Total Pageviews

Saturday, January 12, 2019

A Prayer for my daughter - Yeats - Bangla Translation

A Prayer for my daughter - Yeats - Bangla Translation


A Prayer for my daughter - Yeats - Bangla Translation
প্রেয়ার ফর মাই ডটার  - উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস 

আরো একবার ঝড়ো হাওয়া গর্জন করে উঠল, অর্ধ লুকায়িত
দোলনার হুড ও চাদরের নীচে,
আমার শিশুটি ঘুমিয়ে আছে, আসেপাশে নেই কোন বাধা বিপত্তি
শুধু গ্রেগরীর বনে আর উন্মুক্ত পাহাড়ে রুদ্র রোষ তার
ড়ের গাদা আর ঘরের চালা সমানকারী বাতাস
যা সৃষ্টি হয় আটলান্টিকে, চলমান থাকতে পারে;
প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে হাটছি আর প্রার্থনা করছি
কঠিন ভারাক্রান্ত নকে ভারমুক্ত করতেই

বহুক্ষণ প্রাণ ভরে, প্রার্থনা করেছি শিশুটির তরে
আর ঝড়ের প্রলয় ধ্বনি শুনেছি প্রাসাদের পরে,
পুলের নীচে, পাইনের বনে, বারবার
তীরও প্লাবিত হয়ে ঝড়ো জলে একাকার;
মগ্ন স্বপনে দেখি, সমাগত প্রায় দ্বারপ্রান্তে,
সেই কাল একান্তে:
রুদ্র বীণার ঝঙ্কারে, মাতাল নৃত্যে উত্তাল করি বেদী
হন্তারক বেশে, শান্ত স্নিগ্ধ সাগর বক্ষভেদী।

ঈশ্বর যেন রূপ দেন তারে অপার
প্রার্থনা তারে না দেন যেন তিনি, রূপের অহঙ্কার
য়নাতে মুখ দেখে কভু যেন, সে মনে না করে
দেহে তার কত রূপ সে ধরে,
রূপের অহঙ্কার না যেন থাকে তার,
না যেন করে তারে মমতা হীন
হৃদয়-উৎসারি নিবেদনেও যেন সে না থাকে আলীন
নিবেদিত নিখাদ প্রেমকে যেন পাত্র না করে অবজ্ঞার

ঈশ্বর নিজ হাতে গড়েছিলেন যারে এক কালে,
সেই হেলেনেরও অপার দুঃখ ছিল ভালে,
অ্যাফ্রোদিতিকে গড়েছিলেন, ঈশ্বর আপন মনে
পিতৃহীনা সে যেন জিতে যায় জীবন রণে
বিকলাঙ্গ এক যুবককে হৃদয় দেয় সে
সব রূপসীরাই ভুল করে জীবনে, নিশ্চিত
রপের আশীর্বাদ শেষে ফল করে বিপরীত
রপের প্রাচুর্য শূন্যে মিলায় অবশেষে।

জীবন থেকে জেনেছি, বিনয়ই শ্রেষ্ঠ সম্পদ
ভালোবাসা অর্জনের, যদিও রূপ ঈশ্বরের আশীর্বাদ
রূপহীনা বহু নারী, করেছে হৃদয় জয়
রূপের মোহে বহু জন পথ খুঁজেছে মূর্খতায়
রপের মোহ কেটেছে অনেকের, অনেক পরে
কত অভাগা রূপের মোহকে প্রেম ভেবেছে
নিজে ভালোবেসে বুঝেছে, সেও বুঝি ভালোবেসেছে
মরেছে সে কৃপাদৃষ্টিকে প্রেম মনে করে।

প্রার্থনা আমার, পত্রে পুষ্পে শোভিত হোক অন্তর আত্মজার
কোমলে, শোভনে শোভিত হোক ন্ত তার,
জনহিত চিন্তা, কর্মে না জড়াক কন্যাটি অকারণ,
না থাকুক পাশে তার প্রশংসার প্লাবন,
সোল্লাসে না জড়াক, অকারণ উৎপাতে
না ছুটুক, অকারণ কোনো বিবাদের পিছু
পেলব, পবিত্র থাকে যেন তার সব কিছু
অচঞ্চল, থাকে যেন কাল ধারার সাথে।

অলক্ষে, অন্তরে আমার অপার বেদনা বোধ,
কেন, রূপাকাঙক্ষায় গড়তে পারিনি প্রতিরোধ?
কিছু দিন সমৃদ্ধ ছিল বটে, এখন মৃত প্রায়
এখন পুড়ে মরি সেই শোচনায়।
ঘৃণাই কুমতির সেরা জানি সে কথা
মনে যদি না থাকে ঘৃণা বা ঘোর-প্রতিশোধ
এসবের আবর্তে যদি না পড়ে মানব-বোধ
ভু হারায় না, মনের পবিত্রতা।

সচেতন ঘৃণাবোধ, ঘৃণ্যতম বলা হয়
আত্মজাটির মনে যেন সদা বোধটি রয়।
আমি কী দেখিনি সে রূপসীর কর্ম
ধনীর ঘরে ছিল যার জন্ম
মনে তার ছিল সে এক সংস্কার
সংস্কারেই ফেলে দিল তার সম্পদ সব
বুদ্ধিমানেরা ভাবত; এসব নিস্ফল কলরব
কোনো এক ক্রোশে সব সে করে পরিহার?

মন থেকে সব ঘৃণা যদি ঝেড়ে ফেলে আত্মজা আমার,
স্নিগ্ধ, শান্ত, সুখে পূর্ণ হবে জীবনটি তার
অবশেষে জানবে সে, এতেই অসীম সুখ জীবনে,
তৃপ্ত, সমাহিত থাকবে সে আপন মনে,
তৃপ্ত মানসই দীপ্ত, স্বর্গ সুখের আলোকে
কুঞ্চিত মুখে যা কিছুই বলুক না লোকে,
বা জীবনে যা কিছুই থাক ক্ষোভের উৎস
জীবনে যত থাক ঝড়, সব তার কাছে তুচ্ছ!

কন্যাটি আমার যেন পায় ভালো ঘর, বর
ধনে, মানে পূর্ণ থাকে যেন ঘরটি তার;
দুর্বিনয়, ঘৃণা বোধ সুখের অন্তরায়
তবু জীবনে তাই ঘটে যায়।
কিন্তু কিভাবে, প্রথা আর অনুষ্ঠানে
নির্মলতা আর সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় কি?
অনুষ্ঠানের নামগুলো শুধু অন্তঃসারশূন্য ধনীদের জন্যে,

আর প্রথা বংশতালিকা ছড়ানোর তরে। 



1 comment: