Total Pageviews

Thursday, July 21, 2016

গ্রাম বাংলার মজার গল্প ----জামাই-শ্বশুর (পর্ব -২)



তিনি জামাই কে বললেন, জামাই,  খাওয়া তো শেষ হয়েছে, এবার তাহলে হাত ধোও। জামাই দেখলো, শ্বশুর মশাই তাকে ক্ষির থেকে বঞ্চিত করার মতলব করেছেন। জামাইও কম চালাক নন। সে একটা গল্প ফেদে বসল, "হাত আর ধোব কি! আপনার বাড়িতে আসার সময় সামনে পড়ল এক প্রকান্ড সাপ। বললে বিশ্বাসই করবেন না,  ঐযে শিকার উপরে ক্ষিরের হাড়িটা ঝুলতেছে না, ঐ অত উচু এক ফনা মেলে ধরলো আমার দিকে।
শ্বশুর বুঝতে পাড়লেন,
 ধড়া পড়ে গেছেন।জামাই ক্ষীরের কথা টের পেয়ে গেছে। তিনি তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, "তাই তো ক্ষীরের কথা তো একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম,  আন,  আন,  ক্ষীর আন।
শাশুড়ি একটু মুচকি হাসিয়া তাড়াতাড়ি ক্ষীর এনে দিলেন। জামাই চিন্তা করলো,
 শ্বশুর আব্বা আমাকে ক্ষীর খাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছে,  এই বার আমি তাকে ক্ষীর খাইতেই দেব না। জামাই শ্বশুর এর সাথে গল্পি আরম্ভ করলো, " এখন কার কলিকালের কথা আর কি বলবো, আব্বা!  বউরা আর স্বামীকে মানতে চায় না।  এই যে ধরেন আপনাদের মেয়ে,  যাকে আমি বিয়ে করেছি; আমি যদি তাকে বলি এই দিকে থাকো সে চলে যায় ঐদিকে" বলার সংগে সংগেই  তা দেখিয়ে দেবার অজুহাতে জামাই ক্ষীর টুকু নিজের দিকে টানিয়া নিয়ে, ভাত গুলি শ্বশুর এর দিকে ঠেলে দিলো।
শ্বশুর দেখলেন,
 ঠকাইবার মতলবে,  জামাই আজ আমাকে ক্ষীর খাইতে দিবে না। মনে মনে বললেন,  আচ্ছা,  দেখাইতেছি। উপদেশের ছলে শ্বশুর বললেন,  " তা বাবাজী তোমরে ছেলে ছোকড়া মানুষ। মিলমিশ হইয়া থেকো।বলতে বলতে,  কিভাবে মিলমিশ হয়ে থাকতে হবে, তা দেখানোর অজুহাতে  ক্ষীর ও ভাত একসাথে মেখে ফেললেন।
বড়
  আনন্দের  সংগ শ্বশুর আর জামাইর খাওয়া শেষ হল।



No comments:

Post a Comment