Total Pageviews

Saturday, July 21, 2018

The old man and the sea - Bangla Summary - দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি







মাস্টার্স ফাইনালের সিলেবাসের অন্যান্য লেখা ও অনুবাদ


চরিত্রঃ
১। বুড়োসান্টিয়াগো- বুড়ো এবং খুবই অভিজ্ঞ একজন জেলে
২। ম্যানোলিন - ছোট ছেলে যে বুড়ো সান্টিয়াগোর দেখাশোনা করে
৩। মাছ (মারলিন, শার্ক)

অদৃশ্য চরিত্রঃ

১। জো ডি  ম্যাগিও
২। পেরিকো
৩। মারটিন
এই চরিত্র গুলো নভেল এ সরাসরি উপস্থিত ছিল না তবে তারা পিছন থেকে নভেলের কাহিনীকে সমৃদ্ধ করেছে, এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।  


কাহিনী সংক্ষেপঃ
বুড়ো নাবিক সান্টিয়াগো মাছ ধরার জন্যে সাগরে বের হয়েছিল। আর সাথে ছিল একজন বালক ম্যানোলিন।  ম্যানোলিন,  সান্টিয়াগোকে দেখাশোনা করে এবং  তার সাথেই সবসময় থাকে। ৮৪ দিন যাবত তারা সাগরে অপেক্ষা করছেন মাছ ধরার জন্যে।  কিন্তু কোন মাছ পাচ্ছিলেন না। ৪০ দিনের মাথায় সান্টিয়াগো ম্যানোলিনকে বাড়ি চলে যেতে বললেন, কারন তার পরিবার আছে এবং আর কবেই যে মাছ পাবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
শুরুতে ম্যানোলিন রাজি হচ্ছিল না। পরে সে চলে যায়। 


ম্যানোলিন চলে যাওয়ার পরে ৮৫ দিনের মাথায় সে একটা মাছ পেল, আর সেটি ছিল একটি বিশাল বড় মাছ। এর নাম মারলিন। লম্বায় ১৮ ফুট প্রায়।  অভিজ্ঞ নাবিক সান্টিয়াগো বুঝতে পারলেন এটি একটি বড় মাছ, আর তিনি যখন মাছটিকে হুক দিয়ে আটকালেন, মাছটি তাকে সাগরের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো।  তিনি মাছটিকে তার নৌকার সাথে কষে বেধে ফেললেন।  তখন মাছটি  তার নৌকাসহ সাগরের দিকে টেনে নিতে লাগল।
কিছু পরে যখন মাছটি ঘুরতে লাগল, তিনি বুঝতে পারলেন এটির শেষ সময় এসেছে।  একে এখনই ধরতে হবে। মাছটিকে তিনি টেনে নৌকার কাছে আনলেন আর তার মাছ ধরার টুলটি দিয়ে মাছটির মাথায় আঘাত করলেন। একসময় টুলের আঘাতে মাছটি মারা গেল। এতে মাছটির মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। আমরা সবাই জানি যে, যদি সমুদ্রে কোন ধরনের রক্তক্ষরণ হয় তবে রক্তের গন্ধে আশে পাশে থাকা হাঙ্গর মাছেরা ছুটে আসে, এক্ষেত্রেও কোন ব্যত্তয় ঘটেনি।  সান্টিয়াগো আগেই বুঝে ফেলেছিলেন শার্ক গুলো এখনি ছুটে আসবে। তিনিও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন।
২ টি হাঙ্গর ছুটে এসেছিল। তিনি অনেক কষ্টে একটি হাঙ্গরকে হত্যা করলেন তার টুল দিয়ে বাড়ি দিয়ে। তখন অন্য হাঙ্গরটি চলে গেল কিন্তু সান্টিয়াগো অভিজ্ঞ নাবিক, তাই তিনি বিপদ বুঝতে পারলেন।তিনি বুঝতে পারছিলেন, সামনে আরো অনেক হাঙ্গর দল বেধে আসছে। এদিকে আরেকটি দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে ছিল। আর তা হল শান্টিয়াগোর মাছ মারার টুলটি শার্ককে আঘাত করতে গিয়ে পানিতে পড়ে গিয়েছিল। তা আর উদ্ধার করতে পারেন নি তিনি।


তিনি যা ভেবেছিলেন  তা ঘটল ঠিক তার পরের রাতে।  মাছের গন্ধ পেয়ে অনেকগুলো হাঙ্গর চলে আসল। এতো গুলো হাঙ্গর একসাথে আসল আর তার কাছে মাছ মারার মত কোন জিনিস ছিল না। তিনি কি দিয়ে মাছ গুলোকে তাড়াবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। মাছগুলো তার চোখের সামনে বিশাল বড় মারলিন টাকে খেয়ে ফেলল। খেয়ে যাওয়ার সময় কংকালটা রেখে গেল।  পরের দিন সকালে তিনি একাই এতো বড় মারলিন কে টেনে সাগরের উপরে তুলে ফেললেন, কারন মারলিনের গায়ে যে আর কোন গোস্ত ছিল না। 


তিনি এই কংকাল টা নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। সমুদ্রের তীরে অনেক মানুষ সেটাকে দেখতে এলো। সবাই খুব অবাক হয়ে সেটা দেখল। তারা বুঝতে পারছিল না, সেটা কি আসলে কোন মাছ ছিল নাকি বড় কোন প্রাণীর কংকাল ছিল! কারন এতো বড় মাছ এই এলাকার মানুষ আগে কখনো দেখেনি। এমনকি সান্টিআগো তার পৌনে এক শতকের জেলে জীবনেও এত বড় মাছ ধরে নি। সান্টিয়াগো সেটাকে তীরে রেখে গেলেন।  শরীরটা তার খুব ক্লান্ত লাগছিল। দীর্ঘ প্রায় তিন মাস এর সংগ্রাম। এখন একটু শান্তি ও বিশ্রামের দরকার। 

Maruf Mahmood


Dhaka College

2 comments: