দিনে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই যেখানে পুরো গ্রামের মানুষেরা একত্রিত হবে, তাদের পবিত্র সুন্দর মুখ এবং পরিচ্ছন্ন অভ্যাস নিয়ে, আর  একে অপরের সাথে কথাবার্তা বলবে গতানুগতিক বিষয় নিয়ে, ব্যাখ্যা করে শোনানো হবে তাদের কর্তব্য কাজ সম্পর্কে এবং একসাথে মিলিত হয়ে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবে মহান ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। পুরো সপ্তাহের নিস্ক্রিয় দিনগুলোর মাঝে একমাত্র পরিচ্ছন্ন দিন রবিবার, এটি তাদের মনে শুধু র্মীয় আদর্শের নব তেজেরই প্রকাশ ঘটা না, এটি নারী পুরুষ উভয় পক্ষের অমায়িক ভাবের প্রকাশ ঘটায় এবং সব ধরনের বিষয়ের প্রকাশ ঘটিয়ে গ্রামের মাঝে তাদেরকে প্রকাশযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপিত করে।
পরিবর্তনের মাঝে একজন নাগরিকের পক্ষে যতটা সম্ভব, গির্জার অঙ্গনে একজন গ্রামের সদস্য নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করতে পারে। গির্জার ঘন্টা বাজার পূর্বে কিংবা ধমীয় বস্তৃতার পর এখানে স্বাভাবিকভাবেই গির্জা অঙ্গনের সকল রাজনৈতিক আলোচনা চলে।
আমার বন্ধু স্যার রজার একজন উত্তম যাজক। গির্জার ভেতরের অংশ তিনি বাইবেলের নির্বাচিত শ্লো উৎকীর্ণ করে সজ্জিত করেছেন নিজের পছন্দ মতো। তিনি তার পছন্দমাফিক উত্তম বস্ত্র দ্বারা বেদীর ঢাকনা দিয়েছেন এবং প্রার্থনা সভায় যোগদানকারী ব্যক্তিবর্গের জন্য নির্দিষ্ট বসার টেবিলের চারপাশ নিজ খরচে রেলিং দ্বারা ঘেরাও দিয়েছেন। তিনি প্রায়ই আমাকে বলতেন, তার গির্জার অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গ খুবই অনিয়মিত, তাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া আছে, একত্রে নতজানু হয়ে জবাব দান করার জন্য সে সদস্যদের প্রত্যেককে দিয়েছে একটি বসার কুশন এবং প্রার্থনা পুস্তক এবং একই সময়ে নিযুক্ত করেছে একজন ভ্রাম্যমাণ সঙ্গীত শিক্ষক। বিষয়ে তিনি পুরো গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রার্থনা সঙ্গীতের সঠিক সুরটি শেখান, যা দ্বারা সভ্যগণ ইতিমধ্যেই নিজেদের যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলেছে এবং আমার জানা মতে, সত্যিকারভাবেই সারা দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সর্বদাই সঠিক নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা রাখেন এবং হঠাৎ করেই তিনি তার বক্তৃতার মাঝখানে সাময়িক বিরতির কালে অবাক হয়ে দেখেন কেউ ইচ্ছাপীড়িত হয়ে তার পাশে ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা এবং তাকে জাগানোর জন্য তিনি উঠে দাড়িয়ে তার দিকে নজর দেন এবং যদি দেখেন কেউ ঝিমাচ্ছে, হয় নিজে তাকে ঘুম থেকে জাগা কিংবা পরিচারক পাঠান তার নিকটে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি পুরোনো নাটইসুলভ ভাবের প্রদর্শন ঘটান কোনো কোনো সময় তিনি দীর্ঘসময় ধরে প্রার্থনা সঙ্গীত কবিতার মতো আবৃত্তি করেন, আধমিনিট সমাবেশকে বিরতি প্রদান করে আবার শুরু করেন, কোনো কোনো সময় তিনি নিজে ঐশ্বরিক আবেগে আপ্লুত হন, িনি তিন-চারবার প্রার্থনার মতো আমেনশব্দ উচ্চারণ করেন, কোনো সময় তিনি উঠে দাড়ান যখন সবাই হাটু পেতে বসে থাকে, গণনা করে দেখেন কোনো সদস্য সরে গেছে কি না।
আমি গতকাল আমার পুরোনো বন্ধুর বিচারকার্য দেখে অবাক হলাম। বিচারসভার মধ্য থেকে তিনি জন ম্যাথু নামের একজনকে ডাকলেন এবং তাকে বলা হলো সে কী করছে সেখানে, আর সে যে বিচারসভায় কোনো ঝামেলা না করে আপাতদৃষ্টিতে জন ম্যাথু একজন নিষ্কর্মা মানুষ, বিচারসভা চলাকালে সে নিজের পায়ের গোড়ালি মাটিতে ঠুকে নিজে নিজেই কিছুটা আনন্দ উপভোগ করছিল। ম্যাথুর অদ্ভূত কর্মকাণ্ড তার জীবনের সাথে মিশে ছিল এবং তা গির্জা শাসিত অঞ্চলের মানুষদের মাঝে যথেষ্ট আনন্দ দান করত প্রশাসন বিষয়টি অবলম্বন করে তার ক্ষমতা জাহির করার প্রয়াস পেল সে যথেষ্ট পরিমাণে মার্জিত ভদ্র না হলেও সর্বদা একটা লাস্যময় আচরণ তার মাঝে প্রকাশ পেত, পাশাপাশি সে ছিল মোটামুটি জ্ঞানী সচ্চরিত্রের অধিকারী তার বন্ধুদের চোখে ত্রুটির চাইতে তার সদা লাস্যময় সরলতার ঔজ্জ্বল্যের আভাটিই বেশি প্রকটিত হত যখনি ধর্মীয় বস্তৃতা শেষ হলো, স্যর রজার বাইরে বের না হওয়া পর্যন্ত কেউ এক পাও এগুতে সাহসী হলো না নাইট তার পূর্ব পাশের নির্দিষ্ট বেদী হতে অবতরণ করে তার অধীনদের সারির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হলেন এবং দুপাশ থেকে সবাই তার সম্মানে মাথা নড করল আর ঠিক সময়েই খোজ পড়ল কার স্ত্রী কিংবা মা কিংবা পুত্র অথবা পিতা গির্জায় অনুপস্থিত। এটি বোঝা গেল যে যারা অনুপস্থিত তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর তিরস্কার বর্ষিত হলো। পারিবারিক যাজক আমাকে প্রায়ই বলতেন, গির্জার প্রশ্নোত্তরের দিনটিতে কোনো বালকের কাছ থেকে সঠিক জবাব পেলে স্যর রজার খুবই খুশি হতেন, বালকটিকে উৎসাহ দেয়ার জন্য তিনি পরদিন নির্দেশ দিতেন তাকে একটি বাইবেল দেয়ার জন্য আবার কখনো এর সাথে তিনি বালকটির মাতার জন্য লবণ দ্বারা জারিত মাংসও দিতেন। স্যর রজার অনুরূপ কারণে বছরে পাচ পাউন্ড গির্জার কেরানির হাতে অর্পণ করতেন যুবক সদস্যদের উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে গির্জার কাজে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার কাজে ব্যয় করার জন্য। এরকম প্রতিশ্রুতি থাকত যে, বর্তমান যাজক ইন্তেকাল করলে সদস্যদের মধ্যে যিনি বয়সে প্রবীণ মেধা অনুসারে তিনিই পদ অলংকৃত করবেন
খুবই চমৎকার সমঝোতা ছিল স্যর রজার এবং তার অধীন যাজকদের মধ্যে, তাদের মধ্যে চমৎকার ঐক্যমত বিরাজ করত যা ছিল উল্লেখ করার মতো। দূরবর্তী একটি গ্রাম দলাদলি কলহের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল, সে স্থানে জেলার সবচেয়ে বড়ো জমিদার স্থানীয় যাজকদের মাঝে কলহ দানা বেঁধে উঠল, সে চিরস্থায়ী একটা বিবদমান অঞ্চলে বাস করত যাজক সর্বদা জমিদারকে ধর্মোপদেশ প্রদান করতেন। আর জমিদার প্রতিহিংসাবশত গির্জায় অনুপস্থিত থাকতেন। জমিদার তার সকল প্রজাকে নাস্তিক এবং সুদ আদায়কারী হিসেবে তৈরি করেছিলেন যখন তাদের মাঝে উপদেশমূলক ক্তৃতা প্রদান করতেন এবং নির্দেশ দান করতেন তখন তাদের প্রভুর চাইতে যাজককে উত্তম মনে হতো। সহজ বিষয়টি দ্রুত মারাত্মক রূপ লাভ করল। জমিদার বছরের অর্ধেক সময় তার গৃহে কিংবা গির্জায় প্রার্থনা হতে বিরত থাকলেন। এরপর যাজক তার প্রতি হুশিয়ারি প্রদান করলেন যে, যদি সে তার ত্রুটি সংশোধন না করে তাহলে তিনি তার বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী হবেন।

সামন্ততন্ত্রের প্রকৃতিই এই, যেটি গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা যায়, যা সাধারণ মানুষের সর্বনাশ ডেকে আনে। সে বিত্তের আভিজাত্যে আলোকিত, পাওনা আদায়ের স্বার্থে জনগণের সাথে একটা সাময়িক বোঝাপড়া করে বিচক্ষণ ব্যক্তির মতো, তারা খুব কমই যেকোনো সত্যকে ভেতরে লালন করে যখন ওরা জানবে বছরে পাঁচশত পাউণ্ড আয়ের আলাদা মানুষ তারা, তারা তো এসবে বিশ্বাস করবে না। 

1 comment: